ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

আবারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি, শ্রমিক দমনপীড়নে উদ্বেগ, নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের

মানবজমিন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

আবারও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে চলমান দমনপীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থান জানিয়ে দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। মুশফিক প্রথম প্রশ্নে তার কাছে জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতি প্রসঙ্গে। তিনি প্রশ্ন করেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন যে, যারা শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করবেন, হুমকি দেয়ায় জড়িত থাকবেন অথবা শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন করবেন, প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিক কল্পনা আক্তারের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে ৫ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে? 
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরালোভাবে বলেছেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার বিশ্বজুড়ে সুরক্ষিত ও অনুমোদনে আমরা কিভাবে সরকারসমূহ, শ্রমিক, শ্রম অধিকার বিষয়ক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত থাকি। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানে আমরা সেটাই অব্যাহতভাবে করে যাবো।

বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সর্বনিম্ন বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে সহিংসতা হয়েছে তার নিন্দা জানাই আমরা। একইভাবে বৈধ শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করাকেও নিন্দা জানাই। শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের নীতি হলো, যেমনটা আমরা পূর্বেও বলেছি, সেটা হলো- শ্রমিকরা যাতে সহিংসতার ভয়, প্রতিশোধ নেয়ার ভয় বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়া স্বাধীনভাবে তাদের অধিকারের দাবিতে সমাবেশ করতে এবং সামষ্টিকভাবে দর কষাকষি করতে সক্ষম হন- তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা এসব মৌলিক মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। 

দ্বিতীয় প্রশ্নে সাংবাদিক মুশফিক তার কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আরেকটি একপেশে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাাচ্ছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চলছে। এর মধ্যে আছে হত্যাকাণ্ড, গণগ্রেপ্তার, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের পরিববারের সদস্যদের অপহরণ। বাংলাদেশে যেহেতু এক দলের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দল। সুতরাং বাংলাদেশে একদলীয়, কর্তৃত্ববাদী শাসন রোধে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন আপনারা? 
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা একদলের বিরুদ্ধে অন্য দলের পক্ষে অবস্থান নিই না। বাংলাদেশি জনগণ যা চায়, আমরাই তাই চাই। তা হলো-শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যুক্ত থেকে তাদেরকে বাংলাদেশি জনগণের সুবিধার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাবো।

 

পাঠকের মতামত

মনে হচ্ছে বিএনপি ইউরোপ আমিরিকার সাথে তলে তলে আপোষ করাকে গুরুত্ব দেয় নাই। আজকের আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ফখরুদ্দীন মঈনউদ্ধিনের সাথে তলে তলে আপোষের ফসল। আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের আচরণে জবাব না দিলে তারা নিজেকে একক পরাশক্তি ভববে এটিই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগের আতঙ্ক ছিল জামায়াত-শিবির তাই ক্ষমতায় আসতে জামায়াত-শিবির নিধন শুরু হয়েছিল। তবে এটিও সত্য যে, ১০০ আওয়ামী লীগের সাথে একজন জামায়-শিবির কর্মী যথেষ্ট। জামায়াত যখন জোটে ছিল তখন বিএনপির প্রতি আওয়ামী লীগের একমাত্র দাবী ছিল বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগ করতে হবে, এমেন কি বিএনপিকে রাজাকারের দল বেগম জিয়াকে রাজাকারের নেত্রী আখ্যায়ীত করেছিল আওয়ামী কূলঙ্কারেরা। এখনও আওয়ামীরা বিরোদী পক্ষকে বিএনপি জামায়াত বলে শ্লোগান দিয়ে থাকে। আতঙ্ক একটি, জামায়াত-শিবির যদি তাদের শক্তি প্রয়োগ করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ঘাড়ে মাথা থাকবেনা, এজন্যই বলে থাকে (তোঢায়েরে বাণী) ক্ষমতা হারালে প্রথম দিনেই ৫ লক্ষ আওয়ামী নেতা কর্মীকে প্রাণ দিতে হবে। মনেহচ্ছে জামায়াতকে তাদের শক্তি প্রয়োগের সময় এসেছে।

শাজিদ
২৫ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১:৫৭ পূর্বাহ্ন

আমেরিকা কে ?

Jahangir
২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:০৭ পূর্বাহ্ন

গার্মেণ্টস, জনশক্তি রফতানি, জাতিসংঘে নিয়োজিত শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা দিলে বাংলাদেশে আর আছে কি! তখন চীন ও ভারতের কাছে বাংলাদেশকে ইজারা দিতে হবে।

শওকত আলী
২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৪১ পূর্বাহ্ন

এই একই খবর আর কত. নির্বাচন তো শান্তিপূর্ণ ভাবেই হবে

Kafi
২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি সহ সকল রাজবন্দীদের আগে মুক্তি দিতে হবে, ডঃ ইউনূসের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে আগে, তারপরে তো শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন আসে।

Rayhan Kabir
২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১১:৪০ অপরাহ্ন

সারা বিশ্বের বাঙ্গালীরা নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত অসহ্যনীয় গুমোট পরিবেশে আছে।

Tojib
২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১১:২১ অপরাহ্ন

গার্মেন্টস নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত আসবে বুঝা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে গার্মেন্টস মালিকদের উচিত দেশের স্বার্থে এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে যাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকার । বিএনপি সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ব্যবস্থা এবং ডঃ ইউনূসের মামলা প্রত্যাহার করা অবশ্যই সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গার্মেন্টসের উপরে নিষেধাজ্ঞা আসলে শ্রমিকদের কোন ভাবে সরকার সামাল দিতে পারবে না।

Sheikh sharfuddin
২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং/ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status