ভারত
সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে দেখতে স্ত্রীর পেট কাটলো স্বামী, অতঃপর…
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৪, শনিবার, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন না পুত্র সন্তানের তা জানতে কাস্তে দিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীর পেট কেটে ফেললেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাদাউনের এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাদাউনের সিভিল লাইনের বাসিন্দা পান্না লাল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তার স্ত্রী অনিতাকে আক্রমণ করেছিলেন। এই দম্পতি ২২ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের পাঁচটি কন্যাসন্তান। তবে পান্না লাল চাইতেন পুত্র সন্তান হোক, তাই স্ত্রীর সাথে সে নিয়মিত ঝগড়া করতেন। অনিতার পরিবার এই দম্পতির বিরোধের কথা জানত এবং পান্না লালকে মারামারি বন্ধ করার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি অনিতাকে তালাক দিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করার হুমকি দেন। ঘটনার দিন আবারও অনাগত শিশুর লিঙ্গ নিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন পান্না লাল। ক্ষিপ্ত হয়ে অনিতার গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে শিশু তা পরীক্ষা করার জন্য স্ত্রীর পেট কেটে ফেলার হুমকি দেযন পান্না লাল । অনিতা পাল্টা প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। একটি কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর উপর আক্রমণ করেন। কাস্তের আঘাতে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অনিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অনিতা আদালতে বলেন, ক্ষত এতটাই গভীর ছিল যে তার পেট থেকে অন্ত্র বেরিয়ে আসে। কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন অনিতা। পাশে একটি দোকানে তার ভাই কাজ করতো সেখানে ছুটে যান তিনি। অনিতাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে হামলা থেকে বেঁচে গেলেও, সম্ভবত তার পুত্র সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। আদালতে পান্না লাল যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অনিতা তার ভাইদের সাথে সম্পত্তির বিরোধের কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য নিজের দেহে ক্ষত তৈরি করেছে। যদিও সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। আদালত পান্না লালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
ভারতীয়রা এখনো মানুষ হতে পারলনা।
ভারতীয়রা এখনও অশিক্ষিতের মত আচরণ করে । বাস্তব জগতে অনেক মানুষ অশিক্ষিত হলেও পারিপারির্শিক সভ্য শিক্ষিত সমাজ থেকে শিক্ষা নিলেও ভারতীয় লোক সভ্য সমাজ থেকে ও শিক্ষা নেয় না।