মত-মতান্তর
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আওয়ামী লীগকে কীভাবে ডিল করবো?
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
(২ মাস আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
'শুট অন সাইট' বা দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়ে সরাসরি একটি গণহত্যায় অংশ নেয়া দলের পরিণতি হয় নিষিদ্ধ হওয়া নতুবা গণবিচারের মুখোমুখি হওয়া। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে অবধারিতভাবে দুটির একটি কিংবা উভয়টির মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অপরাধ করেছেন । বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধগুলোকে তিনটা শ্রেণিতে বিভক্ত করা যাবে-
১। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ কিংবা গণতন্ত্র হত্যা জনিত অপরাধ।
২। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত অপরাধ
৩। ছাত্র জনতার গণহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধ
এজন্য তিনটি বিশেষ ট্রাইবুনাল হবে। দ্রুত বিচার নয়, নিয়মতান্ত্রিক কিন্তু ইফিশিয়েন্ট ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম ধারার অপরাধের বিচারে 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধের বিচার ট্রাইব্যুনাল' হবে। এখানে বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, মিছিলে সভা সমাবেশের হামলা, কার্যালয়ে তালা সহ যেকোনো বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক নির্যাতন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির জন্য একটি বিশেষ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সকল বৈধ রাজনৈতিক দল নিধনে, ভাঙনে, বিদ্যমান দলের মিরর কিংস পার্টি করা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি হামলা মামলা জেল, গায়েবি মামলা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গুম খুন বিচারবহির্ভূত হত্যা তথা ক্রসফায়ার ইত্যাদির বিচার হবে এখানে। পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন, রাতের ভোটের নির্বাচন, ভোট জালিয়াতি ইত্যাদির বিচার হবে।
এখানে স্পষ্টভাবে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে, এবং বিগত ১৫ বছরের সকল স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্ত এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আগামী ১৫ বছর সব ধরনের জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে। গণতন্ত্র হত্যার অপরাধে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৩ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া সকল আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আগামী তিন টার্ম পর্যন্ত নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে।
দ্বিতীয় ধারার ট্রাইব্যুনালটি হবে নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত মানবাধিকার বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য। কাজটি বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে (আইসিটি) করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ট্রাইবুনালটির ত্রুটি গুলো শুধরিয়ে একে মানসম্পন্ন করতে হবে। এ ট্রাইবুনাল ভয়ের সংস্কৃতি বিস্তারে নাগরিকদের উপরে চালিত, নজরদারি হয়রানি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন সহ সব ধরনের গুম খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার হবে।
তৃতীয় ট্রাইবুনালটি বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে ছাত্র জনতার গণহত্যার জন্য। কাজটি আইসিটির মাধ্যমে করা যেতে পারে, তবে অতীত বিতর্ক এবং ক্যাপাসিটি জনিত কারণে নতুন আরেকটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করাই ভালো।এটা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নির্দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের (প্রায় এক হাজার হত্যা) বিচার করবে। পাশাপাশি নিখোঁজ এবং আহত প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি করবে।
অর্থাৎ গণতন্ত্র হত্যা, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ছাত্র জনতার গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে আলাদা আলাদা ট্রাইবুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিচার প্রক্রিয়ার মান বজায় রাখতে সক্ষম হলে এই তিনটা ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যাবে। মান ধরে রাখা গেলে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বন্ধ, গ্রস হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন (এনফোর্স ডিজেপিয়ারেন্স এবং এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং) এবং ছাত্র জনতার গণহত্যা (কার্নেজ) প্রশ্নে যেকোনো বিচারে জাতিসংঘ সহ পশ্চিমাদের সরব এবং নিরব সহায়তা পাওয়া যাবে।
ধারণা করা যায়, এসব গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী আমলাতন্ত্র, পুলিশ গোয়েন্দা সহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা অভিযুক্ত হয়ে পড়বেন। আমরা চাই বিচার প্রক্রিয়া গুলো ন্যায্যতা নিশ্চিত করে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল চাই না। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল অনেক সময় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় না।
চাইলে সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারের জন্য আলাদা একটা ট্রাইব্যুনাল করা যেতে পারে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংগঠিত মেগা দুর্নীতি পাচার লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপচয় সংক্রান্ত ইসুগুলোকে দেশের স্বাভাবিক আইনের অধীনে বিচারকি প্রক্রিয়ায় নেয়া হবে।
তথ্য টেলিকম এবং আইসিটির উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানও একই বক্তব্য দিয়েছেন। যদিও আইন, সংস্কৃতি এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল, তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া হলেও নাগরিক সমাজের কেউ কেউ মৌন কিংবা সরবভাবে তাঁর অবস্থানকে সমর্থনও করেছেন।
উপরে যে তিনটি বিচারকি ট্রাইবুনালের কথা বলেছি, এ তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে আমি আশা করি আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার দরকার পড়বে না। যেহেতু আওয়ামী লীগ দলটির সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটা গভীর সংযোগ আছে, তাই ইতিহাসের কাঠগড়ায় রাজনৈতিক প্রশ্ন না উঠিয়ে বরং মানসম্পন্ন বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কৃত অপরাধের জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়া করানো কে আমি অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করি।
এরপরে দরকার হলে, জনতা চাইলে, গণআদালতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে।
দুই
লেখক ও গবেষক জিয়া হাসান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তিন ধরনের অ্যাকশন নিতে বলেছেন। এক- অর্থনৈতিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দেওয়া। দুই- রাজনৈতিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দেওয়া। তিন- ফ্যাসিস্ট চেতনা ইন্ডাস্ট্রিকে ভেঙ্গে দেওয়া।
আমি মনে করি, উপরোক্ত তিন ধরনের অপরাধের বিচার ক্যাটাগরিক্যালি এবং মানসম্পন্নভাবে করে আওয়ামী লীগের অপরাধীদের স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে নিয়ে গেলে তাদের রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে দেওয়া যাবে, এবং দলটি নিষিদ্ধের প্রয়োজন পড়বে না। এতে রাজনৈতিক বিতর্ক এড়ানো যাবে।
তবে আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে আমার ভিন্নমত আছে। অর্থনৈতিক কাঠামো না ভেঙে বরং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের থেকে নাশকতামূলক স্যাবোটাজ ফান্ডিং বন্ধ করার ফাইনানশিয়াল মনিটরিং এর পক্ষে আমি। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মালিকানাধীন শিল্প কারখানা এবং ব্যবসাগুলো জাতীয় সম্পদ। এসব তাদের পকেটের টাকায় নির্মিত হয়নি বরং হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের টাকায়। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা সহ সকল শিল্প উৎপাদনকে শতভাগ সচল রাখতে হবে। প্রয়োজনে শিল্প এবং ব্যবসায় অত্যন্ত দক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। এমনভাবে, যাতে একটি ঘণ্টার জন্যেও ব্যবসা এবং শিল্প কারখানা এগুলোর উৎপাদন এবং কর্মকাণ্ড ব্যাহত না হয়। অপরাধী মালিকদের বিচার প্যারালালি চলবে। কোনো ব্যবসা ও শিল্প দখল হবে না। অর্থনীতিতে কোনো প্যানিক তৈরি করা যাবে না।
তবে হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের লাগাম টানা জরুরি। জিয়া হাসান মনে করেন সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের আয়ের সূত্র যাচাই, ‘ট্র্যাক এন্ড ট্রেইস’ কাজটা অনৈতিক মনে হইলেও বাস্তবে অনৈতিক না কেননা এরা নাগরিকদের সাদাকালো শিবিরে ভাগ করে গণতন্ত্র হত্যা অংশ নিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং স্বৈরাচারের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করেছে যা আদতে রাষ্ট্রবিরোধী। এই ফ্যাসিস্ট কাঠামো শেখ হাসিনার ক্ষমতার পাটাতন নির্মাণ করেছে। তাদের ফিনান্সিয়াল নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে দেখা যায়, এরা বিভিন্নভাবে ঋণখেলাপি সহ লুটপাটের অংশ ছিল। এদেরকে দৌড়ের উপরে রাখলে, এরা সামনে এসে বিষের ছোবল দিতে ভয় পাবে। এই মেশিনারি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্প এবং সাহিত্যকেও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক করে তুলেছে।
আমি স্বৈরাচারী এবং ব্রামন্যবাদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে মব জাস্টিস চাই না, বরং আওয়ামী কালচার ও সংগঠনের বিপরীতে নতুন সক্ষম সংস্কৃতির বিকাশ চাই, নতুন সংগঠন চাই। আওয়ামী চেতনাবাদি সাংস্কৃতিক কর্মসূচির বিপরীতে মুক্ত এবং মননশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি চাই।
আমাদের সামনে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আওয়ামী সুশীল সমাজ এবং তাদের এলিট পাওয়ার প্লেয়াররা, স্বৈরাচারী পাওয়ার নেক্সাসে নতুনদেরকে (গণঅভ্যুত্থানে উঠে আসা ছাত্র নেতৃত্ব) ভর্তি করবে না। এমতাবস্থায় এই এলিট পাওয়ার নেক্সাস ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের উচিত হবে 'নিউ সিটিজেন সোসাইটি' তৈরি করা, নিউ মিডিয়া তৈরি করা, নিউ ইনটেলেকচুয়াল সোসাইটি তৈরি করা। যেখানে শহর এবং গ্রামের, পাহাড় এবং সমতলের, নারী এবং পুরুষের, ধর্ম কিংবা বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না। সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর অধিকার যেখানে সুনিশ্চিত থাকবে।
এভাবেই আমরা বিচারকি প্রক্রিয়ায়, অর্থনৈতিক ন্যায্যতায় এবং নতুন সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে নতুন সোসাইটি গড়ে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শক্তিকে পরাজিত করে দিতে পারব। আমি কোনো শর্টকাট পথ চাই না, শর্টকাট পথ টেকসই নয়। গণঅভ্যুত্থান আজকের বাংলাদেশে একটি নতুন সচেতন নাগরিক সমাজ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিকভাবে সচেতন এই জনগোষ্ঠীকে একটা 'পলিটি'তে রূপ দিতে হবে। যেটা বাংলাদেশের মননশীল মানুষের সামষ্টিক সৌন্দর্যকে এবং সাধারণ নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষাকে নিপুণ দক্ষতার সাথে রাষ্ট্র গঠনে বিনিয়োগ করতে পারবে। তবেই হবে মুক্তি, যে মুক্তিকে 'মুগ্ধ' হবে 'শহিদ আবু সাইদ'দের আত্মা!
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য; উন্নয়নের নীতি ও দর্শন; ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা, বেকারত্ব ও বিসিএস।
ই-মেইল: [email protected]
স্বৈরাচার ফিরে আসার পথ রাখলে তারা এসে আন্দোলনকারীদের বিচার করবে।
আপনাদের কিছুই করা লাগবে না। সময় মত যা করার আওয়ামী লীগই করবে।
আপনাদের কিছুই করা লাগবে না। সময় মত যা করার আওয়ামী লীগই করবে।
বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে, এদেশে বিচারিক সংস্কৃতি নেই। বিচারের নামে যা হয় সেগুলিও ভেজাল। মূল কথা হচ্ছে, সব আগে অপরাধের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করুন। তারপর দেখতে পাবেন, কে কি করছে। তাকে দেখে তারপর ডিল করবেন; সাধুকে সাধুর মত, চোরকে চোরের মত।
আপনাদের কিছুই করা লাগবে না। সময় মত যা করার আওয়ামী লীগই করবে।
পিলখানা গণহত্যার কি হবে?
বিচার না হলে স্বৈরতন্ত্র আবার স্বমহিমায় আবির্ভুত হবে. এতে কোনো সন্দেহ নেই. আর ফ্যাসিবাদ যদি নিষিদ্ধ না হয় তাহলে দেশ ও মানুষের মূল্য কোথায় থাকলো। আর কত রক্ত দিবে এদেশের মানুষ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। যারা দ্বিমত পোষণ করে তারা অবশ্যই ভিনদেশী নাগরিক।
1) যারা বিগত সরকারের আমলে সকল এমপির সহ পরিবার ও পনরিবারের ও পস্য ও তার শশুর এর পরিবার ও পস্য সকল প্রকার সম্পদ নগদ টাকা সকল কিছু সরকারের কোষাগারে জমা করলে হবে। ২) এ অর্থ যারা শহীদ হয়েছে, মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছে, তাদের পুনর্বাসন করতে এ অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে। ৩) আওয়ামীলীগ কি চীরতর বিলুপ্ত করতে হবে। নাফসি জার্মানি দলের মত।
দলের কি দোষ বুজলাম না। দলের গঠণতন্ত্রও অপরাধ করতে বলেনি। ব্যাক্তির দোষে দল কেনো বাতিল হবে? রাজাকারের পত্রিকায় রাজাকার ছাওয়াল ফইজ্যা এভাবেই তো বলবে।
স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অহেতুক কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দেখেছি যেগুলো কখনোই দেশের মানুষের জন্য ছিল না; বরং এর সাথে জড়িত ছিল কুৎসিত আমিত্ব ও বিশাল আকারের চুরি।
সকল আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আগামী তিন টার্ম পর্যন্ত নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ! জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে না করতেই আওয়ামীলীগ নিজেই জনউপেক্ষিত এবং নিষিদ্ধর পথে। একটি রাজনীতি দলের এমন করুণ দশা বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। নেই ভারতীয় উপমহাদেশেও। এই বিশাল এলাকায় প্রথম দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন রাজা লক্ষণ সেন। এর ৮ শ বছর পর একই ইতিহাস তৈরি করলেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে রাজা লক্ষণ সেনের চেয়েও নির্লজ্জ ও ভয়াবহ করুণ পরিণতি হয়েছে স্বৈরাচার হাসিনার। ওনার ভাগ্য ভালো, আল্লাহর অসীম কৃপা জনগণ ৫ আগস্ট তাকে গণভবনে পাননি। হাসিনার দেশ চেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার দল আওয়ামীলীগের কবর রচিত হয়েছে। সুতরাং এই দলের জানাযা পড়া অর্থাৎ নিষিদ্ধ করার দরকার হবে বলে মনে হয় না। মৃত মানুষ জীবিত হওয়া যেমন সম্ভব নয় তেমনই আওয়ামীলীগের উত্থান অসম্ভব।
আওয়ামীলীগ এর কৃত অপরাধের বিচার শেযে যারা আওয়ামীলীগ করতে চাইবেন তাদেরকে তাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টুতে অবশ্যই ঘোষণা দিতে হবে যে তারা যদি নির্বাচিত হয় তাহলে তারা একদলীয় শাসন কায়েম করবে,দেশকে ক্রমান্বয়ে ভারতের হাতে তুলে দেবে,মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রহিত করবে ইত্যাদি। জনগণ এইবার সিদ্ধান্ত নিবে তারা তাদের ভোট দিবে কিনা।
Suerr bacha rajakar tui k awamilig nisiddo korar
পুলিশ এত গুলো হত্যা যোগ্য চালাতে পারেনা, এখানে আন্দোলনের মাঝে নিষিদ্ধ অস্ত্র দিয়ে পাঞ্জাবি টুপি মাথায় হাতে অস্ত্র নিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে ভিডিওতে।এরা কারা?কোন দলের কোন সংঘটনের? এগুলো তদন্ত না করে হাসিনা সরকার ,পুলিশ বাহিনীকে এক তরফা দোষারোপ করা হচ্ছে। আজ না হয় আগামীতে ঠিক তদন্ত করলে বের হবে।
আমি একটু যোগ করব । ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবের বিচার দেখলাম,৭ নভেম্বর টোকাই বিপ্লব দেখলাম,২১ আগষ্ট শেখ হাসিনার বিচার দেখলাম, শহীদ নূর হোসেনের রক্ত ঢাকার পাজপথ থেকে এখনও শুকায়নি,ডাক্তার মিলনের গণতন্ত্র এখনও বাস্তবায়িত হয়নি ! ৩০ মে মেজর জিয়ার বিচার দেখলাম,৫আগষ্ট আবার শেখ হাসিনার পতন দেখলাম ! মাজার ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা দেখলাম ! ফাঁকিস্তানের পিতার জন্মদিবস উদযাপন করতে দেখলাম! আগামীতে কিসের ! কার পতন দেখতে হবে তা-ই ভবছি ! কার বিচার কে করছে কিছুই বুঝা গেলনা ।এই লেখকের যথেষ্ঠ দক্ষতা বিরাজমান ।১৮ বছর পর একখানি মোক্ষম বিচারিক প্রক্রিয়াজনিত নিবন্ধ রচনা দেখলাম ।
যেকোন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী দানব রাক্ষসদের ইনিয়ে বিনিয়ে রাজনীতির ফাক ফেকর দিয়ে অনুপ্রবেশের সুযোগ দিলে সুই হয়ে ঢুকবে ফাল হয়ে বেরুবে নৃশংতার চরম বজ্রপাত নিয়ে। তাই আওয়ামী বিরোধিদের মত পথ চিন্তা চেতনার ভিন্নতা থাকা সত্বেও আওয়ামী প্রতিরোধ প্রশ্নে সিসাঢালা ঐক্যের অচ্যুত চুক্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে যেকোন মূল্যে। এর বিচ্যুতি ঘটলে একাল ওকাল সব কালই হারাতে হবে চিরতরে।
বিডিআর হত্যাকান্ড নিয়ে কোন কথা নেই। এটা কেমন প্রতিবেদন ?
আগামী প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ বাংলাদেশ যদি রেখে যেতে চান তাহলে আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধের বিকল্প নাই। এরা যদি বাংলাদেশে আবারো রাজনীতি করার সুযোগ পায় এদেশে অন্য কেউ রাজনীতি করতে পারবে না এবং সাধারণ জনগন এদেশে বাস করতে পারবে না। অতএব ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে।
সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে বলা যায়। প্রতিটি স্তরে ধরে ধরে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিচারিক কার্যক্রম খোলা থাকবে। সবাই জানবে কি কি বিষয়ে বিচার চলছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগীরা সংসদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে যারা এই দলটির নমিনেশন চেয়েছে তাদের প্রত্যেকের আগামী তিন টার্ম নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। আর বিচারিক কাজে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী সন্ত্রাসীলীগ ভারতের প্রকাশ্য সেবাদাস বা দালাল দল।এটা সর্বজনবিদিত। এই দলের উদ্দেশ্য ভারতের সাথে বিলিন হয়ে যাওয়া। একটা স্বাধীনতাবিরোধী প্রকাশ্য দল।সংসদে আইন পাশ করে এই সন্ত্রাসী দলকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।দেশের অস্তিত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।
দুর্নীতি এবং স্বৈরশাসনের পর গণহত্যার মত অপরাধ করেও তাদের মধ্যে অনুশোচনা বোধ নেই। মা ছেলে বিদেশ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। দেশেও তাদের অনুসারীরা সেনাবাহিনীর উপর হামলা করেছে। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে হত্যা করেছে।
আওয়ামী শব্দটি এখন এক ভয়ঙ্কর ফ্যাসিজমের প্রতিক হয়ে দেখা দিয়েছে----- এই শব্দের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য্যে ফুটে উঠে ভযঙ্কর বিভৎস নৃশংস অমানবিকতা অবিচার ধর্ষন লুটপাট দখল সহ হাজারো অপকর্ম অপশাসনের সহিংসতা। অতএব এই আওয়ামী নাম থাকবে কি থাকবে না বুদ্ধিজনকে ভাবতে হবে। আরো ভাবতে দুঃসহ যন্ত্রণার আওয়ামী নিপীড়ণের দগ দগে ঘা সার্জারি করে অন্তরবর্তি সরকার তা থেকে জাতিকে মুক্ত করবে কিনা তা নিয়েও।
Normal Presentation
নিবন্ধের শিরনাম দেখে মনে হচ্ছে রাত পোহালেই আবার পতিত স্বৈরাচারের নেতৃত্ব গুম খুন আয়নাঘর ছাত্র জনতার মিছিলে ব্রাশ ফায়ার ক্রসফায়ার হেলিকপ্টার থেকে গুলি গুলিবিদ্ধ লাশ পুড়িয়ে দেয়া লুটপাট মূদ্রাপাচার ব্যাংক লুট মূল্য সন্ত্রাসের সিন্ডিকেট দিল্লীর তোষন ইত্যাদি ফিরে আসবে। এগুলি এখন অতীত-- ''দিল্লী হনজ দূর আস্ত''। বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আইনের শাসন নির্মোহভাবে প্রয়োগ করা গেলে পতিত আওয়ামী লীগ জাতির নিকট এক অনুকম্পার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। যারা এই পতিত স্বৈরাচারকে ফেরৎ আনতে নূন্যতম সহানুভূতি দেখাবে তারা যেন বুঝে শুনে মাঠে নামেন। এটা পক্ষ বিপক্ষের রাজনীতি নয়। এটা জীবন দিয়ে কৈফিয়ত তলব করার বিষয়। গনভবনের প্রস্তাবিত যাদুঘর পতিত যাদুমনিদের স্বরণিকা নয় ঐটি হবে ইতিহাস বদলের ''কুতুব মিনার''--হাজারো শহীদের লাল খুনে রঞ্জিত বধ্যভূমির যবনিকা মঞ্চ।
যারা বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের যে কোনটিতে অংশগ্রহণ করেছে তাদের আগামী ১৫ বছর কেন আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তারা গণশত্রুর স্বীকৃত সহযোগী।
কাওকে কিছু করতে হবে না। আওয়ামীলীগ কোন দিন আর নৌকা নিয়ে জনগণের সামনে যেতে পারবেনা। মানুষ তাদের অপকর্ম যেনেগেছে তারা বিগত ১৬ বছর কি কি করেছে। জনগণ তো কোন বিল বাকি রাখেনি তাহলে ৮০০ মিলিন কেন বিদ্যুৎ বিল বাকি ?? জনগণের আমানত ব্যঙ্ক থেকে কে তুলে নিয়ে গেছে ??
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে যে সমস্যার সমাধান হবে ব্যাপারটা এমন নয়। তাদের ১৬ বছরের যে অপকর্ম গুলো করেছে গুম,খুন,লোটপাট, ভোট চুরি, শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ পরিণতি, স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ইত্যাদি। তাদের এসব অপরাধ বিবেচনায় দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। এসবের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে নিষিদ্ধ সহজ সমাধান নয়।
আপনার মনের মতন জনগণের রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে।থোকায় থোকায় জনগণের রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। থোকার সদস্য যারা তারা যেমন ইচ্ছা তাই করতে পারবে।এই জন রাজতন্ত্রের রাজত্বে কোনো পুলিশ থাকবেনা আর থাকলেও অস্ত্রবিহীন রাখতে হবে। অস্ত্র থাকবে কেবল থোকাদের হাতে আর রাজ বাহিনীর হাতে।এতেই আমরা সুখী এতেই আমাদের আত্মা শান্তিতে থকবে। আমরা বেশ কিছুদিন এই জন রাজতন্ত্রে গোসল করতে চাই,অভ্যস্ত হতে থাকি।তা না হলে দলিয়ো রাজত্বের রাজতন্ত্রে খাপে খাপ খাওয়ানো যাবেনা। তাড়িত আওয়ামী লীগের নিজ থেকেই দু মেয়াদে দূরে থাকা আবশ্যক।
দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে নিজ থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে , ঘৃনা করতে হবে
আওয়ামিলীগ এই ১৫/১৬ বছরে এমন জঘন্য কাজ করেছে তার জন্য আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ করা উত্তম। আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ করলে পরবর্তীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস পাবে না। আর যদি নিষিদ্ধ না"ই করেন গত তিন নির্বাচনে যারা আওয়ামিলীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদেরকে অন্তত তিন টাম নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
গরুর রচনাটা সেই হইছে,,,আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করেন,, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন বা নিয়ে নেন,,,তাদের ভোটারদের সমুদ্রে ছুরে ফেলেদেন,,,আর যদি কিছু বাকি থাকে করেন অসুবিধা নাই,,,যত রকম অত্যাচার নির্যাতন আছে করতে থাকেন,,,
ওনার পরামর্শ খুব ভালো লাগলো। আমরাও চাই আওয়ামিলীগ যা করেছে তার প্রত্যেকটি কর্মের সঠিক ফল পাক।
Useless report.
Very nice writing and far reaching. Thanks
এই প্রক্রিয়ায় বিচার কার্যক্রম করলে ভালো হবে। যেন পরবর্তীতে যে কোন রাজনৈতিক দল স্বৈরাচার না হয়ে উঠতে পারে। যে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে গনতন্ত্র এবং গণ হত্যার মত নিকৃষ্টমত কাজের সাথে জড়িত সেই সকল দলকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্য কোন দেশ হলে গনহত্যার জন্য দলকে নিষিদ্ধ করত । বাংলাদেশে কি করা হবে এখনও বলার সময় আসে নি । তবে দলের সব নেতারাই গনহত্যার আসামি হলে নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে ।
দুর্নীতি এবং স্বৈরশাসনের পর গণহত্যার মত অপরাধ করেও তাদের মধ্যে অনুশোচনা বোধ নেই। মা ছেলে বিদেশ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। দেশেও তাদের অনুসারীরা সেনাবাহিনীর উপর হামলা করেছে। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে হত্যা করেছে।