নির্বাচিত কলাম
বেহুদা প্যাঁচাল
হারুন কি একদিনে হয়েছে?
শামীমুল হক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
এডিসি হারুন এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এটি দেখে নারী কর্মকর্তার স্বামী ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। এ নিয়ে সেখানে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ থেকে দাঁত তুলে নেয়া ও প্রহারের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি লজ্জাকর।
পুলিশের এডিসি হারুনের বর্তমান রূপ কি একদিনে এ পর্যায়ে গিয়েছে? নিশ্চয় না। এর জন্য হারুনকে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। মেধা খাটাতে হয়েছে। অনেক অপকাণ্ড করতে হয়েছে। ধীরে ধীরে ঔদ্ধত্য হয়ে ওঠে এ হারুন। এর জন্য দায়ী কে? বলে নেয়া ভালো- পুলিশের স্লোগান হলো- শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতি। হারুনের কার্যক্রমে এর একটি কি আছে? প্রথমেই জেনে নেয়া যাক হারুন সম্পর্কে এক সময়ের পুলিশ সার্জেন্ট বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত জনি আহমেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব তার টাইমলাইনে জনির একটি লেখা পোস্ট করেছেন। লেখাটি জনি তার নিজের টাইমলাইনে লিখেন।
জনি লিখেছেন- এডিসি হারুন!!
আমি তখন শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট এডমিন। আমার মূল কাজ ছিল- ১৭০ জন ফোর্সের ডিপ্লয়মেন্ট ও তদারকি করা। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে বড় প্রোগ্রাম হলে এই সংখ্যাটা ৩০০-৪০০ প্লাস হয়ে যেত। একবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কি যেন একটা বড় প্রোগ্রাম হচ্ছিল। তাই আমার এসি স্যার শাহবাগ ইন্টারসেকশনে অবস্থান করছিলেন। এদিকে এসি স্যারের সঙ্গে অফিসিয়াল কাজে আমার জরুরি দেখা করা প্রয়োজন। শাহবাগ ইন্টারসেকশনে গিয়ে জানতে পারলাম স্যার শাহবাগ পুলিশ বক্সে আছেন। আমি পুলিশ বক্সে ঢুকে দেখি এসি স্যার, এডিসি হারুনসহ আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার নিয়ে বসে আছেন। আমি তাদের যথারীতি সম্মান দেয়ার পরেও এডিসি হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে অশোভনভাবে আমাকে সম্বোধন করেন। এখানে আমার কি ভুল ছিল সেটাই আজ পর্যন্ত খুঁজে পেলাম না।
ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম ছিল। ৪০০/৫০০ জন ফোর্সের দুপুরের খাবার বিতরণ শেষে আমাকে ডিসি অফিস থেকে বলা হলো খাবারগুলো ঠিকভাবে বণ্টন হয়েছে কিনা তা রিপোর্ট করতে। তাই আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রত্যেক ডিউটিপোস্টে এবং ইন্টারসেকশনে গিয়ে রিপোর্ট নিচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে যাই। মোটরসাইকেল একপাশে স্ট্যান্ড করে ফোর্সদের রিপোর্ট নিতে লাগলাম। এ সময় এডিসি হারুন ভেতর থেকে আসছিলেন; পাশে আমাকে দেখে একজন অপ্রকৃতিস্থের মতো অস্রাব্য ভাষায় অহেতুক গালি দিয়ে এখান থেকে চলে যেতে বললেন। অথচ সিনিয়র হিসেবে তিনি এটা সুন্দরভাবে বললেই আমি চলে যেতাম। স্পষ্টত মনে আছে, সেদিন আমার মন এতই খারাপ হয়েছিল যে, আমি কোনোভাবেই নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছিলাম না। তাই বন্ধু সার্জেন্ট বাশারের কাছে গিয়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় শুধু নিস্তব্ধভাবে বসেছিলাম। এডিসি হারুনের মাত্রাতিরিক্ত দুর্ব্যবহারের কারণে তিনি আমার কাছে সর্বদাই অপ্রিয় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী জানার পরেও তিনি যা করেছেন তা শুধুমাত্র বদলি/ প্রত্যাহারে যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি আরেকটা কথা বলতে চাই- গত ৬/৭ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নাম করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন ও শুভ্র মানসিকতার প্রার্থী এসআই/সার্জেন্ট পদে যোগদান করছে। তাদের প্রতি যদি ম্যাক্সিমাম সিনিয়রদের পজিটিভ অ্যাটিচিউড থাকে, তাহলে তারা তাদের নিজেদেরকে উতরে পুলিশের জন্য আরও সুনাম নিয়ে আসতে পারতো। জনির এ লেখাটি জানিয়ে দেয় হারুন মানুষ হিসেবে কেমন?

ইংরেজিতে ছয়টি অক্ষরে একটি শব্দ পুলিশ। পি, ও, এল, আই, সি, ই। এর প্রতিটি অক্ষরের আলাদা আলাদা শব্দ রয়েছে। যার অর্থও রয়েছে। পি-তে পোলাইট। মানে হলো ভদ্র। ও-তে অবিডিয়েন্ট। যার অর্থ আনুগত্যকারী। এল-এ লয়্যাল। যার অর্থ অনুগত। আই-তে ইন্টেলিজেন্ট। যার অর্থ বুদ্ধিমান। সি-তে কারেজিয়াস। যার অর্থ সাহসী। ই-তে এফিসিয়ান্ট। যার অর্থ দক্ষ। এই যে পুলিশ শব্দের এত ব্যাখ্যা। তার একটির প্রতি কি সম্মান দেখিয়েছেন এডিসি হারুন? দক্ষতা এমন দেখিয়েছেন যে, ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের দাঁত পিস্তলের বাঁট দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। একটি অরুচিকর ঘটনা নিয়ে শনিবার রাতে যা হয়ে গেল তার জন্য এমন আচরণ কোনো টপ টেররের দ্বারাও সম্ভব কিনা তা চিন্তা করতে হচ্ছে। লাজ-লজ্জা বলে যদি কিছু থাকে তাহলে কোনো মানুষ এ নিয়ে রা’ পর্যন্ত করতেন না। মুখ লুকিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতেন। নাঈমের দাঁত এমনভাবে ভেঙেছে দেখে মনে হয় একটি একটি করে দাঁত যন্ত্র দিয়ে টেনে তুলেছে। আচ্ছা কীভাবে ঘটনা ঘটলো? শনিবার রাত সাড়ে ৮টা। শাহবাগ থানার তদন্ত বিভাগের পরিদর্শকের কক্ষে টেনেহিঁচড়ে নেয়া হয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে। এরপরই শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। পুলিশ সদস্যরা কিল-ঘুষি মারতে থাকেন, বুঁটের লাথি পড়তে থাকে তার শরীরে। পিস্তলের বাঁট দিয়ে মুখমণ্ডলে চলতে থাকে একের পর এক আঘাত। নির্যাতনে অংশ নেয়া প্রায় সবার মুখ ছিল মাস্ক দিয়ে ঢাকা। এর নেতৃত্বে ছিলেন রমনা বিভাগের এডিসি হারুন-অর-রশীদ। ঘটনার শিকার নাঈমের ভাষ্য, যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছিলেন হারুন। দৈনিক কালবেলায় নাঈমের বর্ণনা দেয়া রিপোর্ট বলছে- টানা আধাঘণ্টা ধরে চলে নির্মম নির্যাতন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে হয়তো মারা যাব। জ্ঞান হারানোর আগে এডিসি হারুনকে বলেছিলাম, আপনি না ছাত্রলীগের পরিচয় দেন। আমিও তো ছাত্রলীগের নেতা। এমন আচরণ করছেন কেন? এ কথা শোনার পর পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলে জানান নাঈম। হারুন তখন বলতে থাকেন, কীসের ছাত্রলীগ? নিজ যোগ্যতায় এখানে আসছি। আমি ছাত্রলীগের কেউ না। নির্যাতনের পাশাপাশি হারুন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন বলেও জানান। নাঈমের কানে ও গালে জমাটবাঁধা রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ঠোঁটে ৮ থেকে ১০টি সেলাই। দাঁতের পাটির সামনের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। নাঈম বলেন, এডিসি হারুন পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার দাঁতগুলো ভেঙেছে। কয়েকটি পুরোপুরি ভেঙে গেলেও সব দাঁতই এখন নড়বড়ে অবস্থায়। মারতে মারতে পুরো মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে। অঝোরে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল, তাতেও মন গলেনি সেই কক্ষে থাকা কারোর।
নাঈমের বক্তব্য, ঘটনার রাতে তিনি এবং শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম শাহবাগ হয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। বলেন, বারডেম হাসপাতালের সামনে সরকারি কর্মকর্তা এক বড় ভাইকে দেখতে পাই। তিনি তখন লিফটে করে কার্ডিওলজি বিভাগে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর, সেখানে গিয়ে দেখি, ওই ভাই ও এডিসি হারুনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হচ্ছে। তখন আমরা মীমাংসার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর এডিসি হারুন ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। তারা এসে আমাদের তিনজনের ওপর চড়াও হন। সেখান থেকে মারতে মারতে মুনিমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমিও শাহবাগ থানায় যাই। থানায় ঢোকামাত্র এডিসি হারুন অন্য পুলিশ সদস্যদের আমাকে দেখিয়ে বলেন, ও আমাকে মারছে। এখন তোরা ওকে মার। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হারুনের নেতৃত্বে শুরু হয় পৈশাচিক নির্যাতন।
সূত্রমতে, এডিসি হারুন পুলিশ ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তাকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার রাতেও হারুন বারডেমে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার কাছে গেলে বিষয়টি টের পান তার স্বামী। তখন তিনি ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে গিয়ে হারুনকে হাতেনাতে ধরেন। এর জেরে মুনিমকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে নাঈম থানায় গেলে তার ওপর নজিরবিহীন পৈশাচিতকতা চালান হারুনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
নৃশংস এ ঘটনা জানাজানি হলে হারুনকে প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমারের সঙ্গে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রশ্ন হলো- হারুনের কি এটাই প্রথম অপকর্ম? এর আগে একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। যাতে পুলিশ বিভাগকে বিতর্কিত হতে হয়েছে। সে সময় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো শনিবারের এ ঘটনা ঘটতো না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ শাখা রমনা বিভাগের এডিসি হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন হারুন-অর-রশীদ। মানুষ পিটিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছেন তিনি। পুলিশ যেখানে বারবার জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের কর্মকাণ্ড প্রচার করছিল, ঠিক তার বিপরীত ছিলেন এডিসি হারুন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে নিজের সহকর্মীকেও পেটাতে ছাড়েননি তিনি। এইতো ক’দিন আগে সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন হারুন। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের লাঠিপেটা ও অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেন তিনি। ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ডিএমপি’র কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তবে এত কিছুর পরও থেমে থাকেননি তিনি। এরপর চাকরির বয়সসীমা ৩৫-এর দাবিতে আন্দোলনকারীদের শাহবাগে পেটান তিনি। এর বাইরেও শাহবাগ থানার ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। গত বছর ১৮ই এপ্রিল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তখন গুলি শেষ হয়ে গেছে বলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারেন। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন হারুন। মানুষজন এখন বলছেন, এত ঘটনার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ার ফল হচ্ছে- শাহবাগ থানায় দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরে যান ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। গতকাল বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ডিএমপি’র সদরদপ্তরে প্রবেশ করেন সাদ্দাম। আর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ডিএমপি সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনা ও সামপ্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
ওদিকে ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না: তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার একটি বাহিনী। এখানে কোনো ব্যক্তির দায় নেয়া হবে না। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সাক্ষাৎ শেষে ডিএমপি’র নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন বিপ্লব সরকার।
মূল ঘটনা হলো- এডিসি হারুন এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এটি দেখে নারী কর্মকর্তার স্বামী ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। এ নিয়ে সেখানে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ থেকে দাঁত তুলে নেয়া ও প্রহারের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি লজ্জাকর। সত্যিই দেশের গুটি কয়েক পুলিশ সদস্যের জন্য গোটা পুলিশ বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পুলিশ শব্দের অপব্যবহার করছে এসব পুলিশ। পুলিশ বিভাগে একা হারুন নয়, এমন অনেক হারুন রয়েছে। যাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই দেশ পাবে এক নির্জলা নির্ভেজাল পুলিশ বিভাগ। তারা পুলিশের স্লোগান ও পুলিশ শব্দের অর্থকে বুকে লালন করে দেশকে এগিয়ে নেবেন।