বাংলারজমিন
সুনামগঞ্জে পানি কমছে বেড়েছে দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০২২, শুক্রবারসুনামগঞ্জে বন্যার পানি আরও কমেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। গতকালও জেলা শহরের বিলপাড়, বাঁধন পাড়া, পশ্চিম হাজিপাড়াসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় পানিবন্দি রয়েছেন মানুষজন। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেয়া বন্যাদুর্গত মানুষজন নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অল্প সংখ্যক মানুষজন নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তবে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে। বানের পানিতে ভেঙেছে অনেকের কাঁচা ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালী দ্রব্যাদি। জেলা শহরের বলাকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জীবন আহমদ বলেন, পানি ওঠার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠি। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি এসে দেখি সবশেষ। পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফ্রিজ, টিভি, কাপড়সহ নিত্যপণ্য জিনিস। এগুলো কীভাবে জোগার করবো তা নিয়েই চিন্তায় আছি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং রোদ থাকায় গতকাল থেকে পানি কমছে। তবে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল তুহিন বলেন, বন্যার পানি কমলেও সুনামগঞ্জ জেলা শহরের অর্ধেক এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি এখনো নিমজ্জিত। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে পানি নামলেও হাওর তীরবর্তী এলাকাগুলো থেকে বিলম্বে পানি নামছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জেলার ১১ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এপর্যন্ত ৪ ফুটের বেশি পানি কমছে। তবে মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অজুহাতে একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাজারে ঘুরে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে বন্যার আগে ২৫ টাকা কেজির আলু এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডালের দাম ছিল ১২০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর চাল কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। মোমবাতি বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।