বাংলারজমিন
রামগতি-কমলনগরের উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৮ মে ২০২৪, মঙ্গলবারঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে হুমকিতে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। দুইদিনের টানা ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছপালা, কাঁচা ঘর পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত জোয়ারে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় এবং রামগতি উপজেলার একাধিক স্থানে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ধস নেমেছে। এতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুপুরে মেঘনাপাড়ে গিয়ে দেখা গেছে নদী খুবই উত্তাল। জেলেরা তাদের নৌকাগুলো নিকটবর্তী খালে নোঙ্গর করে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। বিকালে জোয়ারের পানিতে কমলনগরের চরকালকিনি, চৌধুরী বাজার, চরমার্টিন, চরলরেন্সের কিছু অংশ, চরফলকন ও পাটারিরহাট এবং রামগতির চর আবদুল্লাহ, আলেকজান্ডারসহ প্রায় এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং ভেসে গেছে বেশির ভাগ মানুষের পুকুরের মাছ।
কমলনগর মাতাব্বরহাট এলাকার মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা নয়ন আক্তার জানিয়েছেন, দুইদিনের জোয়ারে তাদের বাড়িঘরে পানি উঠে তারা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণ চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে বাড়ির আশপাশ তলিয়ে গেছে। বাড়িতে গরু আছে। পানি ওঠায় গরু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, গত দুইদিনের জোয়ারে তার ইউনিয়নের সব এলাকাই ডুবে গেছে। জোয়ারের পানিতে সকল রাস্তাঘাট ব্যাপক নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খান বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে মেঘনা নদীতে নির্মাণাধীন বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের পরে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, রোববার থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছি। যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানে ছুটে যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবারের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা করছি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। যেকোনো সমস্যায় প্রশাসনের সকল স্তরে প্রস্তুতি রয়েছে।