বাংলারজমিন
রাজাপুর উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবারঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি’র প্রধান কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস। সেখানে আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড উঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান মৃধা এ সাইনবোর্ডটি উঠায়। জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতেন ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং একবার আইন প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। তার মালিকানাধীন রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে দুই তলাবিশিষ্ট একটি ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপি’র স্থায়ী প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গত ৩০শে নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার মনোনয়ন নেন। পরে তার মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপি’র সকল সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য বললে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর মঙ্গলবার ৫ই ডিসেম্বর সেখানে নৌকার নির্বাচনী সাইনবোর্ড উঠানো হয়। এদিকে ২০ বছরের বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যে নেতার কারণে গর্বে বুক ভরে যেতো আজ সেই নেতাকেই বেইমান, মীরজাফরসহ বিভিন্ন উপাধি দিচ্ছে বিএনপি’র কর্মীরা। এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপি’র কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার উপরে তার নিজের অর্থে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপি’র কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এখন সে আওয়ামী লীগে গেছেন তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নাই। এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে হিসেবে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলেছি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আছে। আপনি নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ বিষয়ে জানার জন্য শাহজাহান ওমরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সেখানকার আওয়ামী লীগের বুঝা উচিত ছিল যে, একদিন এই অফিস তাদেরও হাতছাড়া হতে পারে। তাদের আনন্দ একদিন বুমেরাং হবে।
আর্শয্য হওয়ার কিছু নেই। একটা সময় হয়তো দেখতে হতে পারে কয়েকটি প্রতাপশালী রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ব্যবহৃত হচ্ছে পাবলিক শৌচাগার হিসেবে।