খেলা
দুয়ারে বিশ্বকাপ-তবুও পরীক্ষা, শেষ কোথায়!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবারনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১শে সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি মাঠে গড়াবে ২৬শে সেপ্টেম্বর। ঠিক তার পরের দিনই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু টানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে সেই দলে কারা থাকবেন আর থাকবে না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ভীষণ ধোঁয়াশা। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলের পূর্ণাঙ্গ রূপের এখনো দেখা মেলেনি। হবে কীভাবে এখনো যে চলছে দল নিয়ে নানা পরীক্ষা। ব্ল্যাকক্যাপস্দের বিপক্ষে যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেখানেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ রাখা হয়েছে। সিরিজেই নির্ভর করছে, তামিম ইকবাল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকারদের ভাগ্য। লিটন দাসের নেতৃত্বে এই সিরিজে প্রধান কোচের চোখ থাকবে শেষবার নিজেদের সেরা দলটি সাজিয়ে নেয়ার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম আছেন বিশ্রামে। দেশের ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে এই সময় অধিনায়কের বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল না। এতে করে দলকে শেষবারের মতো গুছিয়ে নেয়ার সুযোগটাই হারিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপের আগেও তিনি ছিলেন না দলের সঙ্গে যার প্রভাবটাও ভালোই পড়েছিল দলের উপর। তিন ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ এবার সেখান থেকে ফিরেছে শূন্য হাতে। তাই বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেরা দলটিকে খেলানো উচিত হতো বলে মনে করেন ক্রিকেট ভক্তরা।
নিউজিল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের চোখ থাকবে তামিম ইকবালের উপর সবচেয়ে বেশি। ইনজুরি থেকে ফিরেছেন ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি ফিট থাকলে খেলবেন বিশ্বকাপেও। আর না থাকলে লিটনের সঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেবে দল তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। নাঈম শেখ ওপেনিংয়ে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। এবার কী তাহলে এনামুল হক বিজয় নাকি সৌম্য সরকার হবেন দলের বিকল্প ওপেনার। আবার সৌম্যকে তো ৭ নম্বরেও ভাবা হচ্ছে দলের ফিনিসার হিসেবে। নাকি মাহমুদউল্লাহ ফিরবেন ফিনিসারের ভূমিকাতে! তামিম ফিট হলেও বিকল্প ওপেনারতো নিতেই হবে দলের সঙ্গে। কারণ যেকোনো সময় তার ইনজুরি ফিরে আসতে পারে বলেই শঙ্কার কথা জানিয়ে রেখেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। বিশ্বকাপের জন্য সাকিব, মুশফিক, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদরা অনেকটাই নিশ্চিত। দলের নড়বড়ে জায়গা বলতে ওপেনিং আর ৬ বা ৭ নম্বর। যদি শেষ পর্যন্ত এই দুটি স্থানে যোগ্য কাউকে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে এশিয়া কাপের মতোই ভড়াডুবি হতে পারে দলের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হঠাৎ কেন এমন স্কোয়াড তা নিয়ে অবশ্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর বক্তব্যেও আছে ধোঁয়াশা। তিনি বলেন, ‘এই স্কোয়াড অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে করা হয়েছে। শুধু জাকির, খালেদ ও রিশাদ এখনো ওয়ানডে খেলেনি। গত মার্চে ওয়ানডে খেলার খুব কাছাকাছি ছিল জাকির। কিন্তু তখন দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরড্ হয়ে যায়। খালেদের লিস্ট এ ক্যারিয়ার ভালো। রিশাদ বোলিংয়ে আলাদা বৈচিত্র্য আনে।’ এশিয়া কাপে ভালো কিছু করতে না পারা আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন ও নাঈম শেখেরও জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে। আবার এমনও হতে পারে তাদেরও বিশ্রামে রাখা হয়েছে। দেখে নেয়া হচ্ছে বিকল্প। তবে যেখানে বিশ্বকাপের যেখানে মাত্র ২০ দিন পর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ সেখানে এখনো পরীক্ষা দলের জন্য কতোটা সুফল আনবে তা সময়ই বলে দিবে!