ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মত-মতান্তর

শ্রীলংকার শাসনতান্ত্রিক ক্রমবিকাশ ও সাম্প্রতিক দুর্দশা

ইফতেখার আহমেদ খান

(১ বছর আগে) ২৯ জুন ২০২২, বুধবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৬ অপরাহ্ন

mzamin

শ্রীলংকায় সর্বপ্রথম পর্তুগীজরা (১৫৯৪-১৬৫৮) কলোনী স্থাপন করে। এরপর ১৬৩৮ সালে ডাচরা শ্রীলংকায় প্রবেশ করে। ১৬৫৮ সালে ডাচরা পর্তুগীজদের তাড়িয়ে দেয়। ১৭৯৬ সাল পর্যন্ত ডাচরা শ্রীলংকায় অবস্থান করে, তারা পুরো শ্রীলংকার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। শ্রীলংকানরা তখন বৃটিশদের আহ্বান জানায়। বৃটিশরা এসে পুরো শ্রীলংকার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। ১৮৩০-এর মধ্যে তারা পুরো শীলংকার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করে। বৃটিশরা শ্রীলংকাকে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল- এই দুইভাগে বিভক্ত করে প্রশাসনিক বিন্যাস আনে। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বৃটিশ উপনিবেশ শ্রীলংকায় বলবৎ থাকে। 

১৯২০-এর মাঝামাঝি সময় শ্রীলংকায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনগুলোর প্রকৃতি খুব তীব্র ছিল না, এরুপ ধারাবাহিকতায় ১৯৩০-এর দশকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আর্বিভাব ঘটতে থাকে।

বিজ্ঞাপন
সে সময়ের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল স্বায়ত্ত্বশাসন। ১৯৪৪ সালে একটি কমিশন প্রণীত হয়, যার নাম ছিল সোলবারী (Soulbury Commission) কমিশন। এই কমিশনের মূখ্য কাজ ছিল স্বায়ত্তশাসনের রুপরেখা তৈরি করা এবং সেমতে একটি কার্যকর প্রতিবদেন প্রণয়ন করা।

কমিশনের প্রতিবেদেন মোতাবেক প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিকনীতি ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসিত শাসনের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে উল্লেখ করা হয় বিদেশনীতি এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বৃটিশরা সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশনের এই সুপারিশ বৃটিশ পার্লামেন্টেও অনুমোদন লাভ করে। কমিশনের সুপারিশ মতে স্বায়ত্বশাসন আনয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৭-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে ডাডলি সেনানায়কের নেতৃত্বে প্রথম স্বায়ত্তশাসিত সরকার গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শ্রীলংকার রাজনৈতিক ধারায় কিছু পরিবর্তন আসতে থাকে, তারা ভারতবর্ষের স্বাধীনতায় উৎসাহী হয়। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের মাঝে পূর্ণ স্বাধীনতার ইচ্ছা জাগ্রত হয়।

সেনানায়ক এরুপ অবস্থায় স্বাধীনতার ডাক দেয় এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে একটি আইন পাশ করা হয় যার নাম সিলন ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক্ট। ১৯৪৮-এর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সেনানায়কের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বৃটিশরা  সেদেশ থেকে চলে যায়। শ্রীলংকার অর্থনৈতিক উপায়ের উৎস ছিল কৃষি, চা, রাবার, কফি, নারিকেল, নারিকেল তৈল ইত্যাদি। শিল্পের দিক থেকে শ্রীলংকা খুব দূর্বল অবস্থায় ছিল, শিল্পের প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপাদান সন্তোষজনক মাত্রায় ছিল না। তবে রাবার এবং চা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে ওঠেছিল। জ্যামস স্টোন শ্রীলংকার বিখ্যাত পাথর।

উল্লেখ, জরুরি স্বাধীনতার পর পরই শ্রীলংকায় নিজস্ব সংবিধান প্রণয়ন হয়নি।  সোলবারী কমিশনকেই সংবিধান ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু হয়। সোলবারী কমিশনে ক্যাবিনেট সরকার গঠনের ব্যবস্থা গৃহীত হয় কিন্তু সেটা রিপাবলিক ছিল না, রাষ্ট্রের প্রধান ছিল রাজা বা রাণী। তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সেনানায়ক এই পদ্ধতিতেই শাসন চালান। এই সংবিধানই শ্রীলংকায় বলবৎ থাকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ স্বাধীনতার ২৪ বৎসর পর্যন্ত শ্রীলংকায় স্বাধীন নিজম্ব কোন সংবিধান ছিল না। 

৬০-এর দশকে শ্রীলংকার রাজনীতি ও অর্থনীতির চিত্রটি এমন- অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বামপন্থী রাজনৈতিক দলের আর্বিভাব ইত্যাদি। তারা সমন্বিতভাবে চলমান রাজনৈতিক ধারার বিরোধীতা করতে থাকে। এই সময় শ্রীলংকান ফ্রিডম পার্টি (SLFP) গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন একজন মহিলা যার নাম শ্রীমাভো বন্দরনায়েক।

তিনি বামদলের সমর্থনে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করেন। তাদের মূল রাজনৈতিক দাবি ছিল নতুন সংবিধান যেখানে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে রাজা-রাণী ব্যবস্থার অবসান হবে। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে শ্রীলংকান ফ্রিডম পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তারাই ১৯৭২ সালে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে। প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার (Cabinet form of Govt.) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর কয়েকটি প্রকৃতি এইরুপ-রিপাবলিক ঘোষণা, ক্ষমতাশালী ক্যানিবেট, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছিল না, স্বাধীন বিচার-ব্যবস্থার অনপস্থিতি, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান ইত্যাদি। 

বিশেজ্ঞদের মতে, এটা প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক সংবিধান ছিল না, প্রচন্ড ক্ষমতাশালী ক্যাবিনেট গড়ে তোলা হয়েছিল যা ছিল ক্যাবিনেটের একনায়কতন্ত্র। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই মূলত ইউনাইটেড ফ্রন্ড গঠন করা হয়েছিল। এর পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়ে যায়। তামিল এবং সিংহলীদের মধ্যে জাতীগত বিরোধের সূত্রপাত ঘটে এবং নানাদিক থেকে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। সমগ্র শ্রীলংকার সকল আদালতের জন্য সিনহালা ভাষাকে আদালতের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়- এটাই শ্রীলংকার এথনিক সংকটের মৌলিক কারণ। তামিলরা আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করে, তাদের প্রত্যাশা ছিল একটি ফেডারেল স্টেট বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার যেখানে জাফনা একটি আলাদা প্রদেশ হবে। 

তামিল সংকটের উদ্ভব মূলত  সেখান থেকেই। এরই প্রেক্ষাপটে শ্রীমাভো ১৯৭০-এর মাঝামাঝিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারী করে। এতে আন্দোলন আরো তীব্রতা লাভ করে। ১৯৭৭ সালে নতুন নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (United National Party) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তারা যুগোপযোগী নতুন সংবিধান প্রণয়নের সিন্ধান্ত নেয়। ১৯৭৮ সালের ১লা আগস্ট নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। এটা বর্তমানে ও কার্যকর। এর নাম গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক শ্রীলংকা (Democratic Socialist Republic of Srilanka) ৭৭-এর নির্বাচনে ইউএনপি ১৬৮ আসনের মধ্যে ১৪০টি আসন লাভ করে অর্থাৎ দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। এর নেতৃত্ব দেন জয়বর্ধন। 

তৃতীয় বিশ্বে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা শাসনব্যবস্থায় নেতিবাচক উপাদান বয়ে আনে। নিরঙ্কুশ জয়লাভ কর্তৃত্ববাদী শাসনে উৎসাহী করে। এই সংবিধানের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে এটি মন্ত্রীপরিষদ ও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের একটি মিশ্রণ যেখানে কক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে প্রচণ্ড ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আর্টিকেল ৩০-এ বলা হয়েছে- শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং নির্বাহী প্রধান এমন কী সামরিক বিভাগের সকল শাখার প্রধান। এটিকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বললেও ভুল হবে না। 

ফ্রান্সের ৫ম সংবিধানের ব্যবস্থাকে অনেকটা অনুসরণ করা হয়েছে এই সংবিধানে। তথাপি ফ্রান্সের সেই শাসনব্যবস্থার সঙ্গে এর মৌলিক তফাৎ আছে। সেখানে এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি চাইলে কর্তৃত্ববাদী শাসনে রূপ নিতে পারেন কিন্তু ফ্রান্সে এরূপ নয়। অন্যান্য সকল ধর্মচর্চার স্বাধীনতা দেয়া হলেও বৌদ্ধ ধর্মকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়। এই সংবিধানের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো ভাষার ক্ষেত্রে বৈষম্য। আর্টিকেল ১৮-২৫ পর্যন্ত ভাষা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সারা দেশের কর্মসংস্থান বাস্তবতায় উল্লেখ করা হয় দাপ্তরিক ভাষা না জানলে নাগরিক কর্মসংস্থান লাভে সামর্থ্য হবে না। 

সিনহালা ও তামিল উভয় ভাষাকে জাতীয় ভাষা করা হয়েছে। তবে সিনহালাকে দাপ্তরিক ভাষা করা হয়। শুধু উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের প্রদেশে তামিলকে দাপ্তরিক ভাষা করা হয়। তামিল সমস্যা ১৯৭৮ সালের সংবিধান প্রণয়ন করার পর থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। তবে সেই সংবিধানের কিছু কিছু উপাদান একে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যেমন, ১৯৭৮ সালের শ্রীলংকার সংবিধানে রাষ্ট্রপরিচালনার কিছু মৌলনীতির কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের মৌলনীতির মধ্যে বলা হয়েছে গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক রিপাবলিক। (Democratic Socialist Republic). এই নীতিসমূহ দ্বারা যা বুঝায়- এমন সমাজব্যবস্থা যার উদ্দেশ্য নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। 

জনগণের কল্যাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান সমাজে সামাজিক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সুবিচার নিশ্চিত করবে। পর্যাপ্ত খাদ্য, পরিচ্ছেদ, গৃহায়ন, অবসর বিনোদন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সুযোগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে জনগণের উপযুক্ত জীবনযাপন (Standard of Living) নিশ্চিত করবে। সমগ্র দেশের দ্রুত উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় আর্থিক খাতকে উৎসাহী করবে। দ্রুত উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী সামাজিক লক্ষ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্র সকল প্রকার পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও সমন্বয় নিশ্চিত করবে। 

রাষ্ট্রের বস্তুগত সম্পদ এবং সামাজিক উৎপাদন সকল নাগরিকের মাঝে সমভাবে বিতরণ ও বন্টিত হবে। এমন একটি সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যেখানে উৎপাদনের উপকরণ ও উৎপাদন বিতরণ ও বিনিময় কেন্দ্রীভূত হবে না। রাষ্ট্রের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি বা কতিপয় ব্যক্তি বা কোনো সুবিধাভোগী শ্রেণির হাতে কেন্দ্রীভূত হবে না। 

নাগরিকগণের মানবসত্তার উন্নয়নের জন্য নৈতিক মানের উৎকর্ষ সাধন করবে এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। নিরক্ষরতা সম্পূর্ণরূপে দূর করা হবে এবং এমন শিক্ষা প্রবর্তন করা হবে যেখানে সকল নাগরিক উচ্চ শিক্ষার উপযুক্ত সুযোগ পায়। শিক্ষার সকল পর্যায়ে নাগরিকগণের অধিকার থাকবে। তাছাড়ও মৌলিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপাদান সংযোজন করা হয়েছে। 

যে সমস্ত মৌলিক অধিকার মানুষের মানসিক বিকাশে প্রয়োজন তা সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, চিন্তা ও ধর্মের স্বাধীনতা, নিপীড়ন থেকে মুক্তি, আইনের দৃষ্টিতে সমতা (নির্বিশেষে), রাষ্ট্র কর্তৃক ইচ্ছেমত আটকাদেশ ও বন্দিত্ব থেকে মুক্তি, বলার স্বাধীনতা, সমিতি গড়ার স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার, ইচ্ছে মতো পেশার অধিকার, বিচরণের অধিকার ইত্যাদি।

সংবিধানের মৌলনীতির ব্যখ্যায় একটি রাষ্ট্রীয় সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মর্যাদার চাক্ষুস উপাদানের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। বস্তুতপক্ষে রাষ্ট্র উদ্ভবের উদ্দেশ্য এগুলোই। তা না হলে রাষ্ট্রের প্রয়োজন কী? কল্যাণ কিংবা উন্নয়ন কিংবা মর্যাদা ইত্যাদি সকল কিছু সর্বজনীন হওয়ার নিরিখেই রাষ্ট্রবিহীন সমাজের অবস্থা হতে রাষ্ট্রযুক্ত সমাজের অভ্যুদয় ঘটেছে অর্থাৎ রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে। 

পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের বেলায় এ কথা প্রযোজ্য। এখন শ্রীলংকার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক দুর্দশা ও একে কেন্দ্র করে পুরো রাষ্ট্রটি সর্বশান্ত হয়ে যাওয়ার পেছনে জনগণের কোন ভূমিকা নেই। ভূমিকা শুধু ওই এক শাসকের। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, জন-দূরত্ব, পরিকল্পনাহীনতা, উদাসীনতা ইত্যাদিই শ্রীলংকার সর্বশান্ত হয়ে যাওয়ার কারণ। মেগাপ্রকল্প, বিদেশী ঋণ, বন্দর-নগর গড়ে তোলা- ইত্যাদির ব্যর্থতা অনুসন্ধান করে দেশটির সর্বনাশের কারণ উদঘাটন জরুরি হলেও আরো বেশি জরুরি এটা ব্যখ্যা করা দেশটির শাসক কী নির্মমভাবে তার অনুসৃত -গৃহীত অনুজ্ঞা হতে সরে এসেছে। 

রাষ্ট্র পরিচালনার সংবিধানের মৌলনীতির ব্যখ্যা অনুযায়ী যে সমাজ গড়ে তোলার কথা তার সাথে শাসকের ব্যবহারিক আচরণের এই বিস্তুর তফাৎ রাষ্ট্র উদ্ভবের মৌলিক উদ্দেশ্যকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়। 
লেখক: উন্নয়নকর্মী, কথাশিল্পী
[email protected]
 

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

   

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবদলই সরকার সমর্থিত / ভোটের মাঠে নেই সরকারি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো বিরোধীদল

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status