শেষের পাতা
নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না: সিইসি
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার
জাতীয় নির্বাচন ভালো হয়েছে কি মন্দ হয়েছে-সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি। সামনে অনেকগুলো নির্বাচন রয়েছে। সেগুলো খাটো করে দেখার বিষয় নয়। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সবসময় বলেছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক। আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম, বিএনপি’র জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুখে বলেছি, টেলিফোনে বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। ওনারা আহ্বানে সাড়া দেননি। আমরা খুবই খুশি হতাম-যদি নির্বাচন আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। তাহলে ভোটার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরও বেশি হতো। তিনি বলেন, বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না, অবৈধ হবে না। কিন্তু, নির্বাচনের সর্বজনীনতা, গ্রহণযোগ্যতা, ন্যায্যতা খর্ব হতে পারে।
উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, শুনেছি এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে না। গণমাধ্যমে তাই দেখলাম, এটা ভালো। কারণ এটা তো রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়, এলাকাভিত্তিক নির্বাচন। কাজেই স্থানীয় সরকারের সীমিত ক্ষমতা থাকে, পরিপূর্ণ ক্ষমতা হয়তো থাকে না। আমি খুব একটা বলতে চাই না। হয়তো পাকিস্তানের দৃষ্টান্ত এসে যেতে পারে। সেখানেও একটা নির্বাচন...এটা বেশ সাড়া জাগানো নির্বাচন হয়েছে। আমি ওর বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। সেটাও একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে।
সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে জনপ্রিয়, জনগণকে যারা ভালোবাসে, জনগণের সঙ্গে যাদের পরিচিতি আছে; তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করবেন। তিনি যে দলেরই হোক। তারা অংশগ্রহণ করুক এবং নির্বাচিত হয়ে জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি যাতে পূর্ণ করতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্তি করি।
গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, অনেক সময় রাষ্ট্রের অন্যান্য স্তম্ভগুলো যখন কাজ করে না। তখন কিন্তু সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একসঙ্গে করে। সব দায়িত্বগুলো নিয়ে ফেলে। সমাজকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখে। বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করা না হলে, সেখানে গণমাধ্যম এগিয়ে এলে জবাবদিহিতার একটি জায়গা আছে। সেটি আরও পরিস্ফুটিত হতে পারে এবং এটি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শুধু প্রশংসা নয়, যেখানে সমালোচনা প্রয়োজন সেখানে সমালোচনা করতে হবে। এতে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। গণমাধ্যমে সেটা ছাড় দেবে না। এটাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আমি যথেষ্ট আস্থাশীল।
আরএফইডি’র নবনির্বাচিত সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না” : সিইসি!!!
I can not blame CEC for his failure to conduct neutral election. He was helpless, he had to obey what one supreme person told to do.
“নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না” সিইসি। এই যদি হয় আপনার বক্তব্য, তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার বক্তব্যে সত্য কথা বেরিয়ে আসছে।
এগুলো জনগণ আগেই জানে বলার কি আছে
বিবেচ্য বিষয় চাকরি, পদোন্নতি, আরাম, আয়েশ, চুক্তি নবায়ন /বৃদ্ধি...... ( জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ)...
“নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না” : সিইসি- অর্পিত গুরু দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছি কিনা সেটাই বিবেচ্য।
নির্বাচনের খরচ যদি হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তোমার পদ-পদবী, অফিস যদি হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তাহলে নির্বাচন ভাল-মন্দের হিসাব তোমাকে দিতেই হবে। এমনকি বিচারও হতে পারে। মনে রাখবা নির্বাচন কমিশনের চাকরি তোমার বাপ-দাদার জমিদারি নয়। যা খুশি তাই করবে।
এবার তাহলে থলের বিড়াল বের হলো---- নির্বাচন ভালমন্দের দায় নির্বাচন কমিশনের নয়--- যদিও নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব এবং তত্বাবধানেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশনের দায় শুধু তাদের উর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রকদের ইচ্ছা আর ভালবাসা পূরণ করতে পেরেছে কিনা----তাহলেই নির্বাচন কমিশন সফল গর্বে গর্বিত!
Try to be gentle after so called 7 January Felany day elction.Public can understand better then CEC.
জনাব আপনি পারেনও বটে। অবসরে গেলে অভিনয়ে যোগ দিলে বেশ ভাল করতে পারবেন।
আসলে ওনাদের বিষয় কোনটা সেটাই এখন পর্যন্ত জানতে পারলাম না!
এবার দয়া করে জাতিকে আপনার lecture দেয়া থামান. আপনার কথাবার্তা বিরক্তিকর, অনাকাঙ্কিত ও ভন্ডামিতে পরিপূর্ণ.
“নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না” : সিইসি। সিইসির একমাত্র বিবেচ্য ওনার ভাতঘুম ভালো হয়েছে নাকি হয় নাই। এই রকম সত্যবাদী আমাদের সমাজে খুব একটা দেখা যায় না।
পাকিস্তানে সরকার ক্ষমতা থেকে নির্বাচন করেনি এটা মনে রাখতে হবে!