ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

শহীদুল্লাহ ফরায়জী
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারmzamin

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনি একবার খেয়াল করে দেখুন, শুধু ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য কতোজনের জীবন শেষ করে দিয়েছেন, কতো মায়ের আহাজারিকে দীর্ঘস্থায়ী করেছেন, কতো অমিত সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করেছেন, কতোজনকে চিরতরে অন্ধ করেছেন। স্বজন হারানোর ব্যথা সত্যি সত্যিই আপনাকে মর্মপীড়ায় দংশন করলে আপনি লাশের বিনিময়ে ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিতেন না। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার সময়ও আপনি কেঁদেছেন। ক্ষমতা আপনার কাছে কান্নার বিকল্প। রাষ্ট্রকে ব্যক্তিগত মনে করেছিলেন। ভেবেছিলেন আপনি রাষ্ট্রের সমকক্ষ


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি এক মাসের অধিক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অবশ্য বাইরে থাকাটাকে আপনিই স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছেন। আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন-সর্বগ্রাসী ক্ষমতা আপনার জীবনকে আর সুরক্ষা দিতে পারছে না, তখন দেশ, জনগণ এবং আওয়ামী লীগকে রেখে, বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত করে দেশান্তরিত হয়েছেন। আপনি এখনো উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, পিতার দেশ রেখে, আওয়ামী লীগকে রেখে মাতৃভূমি পরিত্যাগ করা কতো মর্মান্তিক এবং লজ্জাজনক, এতে আপনার নৈতিক শক্তির সামর্থ্য শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার বিবেচনাহীন অহংবোধ ও দাম্ভিকতা আপনাকে এই পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। আপনি বুঝতেও পারেননি, বারবার ভোটবিহীন ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ ও প্রতিরক্ষা শক্তিকে দুর্বল করতে গিয়ে-রাষ্ট্রকে কী ভয়ঙ্কর সর্বনাশে ফেলে দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ করে গেছেন। আপনি ভেবেছিলেন- জনগণ নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং বাইরের শক্তির সমর্থনে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় কিন্তু আপনি একবারও ভাবেননি, ১৯০০ সালে যে বৃটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যেতো না, ১১ বিলিয়ন স্কয়ার মাইল ভূমি এবং ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ যে সাম্রাজ্যের অধীনস্থ ছিল, সে  সাম্রাজ্যও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে, এমনকি বাস্তিল দুর্গেরও পতন হয়েছে। ক্ষমতার উদ্ভব, উত্থান এবং পতন নিয়ে বিপুল আয়তনের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা রয়েছে কিন্তু সে সব বিবেচনা করার ন্যূনতম প্রয়োজনও আপনি বোধ করেননি।
আপনি প্রায়ই বলতেন- ভোট চুরি করলে বাংলার জনগণ ক্ষমতায় থাকতে দেয় না। সত্যি, আপনি ক্ষমতা হারিয়েছেন এবং জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরকে আপনি রুদ্ধ করেছিলেন, ফলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আপনাকে উৎখাত করাই ছিল একমাত্র গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক পথ। আপনি ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে প্রচণ্ড রক্তপাতের আশ্রয় নিয়েছেন, রাষ্ট্রকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে গেছেন, জনগণের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়ে গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে ছাত্র-জনতাসহ প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক ভূমিকা আপনার পতনকে অনিবার্য করে তোলে। ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় এর কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হলেও আপনার ‘ক্ষমতা তৃষ্ণা’ নিবৃত হতো না, তা জনগণ যেমন জানে তেমনি আপনার দলও জানে।

আপনি এখন নিশ্চয়ই অবসর পেয়েছেন অনেক। কিন্তু দেশের রাজনীতি নিয়ে মাঝে মধ্যে মন্তব্য করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন, ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। দেশ এবং জনগণ তো দূরের কথা, আওয়ামী লীগের করণীয় নিয়েও আপনার রাজনীতির পরিসমাপ্তি ঘটে গেছে। কারণ, আওয়ামী লীগকেও আপনি নিজ হাতে শেষ করেছেন। পালিয়ে নিজ জীবন বাঁচাতে গিয়ে দলসহ সবকিছু ‘পরিত্যাগ’ এবং ‘পরিত্যক্ত’ করে চলে গেছেন। যেহেতু জানতেন দেশ ত্যাগ করছেন, কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বরং আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলকে গণহত্যায় অভিযুক্ত করে পরিচয় সংকটে ফেলেছেন। আপনার ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে সরে এসে, রাষ্ট্র কীভাবে নির্মিত হবে, তা এদেশের জনগণ, দলীয় এবং অদলীয় শক্তিসমূহ নির্ধারণ করছে। দেশত্যাগ করে দিল্লিতে অবস্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি বা দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার কোনো নৈতিক অবস্থান আপনার নেই।

জীবনের বাকি দিনগুলো ‘চুপ’ এবং শুধুমাত্র ’চুপ’ থাকাটাই আপনার একমাত্র কর্তব্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী বিশ্ববরেণ্য ড. ইউনূস আপনাকে সেই উপদেশই দিয়েছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে কীভাবে ন্যায়পরায়ণতা ধ্বংস করেছেন, কীভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, কারাগারে পাঠানোর নামে রাজনীতিবিদদের প্রতি কী নির্মম আচরণ করেছেন, বিচারের নামে কী ভয়ঙ্কর অবিচার করেছেন, মিথ্যাকে কীভাবে গৌরবের অংশীদার করেছেন-এসব নিয়ে অনুশোচনা করাই হবে আপনার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। অতীতকে অস্বীকার বা তুচ্ছ করার সাধ্য কারও নেই। বাংলাদেশ আছে, আপনার নাগরিকত্বও আছে অথচ প্রতিবেশী দেশে আপনি উদ্বাস্তু এবং গৃহহীন। আপনি এখন তাদের অতিথি নন বরং গলার কাঁটা। এটাই ভাগ্যের লিখন, এটাই মেনে নিতে হবে, কারণ সবকিছুই সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত এবং তা অবশ্যই লঙ্ঘনের অযোগ্য।

আমি বিশ্বাস করি, আপনি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের কৃতকর্মের দায় স্বীকার করবেন। রাষ্ট্র এবং রাজকোষ পরিচালনায় আপনার অযোগ্যতা ও স্বজন তোষণনীতি স্বীকার করে, নিজের দায় বহন করার সত্য উন্মোচিত করবেন। অহেতুক কালক্ষেপণ না করে রাষ্ট্র এবং আদালতকে সহযোগিতা করবেন। তাহলে যদি মর্যাদাহীন ও হীনমন্যতাবোধের (অপ্রকাশিত) পীড়া থেকে কিছুটা রেহাই মিলে! অন্যের ছত্রচ্ছায়ায় এবং অন্তরালে বসে, রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে পারে এমন যেকোনো প্রচেষ্টা থেকে আপনার বিরত থাকা উচিত। পলায়নপর নিজেকে অন্য কোনো রাজশক্তির হাতের খেলনা করে দেশের ধ্বংস ডেকে আনবেন না। আপনি আর কখনোই রাজনৈতিক মশাল প্রজ্জ্বলিত করতে পারবেন না, আপনি যতই চেষ্টা করবেন ততই নির্বাপিত হবে। আপনার রাজনীতি ও বয়ান দেশের জনগণ খারিজ করে দিয়েছে। আপনার সীমা অতিক্রমের কারণে পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে এবং দেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উদ্ভব ঘটেছে। তারা অগণিত আত্মত্যাগের নির্যাস উপলব্ধি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সকলে সমানভাবে স্বাধিকার (LibertY) ভোগ করবে, পরস্পর মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করবে এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। তারা সংবিধান সংশোধন করে-সম্পূর্ণ ন্যায্যসমাজ নির্মাণের অপরিহার্য দর্শনের অনুসন্ধান করবে।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনি একবার খেয়াল করে দেখুন, শুধু ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য কতোজনের জীবন শেষ করে দিয়েছেন, কতো মায়ের আহাজারিকে দীর্ঘস্থায়ী করেছেন, কতো অমিত সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করেছেন, কতোজনকে চিরতরে অন্ধ করেছেন। স্বজন হারানোর ব্যথা সত্যি সত্যিই আপনাকে মর্মপীড়ায় দংশন করলে আপনি লাশের বিনিময়ে ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিতেন না। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার সময়ও আপনি কেঁদেছেন। ক্ষমতা আপনার কাছে কান্নার বিকল্প। রাষ্ট্রকে ব্যক্তিগত মনে করেছিলেন। ভেবেছিলেন আপনি রাষ্ট্রের সমকক্ষ। আরও ভেবেছিলেন রাষ্ট্রের আয়ু আর আপনার আয়ু সমান। এখন আপনি ছাড়াও রাষ্ট্র আছে, বিকল্পও আছে। আমরা না থাকলেও রাষ্ট্র থাকবে। রাষ্ট্রের আয়ুষ্কাল আর ব্যক্তির আয়ুষ্কাল এক হতে পারে না। 

বঙ্গবন্ধু আপনার পিতা অথচ কয়েকশ’ ছাত্র-জনতা হত্যার পর আপনি স্থাপনার জন্য অশ্রু বিসর্জন দিয়েছেন। আপনার অশ্রুপাতের সেই মেট্রোরেল চালু হয়েছে ও বিটিভি চালু হয়েছে- কিন্তু ‘আবু সাঈদ’, ‘মুগ্ধ’সহ আমাদের অগণিত সন্তানতো না ফেরার দেশ থেকে আর ফেরত আসবে না। মা-বাবা’র আর্তনাদ জমিন থেকে কোনোদিন উবে যাবে না। পৃথিবীর এমন কোনো শাসক কী আছে, মাটির উপরে লাশ রেখে নির্জীব স্থাপনাকে শ্রদ্ধা করতে যায়! মানুষের মানবিক মর্যাদাকে এইভাবে বিপন্ন করা যায়! মানুষের জীবন সুরক্ষা রাষ্ট্রের সর্বোত্তম কর্তব্য, অথচ আপনি ক্রমাগত ও বিরামহীনভাবে তা উপেক্ষা করেছেন।

আপনি এবং আপনার পিতা ক্ষমতা বুঝেছেন কিন্তু ক্ষমতার খেসারত বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক দেশ এক নেতা, এক নেতার পেছনে সমগ্র জাতি, সমগ্র ইতিহাস এইসব বয়ান জাতির অভিপ্রায়ের সঙ্গে যায় না। ভিন্ন মত-পথ ও অধিকারকে খর্ব করা বা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টাকে রাজনীতি বলে না। কন্যা হয়ে পিতাকে ক্রমাগত বলি দিয়েছেন, সভানেত্রী হয়ে দলকে গণহত্যায় সম্পৃক্ত করেছেন, সমাজ চৈতন্যকে রক্তাক্ত করেছেন, সরকার আর নাগরিকের মাঝে শিকারি ও শিকারের  সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এখন বিবেকের আয়নায় নিজেকে দেখে-দেখে চিরস্থায়ী প্রত্যাবর্তনের দিকে যাবার প্রস্তুতি নিন। মহান আল্লাহ আপনার গন্তব্য এবং পরিণতি নির্ধারণ করে রেখেছেন। এই রহস্য অনুধাবন করতে সচেষ্ট হন। দেশ ও দেশের রাজনীতি নিয়ে আপনার একটি কথাও মুখে না আনা ভালো। বিশ্বজয়ী সাহিত্যিক বরিস পাসতেরনাক বলেছিলেন-কথা যদি ‘রৌপ্য’ হয়, তাহলে নীরবতা হলো ‘সোনা’-এ চিরকালের সত্য। আপনি যা-ই ভাবুন তা-ই অন্তরালে রাখুন, কথা বললেই রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার রেখে যাওয়া রাষ্ট্র অনেক বদলে গেছে, যাকে মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে বিবেচনা করছে। ছাত্র-জনতা দেশকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছে, এইখানেই তাদের অসাধারণত্ব। সমাজকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সকলের প্রতি ‘ন্যায্যতা’-এটাই হবে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি। জাতি এখন ঘৃণা এবং বিদ্বেষের অনুশাসন থেকে মুক্ত। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হবে ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’ ও ‘সামাজিক সুবিচার’ দিয়ে। মনুষ্যত্বহীন রাজনীতির আখ্যান ছাত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রজন্মের রাজনীতি শুধু বেঁচে থাকা নয়, মানুষ হয়ে ওঠাও।

ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়, আপনাকে ‘ক্ষমতা’ এবং ‘রাজনীতি’ পরিত্যাগ করেছে। সময় তার আপন গতিতে ফিরে গেছে-এই ধ্রুবসত্য মেনে নেয়াই হবে ন্যায়সঙ্গত। আমাদের সকলকেই ‘ন্যায্যতা উপলব্ধির সামর্থ্য’ এবং ‘শুভ চিন্তার সামর্থ্য’ অর্জন করতে হবে।
আপনার বিষয়ে বলাও সহজ নয় আবার চুপ থাকাও অসম্ভব। আপনার সঙ্গে যদি কোনোদিন কোনোকালে কোথাও দেখা হয়, আমি জুলাই গণহত্যায় শহীদ মুগ্ধের কণ্ঠে বলবো’- পানি লাগবে, পানি!’

ইতি-
শহীদুল্লাহ ফরায়জী,
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা।
(লেখক: গীতিকবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক) ([email protected])

পাঠকের মতামত

Excellent advise to Hasina by the writer

Mohin Chowdhury
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৩:৪০ অপরাহ্ন

ফরায়জী সাহেব// যে যার কর্মফল ভোগ করবে এটাই তার নিয়তি। কিন্ত আপনি একটি লাইন লিখেছেন সেটি হচ্ছে"সবকিছু ঢেলে সাজানো হচ্ছে"""___চোখ মেলে তাকিয়ে দেখবেন আপনার এ কথার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খুবই শংকায় আছি, যেই লাউ সেই কদু হয় কিনা। কারণ এদেশে যুগে যুগে স্বপ্ন দেখানোর ফেরিওয়ালারা এসেছে, অবস্থা কিন্ত তথেই বচ:।

KHALIL
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৮:১৬ অপরাহ্ন

আপনার বিষয়ে বলাও সহজ নয় আবার চুপ থাকাও অসম্ভব। আপনার সঙ্গে যদি কোনোদিন কোনোকালে কোথাও দেখা হয়, আমি জুলাই গণহত্যায় শহীদ মুগ্ধের কণ্ঠে বলবো’- পানি লাগবে, পানি!’

Didarul Alam Swapon
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২:৩১ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনার ওয়াড/গ্রাম লেভেলে রেখে যাওয়া পাতিনেতা/ভূমিদস্যু/ কুলংগাররা এখনো সক্রিয়। কিছুদিন আড়ালে থেকে আবার বিজয়ী দলে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় আছে। আল্লাহতালা এদের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করুন। আমিন।

Zahid Anwar
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:৫৬ অপরাহ্ন

ধন্যবাদ স্যার । অসাধারণ লেখা উপহার দেওয়ার জন্য । স্যার, বোধ হয় আপনার সৌভাগ্য এটাই যে, উনি দেশে নাই, দেশের কোন চিপায় চাপায় থাকলে আপনাকে রাজাকার তকমাকে উপহার দিতেন ।

Mahfuzur Rahman
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

কুকুরের আজীবন মাটির নিচে পুঁতে রাখলে ও সোজা হয় না, শেখ হাসিনাকে আজীবন ভালো পরামর্শ দিলে ও শেখ হাসিনা ভালো মনে করবে না

Md jalal uddin
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:০২ অপরাহ্ন

চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী।সে তো আরও বড়

আবুল কালাম আজাদ
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৪৮ অপরাহ্ন

খুবই সুন্দর লেখা। তবে যাকে নিয়ে লেখা তিনি অতিনিম্ন মানুষিকতার জীব। অত্যন্ত হিংশ্র প্রকৃতির রক্ত পিপাসু এ মহিলা সোধরাবে বলে মনে হয় না।.... আল্লাহ্ পাক তাকে হেদায়েত করুন এবং এদেশকে তার ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।। আমিন।।

মোঃ শরীফুজ্জামান
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৩৩ অপরাহ্ন

যতই তাকে উপদেশ দেয়া হোক না কেন তার কোন লজ্জাসরম বলতে কিছু নেই। লজ্জা থাকলে জাতির কাছে, দেশে ফেলে রেখে যাওয়া আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমা চেত।

বাঙালী
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন

ফরায়জী সাহেব// যে যার কর্মফল ভোগ করবে এটাই তার নিয়তি। কিন্ত আপনি একটি লাইন লিখেছেন সেটি হচ্ছে"সবকিছু ঢেলে সাজানো হচ্ছে"""___চোখ মেলে তাকিয়ে দেখবেন আপনার এ কথার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খুবই শংকায় আছি, যেই লাউ সেই কদু হয় কিনা। কারণ এদেশে যুগে যুগে স্বপ্ন দেখানোর ফেরিওয়ালারা এসেছে, অবস্থা কিন্ত তথেই বচ:।

safaet Jamil
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:১৩ অপরাহ্ন

চমৎকার! এখানে পরবর্তী শাসকদের জন্য‌ও কিছু শিক্ষনীয় বিষয় আছে, যদি বুঝার সক্ষমতা থাকে!

Harun Rashid
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:০৫ অপরাহ্ন

অসাধারণ। ধন্যবাদ স্যার।

ni
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৫৬ অপরাহ্ন

এত অসাধারন,চমৎকার লেখা সবার পড়া উচিত।

Lx
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৪২ অপরাহ্ন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি এক মাসের অধিক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অবশ্য বাইরে থাকাটাকে আপনিই স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছেন। আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন-সর্বগ্রাসী ক্ষমতা আপনার জীবনকে আর সুরক্ষা দিতে পারছে না, তখন দেশ, জনগণ এবং আওয়ামী লীগকে রেখে, বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত করে দেশান্তরিত হয়েছেন। আপনি এখনো উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, পিতার দেশ রেখে, আওয়ামী লীগকে রেখে মাতৃভূমি পরিত্যাগ করা কতো মর্মান্তিক এবং লজ্জাজনক, এতে আপনার নৈতিক শক্তির সামর্থ্য শেষ হয়ে গিয়েছে।

ASM LUKMAN
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৩৮ অপরাহ্ন

ধন্যবাদ স্যারকে

আমির হোসেন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:৫৬ অপরাহ্ন

চমৎকার নির্দেশনা। আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ।

Sohrab Hossain
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন

শ্রদ্ধেয়, আপনার লেখা থেকে হাসিনা শিখবেনা, তবে বাকী যারা ক্ষমতার স্বাধ নিতে মরিয়া তারাও যদি একটু শিক্ষা পায় তাহলে জাতী হিসাবে আমরা অনেক পথ এগিয়ে যাবো।

kalim
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন

অসাধারণ লিখেছেন ভাই ❤️

মাসুদ সোহেল
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:৫৩ অপরাহ্ন

এত চমৎকার ভাবে পরিস্থিতির বর্ননা ও বাস্তবতা, মানুষ মাত্রই উপলব্ধিতে আসা অপরিহার্য।

এএসএম
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:৩৭ অপরাহ্ন

চমৎকার লিখেছেন। কিন্তু যার উদ্দেশ্য লেখা তিনিও কি এর মর্ম বুঝবেন, না তিনি আপনাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে দেখবেন?

khandoker Abdus Sal
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:১৮ অপরাহ্ন

শহীদুল্লাহ ফরায়জী স্যার আপনি অত্যন্ত চমৎকার লিখেছেন!!! আপনি আসলেই গীতিকবি!!!

MD REZAUL KARIM
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:১৪ অপরাহ্ন

শহীদুল্লাহ্ ফরায়জী একজন সুনামধন্য গীতিকবি। উনার গান রচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ অনেক সুন্দর ও নিরেট বাস্তবতা উঠে আসে।ধন্যবাদ আপনাকে এমন অসামান্য লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

Zahid Hasan
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১:৪৬ অপরাহ্ন

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগলো|

এহতেশামুল হক
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১:৪০ অপরাহ্ন

লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগলো।

Mrinmoy Kumar Roy
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১:০৬ অপরাহ্ন

চমৎকার একটি লেখা।

মুহাম্মদ শামসুদ্দীন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

After long time read a good writing. Really it was fantastic. True is universal truth which are attached here. Thanks again for writing. Thanks,

Md Hafizur Rahman
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:০৩ অপরাহ্ন

Thank you for lovely opinion. I am also agree with you.

MD. ABU HANIF
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

আমি হলে ওকে পানি ও দিতাম না।

কাজী মাজহার
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

পলাতক হাসিনা মিথ্যাবাদী এবং অহংকারি ছিলেন আপাদমস্তক....................

মো: জহুরুল ইসলাম
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

very very good. This is my think 100%

nazrul islam
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সুন্দর সত্যের উচ্চারনে সময়োপযোগী লেখা। আপনাকে ধন্যবাদ

মুহাম্মদ তারেক হোসেন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

Salute

Abdul Wadud
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

কথা যদি ‘রৌপ্য’ হয়, তাহলে নীরবতা হলো ‘সোনা’-এ চিরকালের সত্য। আপনি যা-ই ভাবুন তা-ই অন্তরালে রাখুন, কথা বললেই রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার রেখে যাওয়া রাষ্ট্র অনেক বদলে গেছে, যাকে মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে বিবেচনা করছে

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

apnar motamot ar shatha ami akmot. vhalo likhasan.

Abdul Khaleq
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

My great congratulations to Mr. Shahidullah Farazi bhai for a wonderful article and a crystal-clear analysis of a deposed/fled away, the head of the state of Bangladesh, A rare history in the world.

habibur rahmans khan
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। উপদেশতো সে ই গ্রহণ করে যার বুঝ/উপদেশ গ্রহণ করার মত অন্তর আছে। এক্ষেত্রে কী হবে জানিনা, তবে উপদেশ দানকারীর দায়িত্ব শুধু পৌঁছে দেয়া। আবারও ধন্যবাদ

এম এস হক
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন

excellent I am really convinced to read this very explanation about the dictator Hasina and whatever she did in her 15 year tenure.

quaz[ eand whatever
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

অত্যন্ত সুন্দর চমৎকার একটি লেখা। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। ভাল থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এস, আলী
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:০২ পূর্বাহ্ন

সবাই যা বুঝতে পারে উনি তা বুঝতে পারেন না,কারণ ভাড়াটিয়া কিভাবে মালিক হয়।দেশটা ছিল উনার বাপের।

আবু
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:৪০ পূর্বাহ্ন

চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি

Monjurul Ahasan
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:০২ পূর্বাহ্ন

অসাধারণ।

আবুল খায়ের বাবু
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক/ পিতা ও কন্যার পরিণতি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status