বাংলারজমিন
প্রবাসীর জমিতে আব্দুল খালেকের থাবা
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবারশাজাহানপুরের কানুনগো আব্দুল করিম ভুয়া তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে আব্দুল খালেককে সহযোগিতা করেছেন। এমন অভিযোগ তুলেছেন লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার আখতার মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বগুড়ার শাজাহানপুরের পলাতক লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী হোসেন শরীফ মুনীরের দোসর ভূমিদস্যু আব্দুল খালেক আমার পৈতৃক ঘর জবর দখল করে রেখেছিল। দখল উদ্ধারে আমি আদালতে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা দায়ের করি। মামলা বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামি আব্দুল খালেক, হারুনুর রশিদ, রুবিয়া খাতুন স্বপ্না ও রফিকুল ইসলামের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দখল হারিয়ে খালেক আমার মার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। মনগড়া মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন শাজাহানপুরে ভূমি অফিসে কর্মরত কানুনগো আব্দুল করিম। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা বি-ব্লক এলাকার রইচ উদ্দিন সুপার মার্কেট সংলগ্ন একটি দোকানঘর এবং এক টুকরো ফাঁকা জায়গা আব্দুল খালেক নামের একজন অবৈধভাবে দাবি করে আসছেন। ভুয়া দলিল তৈরি করে জায়গা এবং দোকানঘরটি দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ব্যারিস্টার আখতার মাহমুদের সঙ্গে, তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমার মা আকতামা বেগম ৪.৮৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেন নাদিরা হোসেনের কাছে। নাদিরা হোসেন পরে সেই জমি বিক্রি করেন আব্দুল খালেকের কাছে। আব্দুল খালেক পরে সেই জমির অর্ধেক তার স্ত্রীকে লিখে দেন। সমপ্রতি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হলে সড়ক বিভাগ আব্দুল খালেকের জমি অধিগ্রহণ করে। খালেক তার জমিটি ব্যাংকে মর্টগেজ রাখার পরও ব্যাংকে ফাঁকি দিয়ে কূটকৌশলে অধিগ্রহণের টাকা তুলে নেন। তার জমিটি রাস্তার মধ্যে যাওয়ার পর আমাদের জায়গায় গিয়ে থাবা মারার চেষ্টা করেন। জোর করে আমাদের অন্য জায়গা দখলে নিতে গেলে আমরা বাধা দেই। এতে আব্দুল খালেক আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শাজাহানপুরে ভূমি অফিসে কর্মরত দুর্নীতিগ্রস্ত কানুনগো আব্দুল করিম মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন অর্থের বিনিময়ে। বিষয়টি নিয়ে আব্দুল খালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি মানবজমিনকে বলেন, নাদিরা বেগমের থেকে ৬৪ এবং ৬৫ দাগে কেনা সাড়ে চার শতাংশ জমি কিনে নিই। ৬৪ দাগের সাড়ে তিন শতাংশ জমি রাস্তার মধ্যে চলে যায়। ৬৫ দাগের ১ শতাংশ জমি এখনো রয়েছে। আমি আমার দাগের মধ্যেই আছি। তিনি আরও বলেন, আমি অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাইনি। ডিসি অফিসে সাড়ে তিন শতাংশ জমির টাকার জন্য আবেদন দিয়ে রেখেছি।
কানুনগো আব্দুল করিম বলেন, দলিলমূলে ব্যারিস্টার আখতার মাহমুদ এবং বাদী আব্দুল খালেক দুইজনই মালিক। আমার রিপোর্ট যদি পছন্দ না হয় তাহলে আপত্তি দিতে বলেন ব্যারিস্টার আখতার মাহমুদকে।