পাকুন্দিয়ায় নৌকাডুবিতে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে শাপলা আক্তার (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী মারা গেছে। এ ছাড়া আবির (৭) ও জুবায়েদ (৬) নামে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরআলগী গ্রাম থেকে ছোট নৌকায় করে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বিরুই নদীর পাড় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাপলা আক্তার চরআলগী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে। এ ছাড়া নিখোঁজ আবির একই গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে ও জুবায়েদ চরআলগী গ্রামেরই মোমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তারা তিনজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার তৎপরতা চালালেও আবির ও জুবায়েদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, চরআলগী গ্রাম থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী ছোট একটি নৌকা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলো। ব্রহ্মপুত্রের স্রোতের তোড়ে ছোট নৌকাটি দত্তের বাজার এলাকার কাছাকাছি যেতেই ডুবে যায়। এ সময় শাপলাসহ সাত শিক্ষার্থী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয় এবং দুই শিশু আবির ও জুবায়েদ তলিয়ে যায়। আবির সাঁতরে তীরে ওঠা শাপলার ভাইপো হওয়ায় তাকে উদ্ধারের জন্য সে নদে নেমে সে-ও নদের পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। উদ্ধার তৎপরতার একপর্যায়ে শাপলা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই শিশু আবির ও জুবায়েদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর পরই তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।