বাংলারজমিন
হানিফ বাংলাদেশির এবার প্রতীকী লাশের মিছিল
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবারহানিফ বাংলাদেশি এবার সীমান্ত হত্যা ও বিদেশি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে মাঠে নেমেছেন। তার নেতৃত্বে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া প্রতীকী লাশের মিছিলটি পঞ্চগড়ে পৌঁছেছে। গতকাল বিকালে জেলা শহরের মুক্তমঞ্চ থেকে মিছিলটি পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। লাশের মিছিল বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে। হানিফের সঙ্গে রয়েছেন এন ইউ আহম্মেদ, সৌরভ বেলাল ও আরিফ। কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, প্রতিবেশী দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের সংগঠনের হিসাবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১ হাজার ২৭৬ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৮৩ জন। আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মর্টারশেলে দু’জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালেও আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি। তিনি আরও বলেন, বাংলদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সঙ্গে সব সময় বৈরী আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর বলা হয় এরা গরু চোর-চোরাকারবারি। হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি। এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
হানিফ বাংলাদেশি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারণে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর খবরদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনো কোনো দেশের আগ্রাসন-দাদাগিরি মেনে নেয়নি। নতুন প্রজন্মও কোনো দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়।