বাংলারজমিন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন
হবিগঞ্জে বৈধপ্রার্থী ৩৬ বাতিল ৪ নির্বাচিত হলে উন্নয়নের ইতিহাস বদলে দেবো: ব্যারিস্টার সুমন
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারআসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল করে ৩৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্র্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। বৃহস্পতিবার (৩০শে নভেম্বর) হবিগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে ৪০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে হবিগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশতাক আহমেদ, হবিগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস এর প্রার্থী মোছাঃ সায়েমা বেগম ও হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ): আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোাহাম্মদ শাহেদ, ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারকানী, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুল হক, জাকের পার্টির মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার মুন্নী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মো. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ): আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের এডভোকেট মনমোহন দেবনাথ, ইসলামী ঐক্যজোট শেখ হিফজুর রহমান, জাতীয় পার্টি মনোনীত শংকর পাল, তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী খায়রুল আলম, বিএনএম’র প্রার্থী এসএএম সোহাগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল হামিদ, তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ছাদিকুর মিয়া তালুকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. জিয়াউর রশিদ।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ): আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির, জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্দুল মুমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. আদম আলী, বিএনএম’র মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আব্দুল কাদির, জাকের পার্টির মো. আনছারুল হক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র প্রার্থী মো. আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. নোমান হাসান, মুক্তিজোটের প্রার্থী শাহিনুর রহমান।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট): আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মো. মাহবুব আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল পরিচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মো. আল আমিন, ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশ মো. আবু ছালেহ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মো. মুখলেছুর রহমান, জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ মো. আব্দুল মমিন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট প্রার্র্থী রাশেদুল ইসলাম খোকন।
বৈধ ৩৬ প্রার্থীর মধ্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের প্রার্থিতাও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়ন বাছাইকালে হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যারিস্টার সুমন উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন বৈধতার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ আমার মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। পরবর্তী যুদ্ধ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হিসেবে আমি চাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা। চুনারুঘাট মাধবপুরে আমি এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই প্রধানমন্ত্রী যা চেয়েছেন একটি উৎসবমুখর নির্বাচন। আমি নির্বাচনে জয় পেতে পারি বা হারতেও পারি তবে নির্বাচন হবে স্বতঃস্ফূর্ত ও অংশগ্রহণমূলক। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমি নির্বাচনে সফলকাম হবো। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ইতিপূর্বে উন্নয়ন করতে গিয়ে যে পরিমাণ ঘাম ফেলেছি তার ওজন করলেও আমার বিশ্বাস আমি নির্বাচিত হবো। আমি নির্বাচিত না হলেও আমি আমার সক্ষমতা অনুযায়ী মানুষের জন্য কাজ করবো। আর নির্বাচিত হলে মাধবপুর-চুনারুঘাটের উন্নয়নের ইতিহাস আমি বদলে দেবো।