ভারত
মমতার আমলে ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে ২৪ হাজার মসজিদ হয়েছে, দাবি বিজেপি'র
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব যখন মধ্যগগনে তখন রাজ্যটিতে ক্ষমতাসিণ দল- তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলো কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল- বিজেপি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের শাসনে রাজ্যে মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই (২.৫) গুণ। একই সঙ্গে করদাতাদের টাকায় কেন ইমাম–মোয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি এই ভাতা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে তা সমীক্ষা করে দেখারও দাবি জানান তিনি।
হিন্দুস্থান টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয় জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।"
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে ইমাম–মোয়াজ্জিনদের ভাতা বাড়ানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার চুপিসারে ২ মাস আগে থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার ইমাম-মোয়াজ্জিনের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভাতা বাড়ানোর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল না। সরকার আদালতে জানিয়েছে, সরকার কিছু দেয় না। ওয়াক্ফ বোর্ড দেয়। এই সরকার ওয়াক্ফ বোর্ডকে যে অনুদান দেয় তা হঠাৎ করে বাজেট বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগস্টে ইমাম–মোয়াজ্জিনদের সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী তাদের ভাতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে ভোটের ঠিক আগে আগে ইমাম–মোয়াজ্জিনদের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য এ বছর রাজ্য সরকারের খরচ হতে চলেছে ২০০ কোটি টাকা। প্রায় ৪০ হাজার ইমাম মাসে ৩ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার মোয়াজ্জিন ১,৫০০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা ইমাম মোয়াজ্জিনদের ভাতা দিতে খরচ করেছেন।"
সন্ন্যাসীদের আক্রমণ করায় মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করে তিনি বলেন, "ভোটের আগে ইমাম–মোয়াজ্জিনদের তিনি ঘুষ দিচ্ছেন, আর হিন্দু সন্ন্যাসীদের জন্য ফতোয়া জারি করছেন। হিন্দু সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে রাজনীতির কথা বলার অভিযোগ তুলছেন। আর তিনি ইমাম–মোয়াজ্জিনদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে নামাচ্ছেন।"
এরপর বিস্ফোরক দাবি করে জগন্নাথ বলেন, "যখন ইমাম ভাতা চালু হয়, তখন ১৬ হাজার ইমাম ভাতা পেতেন। একটি মসজিদে একজন ইমামই ইমামতি করেন। আজকে মসজিদের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ৪০ হাজার। অর্থাৎ ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ হাজার মসজিদ তৈরি হয়েছে। যে রাজ্যে পুলিশ রাম নবমীর মিছিলকে অনুমতি দেয় না, নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয় না সেখানে রাজ্য সরকারের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়ার নীতি কী? এই মসজিদগুলো কি সীমান্ত এলাকায় তৈরি হচ্ছে? মুসলিমদের কোন সম্প্রদায় এই মসজিদগুলো তৈরি করছে?"