শেষের পাতা
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের যমুনামুখী মিছিল
লাঠিচার্জ, জলকামান সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের যমুনা অভিমুখী মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। নিজেদের দাবি আদায়ে গতকাল রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখী যাত্রা করলে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। রাস্তা ছেড়ে দিতে প্রথমে সময় বেঁধে দেয় পুলিশ। নির্ধারিত সময়ে তারা না সরলে লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুনর্বহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি- এই তিন দাবি আদায়ে গতকাল সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে শাহবাগে জড়ো হন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। শাহবাগ থেকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা হন। মিছিলটি কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গেলে সেখানে আগে থেকে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থানে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেন। পুলিশি বাধার মুখে কাকরাইল মোড়েই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত বিডিআর সদস্যরা।
নিজেদের দাবি নিয়ে কাকরাইল মোড়ে অবস্থানের একপর্যায়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বিডিআর সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বিডিআর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। এখানে সভা-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। এরপরও আপনারা এখানে মিছিল নিয়ে এসেছেন। আপনাদের ৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে উপদেষ্টার কার্যালয়ে চলেন। কথা বলে সমাধান করেন। বাকিরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ মিনারের দিকে চলে যান। অন্যথায় আমরা বলপ্রয়োগ করবো। তবে আন্দোলনকারী বিডিআর সদস্যরা পুলিশের কথা না শোনায় তাদেরকে স্থান ত্যাগ করতে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন ডিসি মাসুদ। ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান থেকে পানি ও একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। কিন্তু পানি ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোয়াক্কা না করে ব্যানার নিয়ে সড়কের মাঝেই অবস্থান করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এরপরও রাস্তা না ছাড়ায় নারী-পুরুষসহ ৮-১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের ধীরে ধীরে মৎস্যভবনের দিকে নিয়ে যায়।