শেষের পাতা
ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টে এসে কিশোরীর বিচার দাবি
বিজিবি সদস্যকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
নীলফামারীর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা থেকে বিজিবি’র এক সদস্যকে অব্যাহতির আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিজিবি’র ওই সদস্যকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে কিশোরীর মায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৬শে জুন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন কিশোরীর মা। এ আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর গতকাল শুনানি হয়। আদালতে আপিলকারীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বদরুন নাহার শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। নথি থেকে জানা যায়, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় ২০২০ সালের ২১শে নভেম্বর মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ও দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারায় আকতারুজ্জামান নামের বিজিবির এক সদস্যকে আসামি করে ওই মামলাটি করা হয়। মামলায় নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়, যেখানে আসামিকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলা হয়। এর বিরুদ্ধে নারাজি দেন মামলার বাদী কিশোরীর মা। গত ১৭ই মে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ও বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে কিশোরীর মা হাইকোর্টে আপিল করলে এই আদেশ দেন।
গত ১৫ই জুন মাকে নিয়ে নীলফামারী থেকে হাইকোর্টের এজলাসে বিচার চায় ওই কিশোরী। ধর্ষণের শিকার জানিয়ে সেদিন কিশোরী আদালতে বলে, আমরা গরিব মানুষ, টাকাপয়সা নাই। আমি ধর্ষণের শিকার। একজন বিজিবি সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেছেন। নীলফামারীর আদালত তাকে খালাস দিয়ে দিয়েছেন। আমি বিচার চাই। কিশোরীর বক্তব্য শুনে সেদিন একই বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে কিশোরীর মামলাটি নিতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে বলেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড থেকে কিশোরীর পক্ষে আপিল করা হয়।