নির্বাচিত কলাম
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ
পোশাক শিল্পের উৎপাদনশীলতা কম কেন?
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
১২ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
শিল্পের ব্যবস্থাপনা এবং শ্রম দক্ষতা নিয়ে খোলনলচে পাল্টাতে হবে, নাহলে দেশের শিল্পপতিদের মেকিকান্না থামবে না। আর হ্যাঁ, শ্রম দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির একাডেমিক ও বাজার গবেষণাগত ব্যাখ্যাগুলোকে আমলে না নিলে সরকার-মালিক পক্ষের নির্বোধ সব আচরণে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো অসম্ভব। জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধির জাঁতাকলে নিম্ন মজুরির শ্রমিকদের শহরে থাকাই মুশকিলের বিষয় হয়ে গেছে, টিকতে না পেরে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন, যেখানে আছে বেকারের মিছিল ও ছদ্ম বেকারত্ব। এমতাবস্থায় সঠিক মজুরির সমন্বয় না করে আউটপুট/ইফিসিয়েন্সির প্রত্যাশা জুলুমের কথা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির দীর্ঘ সময়ে, বছর শেষে কস্ট অফ লাইফ বা মজুরি সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নাই। রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে ৫ বছর পর পর সহিংস আন্দোলন করে ২০-৩০ ডলার মজুরি বাড়াতে হয়। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এসব পশ্চাৎপদ এবং শোষণমূলক পদ্ধতিগত সমস্যা বন্ধ করে সর্বোচ্চ ২ বছর পর পর নতুন মজুরি কাঠামো, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স করা ভাতা ও সুবিধা, শ্রমঘণ্টা বিন্যাস নতুন করে সংজ্ঞায়িত না হলে, বাংলাদেশের শিল্পে উচ্চ উৎপাদনশীলতা আসবে না
বাংলাদেশের পণ্য উৎপাদন খরচ (কস্ট অফ প্রোডাকশন) বেশি। মূল্যস্ফীতি তাড়িত ইকোনমিতে প্রতি বছরই উৎপাদন খরচ কিছু বাড়ে, বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। বিপরীতে বাড়ে বিক্রিয় মূল্য। ১৯৯৪-২০২৩, এই তিন দশকে টাকার অঙ্কে নিম্নতম মজুরি বেড়েছে ৮ গুণ, টাকার অঙ্কে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬০ গুণের বেশি। তথাপি বাংলাদেশের পণ্য আন্তর্জাতিক মূল্য প্রতিযোগিতায় পারে না বলা হয়। কেন?
হাস্যকরভাবে এর উত্তরে দেশের ‘এনজিও ফান্ডেড’ বুদ্ধিজীবীরা কারণ বর্তায় মাসে ৭২-৭৫ ডলারের সস্তা শ্রমিকের উপর। তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বা বেইজ-প্রাইস দেখেন না, রাস্তার যানজট দেখেন না, চাঁদাবাজি, উচ্চ পরিবহন খরচ, ভাড়া, শ্রমিকদের জাঁতাকলে আটকে দিতে ভাড়া করে আনা ভারত শ্রীলঙ্কার ম্যানেজারের খরচ, প্রশাসনের ঘুষ তদবির, মশা ও জীবাণুর দূষিত শহরে স্বাস্থ্য দুর্গতি ও স্বাস্থ্য ব্যয়ে পকেট থেকে খরচের হার ইত্যাদিসহ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ‘রেন্ট সিকিং’ খরচ দেখেন না। নির্মম হচ্ছে, পোশাক শিল্প নির্বিচারে পরিবেশ দূষণ করে, শোধনে খরচ না বললেই চলে, তাও প্রতিযোগিতায় না পারার এই অবস্থা। বাস্তবে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়।
হ্যাঁ, আমরা উৎপাদনশীলতার বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ছুঁতে পারছি না, এর কারণ নির্বোধ পলিসি, শ্রমিক নয়। অপরাপর অনুঘটক ঠিক করলে উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মেশিনারিতে পিছিয়ে আছে এই দাবি মিথ্যা। অনেক কিছুই স্বয়ংক্রিয় মেশিনে হচ্ছে।
এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মূল্যের দিক থেকে একজন বাংলাদেশি পোশাককর্মীর ঘণ্টায় উৎপাদনশীলতা দাঁড়ায় ৩.৪ ডলারে। উৎপাদনশীলতার এ হার প্রতিযোগী দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি মায়ানমারে ৪.১ ডলার, ভিয়েতনামে ৪.৭ ডলার, ভারতে ৭.৫ ডলার, ফিলিপাইনে ৮.৭ ডলার, চীনে ১১ ডলারের বেশি এবং শ্রীলঙ্কায় প্রায় ১৬ ডলার।
নিম্ন উৎপাদনশীলতা নিয়েও, দিনে গড়ে ১৪-১৫ ঘণ্টা কাজ করা শ্রমিকের মাসে উৎপাদন ১৪০০-১৪৩০ ডলার। মালিক তাকে বেতন দেয় ৭০-৮০ ডলার প্লাস ৩০-৪০ ডলার ওভার টাইম। মোটে ১৩০-১৪০ ডলার। ১৪০০ ডলারের শ্রমের বিপরীতে ওভারটাইমসহ ১৪০ ডলার মজুরি। অভিযোগটা ঠিক কোথায়?
প্রশ্ন হচ্ছে অত্যন্ত কম মজুরির সংস্কৃতি জারি রেখে, ছুটি ও ভাতা না দিয়ে, ওয়ার্ক আওয়ারে এমনকি চা-কফি-বিস্কুট-নিরাপদ খাবার পানি না দিয়ে, অন্য কোনো জব ফ্যাসিলিটি না দিয়ে দিনে একজন শ্রমিককে দিয়ে দুইজনের সমান শ্রমঘণ্টা কাজ করানোর চর্চা থেকে উৎপাদনশীলতা আশা করা বোকামি। নিম্ন উৎপাদনশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হচ্ছে স্বচ্ছন্দে বাঁচার মতো সঠিক মজুরি, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স, ছুটি ও ভাতা এবং কর্ম পরিবেশে স্বচ্ছন্দ। সন্তানের নিরাপত্তা এবং সুস্বাস্থ্য।
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রমিকদের দুপুরে একটা লাঞ্চ বক্স দিন, যেখানে তার দৈনিক ক্যালরি (আমিষ ও পুষ্টির) একটা যোগান থাকবে। কয়েক কিলো হেঁটে আসা শ্রমিকের বাস ভাড়ার একটা অংশ দিন, যাতায়াতের সুবিধা দিন- দেখেন উৎপাদনশীলতা কোথায় যায়!
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদনশীলতা কম হওয়ার বড় কারণ ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্টে অর্থ ব্যয় না করা। গ্রাম কিংবা নিম্নবিত্ত প্রান্তিক পরিবার থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত নতুন শ্রমিককে ট্রেনিং দিতে গেলে অর্থ ও শ্রমঘণ্টার অপচয় হবে ভেবে কঞ্জুস মালিকরা (শ্রম উৎপাদনশীলতায় কৌশলগত জ্ঞানে নির্বোধ) শুরুতেই তাদের হেলপার হিসেবে নিয়োগ দেয়। দক্ষতা তৈরির বিধিবদ্ধ কাঠামো না করে, পেটেভাতে কাজ শিখানোর এই নিচুতা মালিকরা ছাড়তে পারেনি। হেলপার সংস্কৃতির ফলে কারখানার ওভারঅল হেড কাউন্ট বেড়ে মাথাপিছু উৎপাদনশীলতা কম দেখায়। বাস্তবে উৎপাদনশীলতা মোটেই কম নয়। সুবিধাহীন শ্রান্ত-পরিশ্রান্ত শ্রমিক মেশিন নয় যে তাকে চুষে উৎপাদনশীলতা পয়দা হবে।

২০ লক্ষ শ্রমিকের শিল্প অথচ কারিগরি দক্ষতা তৈরির জন্য কোনো ট্রেনিং সেন্টার নাই। ৫০ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে শিক্ষা ও গবেষণা নাই। এভাবে ‘মানকি সি, মানকি ডু’ সিস্টেমে তারা উচ্চ উৎপাদনশীলতা আশা করে কীভাবে?
একটা সত্য কথন হচ্ছে, দেশে আবাসিক কওমি মাদ্রাসা না থাকলে পোশাক শিল্পের উৎপাদনশীলতা আরও কম হতো মধ্যবয়সী নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা ছেলে-মেয়েদের মাদ্রাসায় দিয়ে কাজে যান। এইসব মাদ্রাসায় সরকারের বিনিয়োগ শূন্য। অথচ শিল্প শ্রমের দক্ষতা বলুন কিংবা সন্তাদের শিক্ষা ও ডে-কেয়ার টাইপের সুবিধা, অবকাঠামো বন্দোবস্ত করার কথা ছিল সরকার-মালিক নেক্সাসের।
শিল্পের ব্যবস্থাপনা এবং শ্রম দক্ষতা নিয়ে খোলনলচে পাল্টাতে হবে, নাহলে দেশের শিল্পপতিদের মেকিকান্না থামবে না। আর হ্যাঁ, শ্রম দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির একাডেমিক ও বাজার গবেষণাগত ব্যাখ্যাগুলোকে আমলে না নিলে সরকার-মালিক পক্ষের নির্বোধ সব আচরণে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো অসম্ভব।
জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধির জাঁতাকলে নিম্ন মজুরির শ্রমিকদের শহরে থাকাই মুশকিলের বিষয় হয়ে গেছে, টিকতে না পেরে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন, যেখানে আছে বেকারের মিছিল ও ছদ্ম বেকারত্ব। এমতাবস্থায় সঠিক মজুরির সমন্বয় না করে আউটপুট/ইফিসিয়েন্সির প্রত্যাশা জুলুমের কথা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির দীর্ঘ সময়ে, বছর শেষে কস্ট অফ লাইফ বা মজুরি সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নাই। রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে ৫ বছর পর পর সহিংস আন্দোলন করে ২০-৩০ ডলার মজুরি বাড়াতে হয়। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এসব পশ্চাৎপদ এবং শোষণমূলক পদ্ধতিগত সমস্যা বন্ধ করে সর্বোচ্চ ২ বছর পর পর নতুন মজুরি কাঠামো, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স করা ভাতা ও সুবিধা, শ্রমঘণ্টা বিন্যাস নতুন করে সংজ্ঞায়িত না হলে, বাংলাদেশের শিল্পে উচ্চ উৎপাদনশীলতা আসবে না ।
দুই
চীনের (৩০৩ ডলার), ইন্দোনেশিয়ার (২৪৩ ডলার), কম্বোডিয়ার (২০০ ডলার), ভারতের (১৭১ ডলার), ভিয়েতনামের (১৭০ ডলার) এর বিপরীতে বাংলাদেশের গড় মজুরি ৭২-৭৫ ডলার। শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি করার দাবি করেছেন ২৩ হাজার টাকা, যা আজ ৯ই নভেম্বর ২০২৩ কার্ব মার্কেট বিনিময় হারে ১৯০ ডলার (মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ২২০ ডলার)। এই দাবি চীনের গড় মজুরি থেকে ১১৩ ডলার কম। সিপিডি বিশদ গবেষণা করে পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা প্রস্তাব করেছে, যা সরকারি রেটে ১৫০ ডলার হলেও, কার্ব মার্কেট রেটে ১৪০-১৪২ ডলার মাত্র। বাস্তবে টাকার ক্রয় ক্ষমতা দ্রুত কমছে বলে, রপ্তানিমুখী শিল্পের মজুরির ভিত্তি ডলারে হওয়া চাই, যা ভারত কিংবা ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক হবে (নূ্যূনতম ১৭০ ডলার)। যদিও এই দুই দেশের নিত্যপণ্যের দাম বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সস্তা, তথাপি পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে মালিকদের স্বার্থ ব্যালেন্স করে নূ্যূনতম মজুরি ১৬০-১৭০ ডলার ভিত্তিতে নেয়া চাই। এতে ওভার টাইমসহ শ্রমিকরা সর্বোচ্চ ২০০ ডলার আয় করতে পারবেন, এটা নগরে বাঁচার মতো মজুরি হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাকশিল্পে বিশ্বে দ্বিতীয়, সে প্রথম হতে চায়, কিন্তু মজুরি দিতে চায় না। তারা মাসিক মজুরি ৭০ ডলার থেকে বাড়িয়ে করতে চায় মাত্র ১০০ ডলার। অথচ একবার ১০০-১১০ ডলার ঠিক হয়ে গেলে আগামী ৫ বছর এটা আর বাড়বে না, যেভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এবং টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমছে, বাস্তবে ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকার হওয়া উচিত। অন্যথায় আগামী পাঁচ বছরেও শ্রমিক শোষণ ও বৈষম্যের স্টিম রোলার চলতে থাকবে, মানুষ চাকরি করেও ঋণগ্রস্ত ও অধিক হারে দরিদ্র হবেন। এটা বন্ধ করতে দরকার বছর বছর মজুরি কাঠামোর সমন্বয়।
আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, বেতন সংকটটাও ডলারের কৃত্রিম বিনিময় হারের কারণে তৈরি। ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রয়ক্ষমতার (রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট, আরইইআর) ১৫০ টাকার বেশি। ব্রুগেলের অক্টোবর রিপোর্ট অনুসারে ডলারের সঙ্গে টাকার রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট ছিল ন্যূনতম ১৫৪.৭৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭৩.১৭ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে ক্রয়ক্ষমতার বিপরীতে ১৫০ ডলার মজুরি আসলে ২৩ হাজার টাকাই হবার কথা ছিল। অর্থাৎ শ্রমিকদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এই যৌক্তিক মজুরি দেয়া গেলেই জরিপে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে।
তিন
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসন, ওটেক্সা’র হিসেব মতে ২০২২ (জানু-সেপ) এর তুলনায় ২০২৩ (জানু-সেপ) সময়কালে তৈরি পোশাকের ইউনিট প্রাইস বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৫৫%, ৩.০২ ডলার ৩.২৭ ডলার।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতে বাড়তি দাম দিতে রাজি হয়েছে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর ফলে ৫-৬ শতাংশ বাড়তি উৎপাদন ব্যয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার এসোসিয়েশন (এএএফএ)। প্রায় ১ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এ সংগঠনের সদস্য, বাংলাদেশের সঙ্গে বড় ব্যবসা করা প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ড এই এসোসিয়েশনে রয়েছে।
অর্থাৎ মজুরি বাড়ানোর ফলে তাদের উৎপাদন ব্যয় যে ৫-৬ শতাংশ বাড়বে, সেটা ক্ষতিপূরণ বা কম্পেন্সেট করা হবে। উল্লেখ্য যে, শ্রমঘন পোশাক শিল্পের মজুরি মোট খরচের সর্বোচ্চ ১০-১৩ শতাংশ। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ডলারের মূল্য বা বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে টাকার অঙ্কে মালিকদের আয় বেড়েছে প্রায় ৩৫%।
বাস্তবে মজুরি বাড়াতে কোনো বাধা নেই, আছে মালিকদের হীনমন্যতা। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকদের মায়াকান্না থামবে কবে?
লেখক: টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য। ই-মেইল: [email protected]