শেষের পাতা
ব্রিফিংয়ে ফয়েজ তৈয়্যব
মতামত দিয়েছি দুদককে নির্দেশ দেইনি
স্টাফ রিপোর্টার
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বিতর্কিত প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, আমি এবং আমার মন্ত্রণালয় কোনো দুর্নীতিতে যুক্ত নেই। আমরা শুধু চিঠি আদান-প্রদান করে মতামত প্রকাশ করেছি। সহযোগিতা চেয়েছি। এর বাইরে কোনো নির্দেশ দেইনি। আর এটি না হলে ৬০০ কোটি টাকা গচ্চা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তাধীন একটি প্রকল্প চালু রাখার জন্য দুদকে চিঠি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই চিঠির ব্যাখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, কিছু বিশেষ কোম্পানি বিটিসিএলকে মার্কেট থেকে বের করে দিতে চায়। এই বক্তব্য যখন তুলে ধরা হয়, তখন বিস্তারিত জানানো হোক। সেই রেফারেন্সে দুদক চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি লেখা। যেহেতু টাকাটা চলে গেছে, যেহেতু বিটিসিএলের ক্যাপাসিটি সমপ্রসারণ দরকার। বর্তমানে যে সক্ষমতা আছে, সেটি জেলা পর্যায়ে মাত্র এক জিবিপিএস, এটা দিয়ে ভালো মানের ইন্টারনেট সেবা প্রায় অসম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, এ মুহূর্তে বিটিসিএল যদি এই নেটওয়ার্ক যুগোপযোগী না করে, তাহলে দ্রুতই সে বাজার থেকে বের হয়ে যেতে পারে। এখন যেহেতু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নেটওয়ার্ক যুগোপযোগী করছে এবং বিটিসিএল বিভিন্ন ঝামেলার কারণে এই কাজ বন্ধ হয়ে আছে, সে জন্য বিটিসিএলের ফাইবার নেটওয়ার্ক বর্ধিত করা যাচ্ছে না। আবার বলা হচ্ছে বিটিসিএলের মূল প্রকল্পের মধ্যে দু’টি বিষয় আছে, একটি আইপি নেটওয়ার্ক, আরেকটি হচ্ছে ফাইবার ডিডব্লিউভিএম নেটওয়ার্ক। আইপি নেটওয়ার্কের কাজ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু সেই ৩০০ কোটি টাকা কোনো কাজে আসছে না। কারণ, সেই নেটওয়ার্কের যে সার্ভারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো সংযোগ করার জন্য ডিডব্লিউভিএম নেটওয়ার্কটি দরকার। এজন্য যুক্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। যেহেতু টাকাগুলো চলে গেছে, কাজটা করতে দেয়া হোক। যেহেতু ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত যন্ত্রপাতি আনা দরকার। তারা একটি কমিটি করে দেবেন, সেই কমিটি নিশ্চিত করবে, প্রতিশ্রুত যন্ত্রপাতি আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে ব্যক্তিগতভাবে, আমার মন্ত্রণালয় ও আমাদের সরকারকে চরিত্রহননের একটা চেষ্টা হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি এবং আমার মন্ত্রণালয়ে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তারা কোনো দুর্নীতিতে জড়িত নয়।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও বলেন, এখানে এ প্রকল্পের বিপরীতে দুদকের পর্যবেক্ষণ ছাড়া কোনো ধরনের মামলা নেই। সুতরাং যে বিষয়টি করা হচ্ছে তারা বলছেন যদি এই কাজটি না করা হয় এবং এলসি না খোলা হয়, তাহলে দু’টি ঘটনা ঘটবে। ৩০০ ও ৩০০ মিলিয়ে মোট ৬০০ কোটি টাকা গচ্চা যাবে। একই সঙ্গে বিটিসিএল দুর্বল হয়ে এই বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।
পাঠকের মতামত
ওনার কথাটি এ রকম। আমি ঘাশ কাটতে বলেছি গাছ কাটতে বলেনি। উনি সব মানুষকে বোকা ভাবেন তাই না।