ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

প্রাসঙ্গিক

সেলফি-উচ্ছ্বাস ও সুষ্ঠু নির্বাচন

মোজাম্মেল হোসেন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবারmzamin

বাংলাদেশে জনপ্রিয় একদা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর হবি ছিল মুভি ক্যামেরায় ছবি তোলা। তখন তো স্মার্টফোনের সেলফি ছিল না। রাষ্ট্রীয় সফরকালে তিনি উড়োজাহাজের সিঁড়িতেই ছোট মুভি ক্যামেরা বের করে ছবি তোলা শুরু করেছেন এমন সংবাদচিত্র আমি স্কুলজীবনে দেখেছি। গুগলে সার্চ দিয়ে পেলাম টাইম ম্যাগাজিনের ১৯৫৭ সালের ২২শে জুলাই তারিখের একটি রিপোর্ট যার শিরোনাম ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী: একটি বিশৃঙ্খল দেশের আত্মবিশ্বাসী নেতা’। রিপোর্টের শুরুর বাক্যটি হলো, দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদৃঢ় মিত্র পাকিস্তানের পাশ্চাত্য অনুরাগী প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তার সদাব্যস্ত ১৬ মিলিমিটার মুভি ক্যামেরাটি ঘুরাচ্ছিলেন। 

 


গত ৯-১০ই সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে যে জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা এলেন সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে সেলফি তুলেছেন। তিনজনেরই হাস্যোজ্জ্বল মুখ। সম্মেলনের ফাঁকে হৃদ্যতাপূর্ণ এই চমৎকার সাক্ষাতের কয়েকটি ছবি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তার এক্স-হ্যান্ডেলে আপলোড করেছেন। দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসও করেছে। তা থেকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মিডিয়ায় স্থান করে নেয় এ সেলফি। আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন-পূর্ব উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক নেতারা এই সেলফি তোলাকে মাত্রাতিরিক্ত উচ্ছ্বাস বনাম কৌতুক-কটূক্তির উপলক্ষে পরিণত করেছেন।

বিজ্ঞাপন
সেদিনই ঢাকায় সমর্থকদের এক সমাবেশে ভাষণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোৎসাহে বলেন, এক সেলফিতেই বিএনপি চোখে অন্ধকার দেখছে, তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাদের এক সমাবেশে ত্বরিত ব্যঙ্গাত্মক জবাব দিয়ে বলেন, ওই সেলফির ছবি বাঁধিয়ে গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়ান। 

এই সেলফি-অত্যুৎসাহ ও বাদানুবাদের পটভূমি হচ্ছে বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য দেখতে চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ সৃষ্টি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অধোগতি ঘটছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে মর্মে অভিযোগ ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই আন্তর্জাতিক চাপ। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম প্রভৃতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সাত জন কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের ওপর স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দেয়। আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক হওয়ার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হলে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না মর্মে তারা গত ২৩শে মে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ নীতি ঘোষণা করে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সরকারি নেতারা বলতে চেষ্টা করেছিলেন যে ‘আমরা তো সুষ্ঠু নির্বাচনই চাই, তাই ওই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই’ কিন্তু অচিরেই ভিন্ন সুর আসে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ৩রা জুন কৌতুক ও অভিমান মিশিয়ে বলেন, বিশ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু এসে-যায় না। আগে-পিছে দেশে-বিদেশে তিনি আরও গুরুতর কথা বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে অপসারিত করতে চায়, তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ নিতে চায়, সেটা দিলেই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে ইত্যাদি। 

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞাসিত হয়ে মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুধু বলেছেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কোনো দিন কোনো আলোচনা হয়নি। 
এই পটভূমিতে দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনকালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলে যে সৌহার্দ্য ও সৌজন্য দেখিয়েছেন তা দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো। আবার ওবায়দুল কাদের প্রমুখ নেতারা অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে বালকসুলভ চাপল্য নেই তা-ও বলা যাবে না। 

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বিশেষত কূটনীতিতে শারীরিক ও প্রতীকী ভাষা, আকার-ইঙ্গিত প্রভৃতিতে কোনো বার্তা দেয়ার রীতি অবশ্যই চালু আছে। তবে রাজনীতিকদের অনেকের যে হবির কথা দিয়ে লেখা শুরু করেছি তা যদি হয়, অর্থাৎ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেউ একই রকম ছবি বা সেলফি তোলেন, তাহলে সেখানে কোনো বিশেষ বার্তা খোঁজার সার্থকতা নেই। যারা মিডিয়ার খবর রাখেন তাদের এখন জানা  যে, আমেরিকার বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টের জনসংযোগের প্রিয় ধরন হচ্ছে সেলফি তোলা ও একটু দীর্ঘ সময় করমর্দন করা। গত বছর বড় একটি রিপোর্টে হোয়াইট হাউসের এপি প্রতিনিধি জেক মিলার জানিয়েছিলেন, বাইডেনের বক্তৃতা দেয়ার ভঙ্গি আকর্ষণীয় নয়, যতটা দক্ষ তিনি সেলফিতে। 

সংবাদচিত্রে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট বোস্টন কলেজে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সেলফি তুলছেন। ডাবলিনে সাবেক সিনফিন নেতা গেরি অ্যাডামসের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল। গত বছর আসিয়ানের একটি সম্মেলনে নমপেন গিয়ে বাইডেন কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলেছেন।  খেমারটাইমসে ছাপা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি কম্বোডীয় খাদ্য পছন্দ করেছেন। একঝাঁক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সেলফি তোলার ছবিও পত্রিকাটিতে ছাপা হয়েছে। 
এ সবই সাধারণ কূটনৈতিক সৌজন্য যা আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির অংশ। যুদ্ধরত দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও আলোচনার টেবিলে বসলে হাসিমুখেই থাকেন, উষ্ণতার সঙ্গেই করমর্দন করেন। নমপেনে সেলফি তোলার আট-নয় মাস পরেই হুন সেন বিরাধী দলকে নিষিদ্ধ করে নিজের ছেলেকে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসানোর জন্য একটি জঘন্য একতরফা নির্বাচন করায় যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দেয়।  

তবে নিঃসন্দেহে দিল্লির জি-২০ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যমানভাবে বিপুল আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত এই গ্রুপটিকে জাতিসংঘের পরে বিশ্বের বৃহত্তম মঞ্চ বলা যায়। সদস্য না হয়েও দিল্লি সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত হয়েছে দ্রুত বিস্ময়কর অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ মোকাবিলা ও নারী অগ্রগতির মতো কতক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়াকে পথ দেখাচ্ছে বলে। তাই বিশ্বের জোড়া জোড়া চোখ শেখ হাসিনার ওপর পড়া খুব স্বাভাবিক এবং তা আমাদের ভালো লাগবে। বাইডেনের সেলফি, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের হাসিনার চেয়ারের কাছে সৌজন্য দেখিয়ে নিচু হয়ে হাঁটু গেড়ে কথা বলা, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর করমর্দন ও ঢাকায় আসার ক্যামেরা ছবিগুলো আমাদের কাছে প্রতীকী হয়ে ওঠে। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্বের স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছে আগেই। যদিও টেকসই হওয়া নিয়ে গবেষণা অব্যাহত আছে। তবে এই বিশ্ব সম্প্রদায়ই যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পিছিয়ে পড়া, সংকটগ্রস্ত হয়ে পড়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যরূপে দেখতে চায় ও সেজন্য তাগিদ দেয় তাহলে আপত্তির কী আছে? যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টত ইন্সট্রুমেন্টালি বা বাস্তব কৌশল প্রয়োগ করেই চাপ দিয়েছে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণার দ্বারা। সরকারি তরফে সমালোচনা হলো এরূপ চাপ দেয়া আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। বিদেশিরা পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তাদের আইনে। নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংশন তাদের আইন, তারা বাইরে থেকে প্রয়োগ করবে। তারা আমাদের ভেতরে এসে কিছু করছে না। তাই অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ নাই। আর গণতন্ত্র অনুশীলন ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলার আন্তর্জাতিক বাতাবরণ প্রস্তুত আছে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, জাতিসংঘ সনদ, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি, বিভিন্ন বৈষম্যবিরাধী খসড়া প্রভৃতি যেগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে সেগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার এবং সেগুলোর বিধান প্রতিপালন আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতাধীন। অন্য দেশে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচন সম্পর্কে সার্টিফিকেট দেয়া এই বাতাবরণেরই অংশ। 

আন্তর্জাতিক নজর যে সব সময় একই রকম থাকবে তা-ও নয়। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ আজকের মতো আগ্রহ দেখায়নি। তার মানে এই নয় যে, তারা ওই দুটি নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নিয়েছে। নোবেল লরিয়েটগণসহ ১৭৪ জন বিশ্বব্যক্তিত্বের আলোড়ন তোলা বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বৈধতার ঘাটতি ছিল’ (ল্যাক্ড লেজিটিমেসি) ওই দুটি নির্বাচনে।   

তখন উচ্চবাচ্য করেনি, এখন করছে তার পেছনে অবশ্যই কথিত ‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ’ আছে। তারা চীনের প্রভাব বৃদ্ধিকে এ-অঞ্চলে ঠেকাতে চায়। এই স্বার্থ থাকলেও কি আমাদের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যায়? সুষ্ঠু নির্বাচন কি তাদের জন্য দরকার, না আমাদের জনগণের জন্য দরকার? তাদের জন্যও দরকার। কারণ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শক্তিমত্তা দেখাচ্ছে বলে পশ্চিম এখানে বিনিয়োগ করবে। সেজন্য তারা চায় বাংলাদেশ নিয়মনীতি পদ্ধতি অনুযায়ী আইনের শাসনে স্থিতিশীল থেকে সুশৃঙ্খলভাবে চলুক। এখানে বিশৃঙ্খলা হলে তাদের বিনিয়োগের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। পশ্চিমা দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুত্ব। চীন-রাশিয়ার তা নয়। কারণ নিজেদের দেশেই গণতন্ত্র নেই। তাই ওই দুটি দেশ বর্তমান ‘ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে’ বাংলাদেশের ‘সার্বভৌমত্বের বন্ধু’ হয়ে পশ্চিমা চাপের বিরোধিতা করছে। সেজন্য কি আমরা পশ্চিমা চাপ এড়াতে চীন-রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারবো? তা-ও পারবো না। কারণ আমাদের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ওই দুটি দেশ থেকে আসে না, আসে পশ্চিম থেকে। তাছাড়া ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। শেখ হাসিনার সরকার চমৎকার ভারসাম্য রেখে এই নীতি সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করে চলেছেন, যতটা অন্য কোনো সরকার পারেনি। তাই শেখ হাসিনার পক্ষে ওদিকে ‘ঝুঁকে পড়া’ সম্ভব নয়। যদি পড়েন তা হবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, যা তিনি করেন না। তাই যত দিক থেকেই বিচার করা হোক, ‘সেলফি-উচ্ছ্বাস’ যতই বেলুন ফুলাক, শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতেই হবে। না করলে দেশের জন্য দুর্ভোগ।

লেখক: সাংবাদিক

পাঠকের মতামত

লীগের আচরণ দেখলে মনে হয় , এবার ওদের কাছ থেকে দেশকে নতুন ভাবে স্বাধীন করতে হবে।

Nasim
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

১০

স্বপ্নের স্বদেশের সন্ধানে/ তফসিল ঘোষণা- এরপর কি সব সমাধানের সুযোগ শেষ?

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status