বাংলারজমিন
মীরসরাইয়ে জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড় বেষ্টিত অঞ্চল কয়লা। বাঙালির পাশাপাশি বসবাস করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। এখানে প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামে সুপেয় পানির অভাবের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। পড়ালেখার জন্য নেই তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা। আগে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে হতো। এতে সময়ের পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দৈনিক খরচ হতো প্রায় ২০০ টাকা, যা এই এলাকার সবার পক্ষে বহন সম্ভব না। সম্প্রতি সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমোদন পেলেও নানা সংকটের মধ্যদিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা যেখানে ক্লাস করছে সেটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর। আর সেই ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি, নেই কোনো শহীদ মিনার, নেই ভালো ওয়াশরুম। ফলে সঠিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর সম্প্রতি বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমোদন পায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি টিনশেডে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে টিনশেডের ঘরটি জরাজীর্ণ পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে টিনের চালা ও বেড়া। বৃষ্টি হলে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। এতে কাঁচা এ ঘরটি পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখনো বিদ্যালয়টির পাঠদানে ভরসা জরাজীর্ণ টিনশেডের চারটি কক্ষ। করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, ইতিমধ্যে মীরসরাই সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এমপিকে ডিওলেটার দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন ভবনসহ সকল প্রকার সমস্যা সমাধান হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির খান বলেন, ‘কয়লা পশ্চিম সোনাই উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। তাই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। আশা করি ক্রমান্বয়ে ভবনসহ সব ধরনের সংকট দূর হবে।’