শেষের পাতা
৫ মাসের যমজ ২ কন্যাকে পুকুরে ফেলে হত্যা, বাবা-মা ও চাচা আটক
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৫ মাসের যমজ ২ শিশুকন্যাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী এলাকার একটি পুুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশু দু’টির বাবা-মা ও চাচাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার বিবন্দী গ্রামের দিনমজুর সোহাগ শেখের (২৮) সঙ্গে দুই বছর আগে একই উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শান্তার (২৪) বিয়ে হয়। ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। সোমবার রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টগোলের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে জানতে পারেন বেশ কিছুক্ষণ আগে শিশু লামিয়া ও সামিহাকে পার্শবর্তী পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়ছে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধারের পর তাদের মা শান্তা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুদের বাবা সোহাগ শেখ তাদেরকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। অপরদিকে সোহাগ শেখের দাবি, তার স্ত্রী শান্তাই এই কাজ করেছে। সোহাগ শেখের বাকপ্রতিবন্ধী ভাই মামুন ইশারায় প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন ভাবী শান্তার দিকে। পুলিশ তাদের তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিনথিয়া নুর বলেন, রাত সোয়া ৯টার দিকে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু দুটির মা, বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শী দাবিদার শিশুদের বাকপ্রতিবন্ধী এক চাচাকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্রীনগর থানা পুলিশের পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।