ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

বাহার ভাইয়ের শহরে ভোটে নাটকীয়তা?

সাজেদুল হক
১১ জুন ২০২২, শনিবার
mzamin

মনটা এমনিতে বিষণ্ন। একটা হাত তাড়া করে ফিরছে। সহকর্মী জীবন আহমেদের ক্যামেরায় বন্দি ছবিটি আমরা প্রথম পাতায় ছেপেছি। আরও অনেকেই তা তুলেছেন। কে জানে হাতটি কার? মানুষটা কী ভেবেছিলেন, এই এখানেই হঠাৎ তার সবশেষ হয়ে যাবে। থেমে যাবে আনন্দ বেদনার মহাকাব্য। একটু আগেই যার একটা নাম ছিল। কারও বাবা, কারও সন্তান। এই আকস্মিক, অকস্মাৎ দুর্ঘটনা তাকে নতুন পরিচয় দিয়েছে। লাশ।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু তাও হয়তো চিহ্নিত করতে পারছেন না স্বজনরা। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কী মনে পড়ছিল তার? চোখের সামনে উঁকি দিচ্ছিল সন্তানের মুখচ্ছবি? একজন যেমন মামাকে ফোন দেন। আমার মেয়েটাকে একটু দেখে রাইখো।

 

সিইসি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন নির্বাচনের তুলনায় স্বচ্ছ? বিগত দুটি নির্বাচনের তুলনায়? ফেসবুকে পড়া একটি কৌতুক মনে পড়লো। একটি দোকানে বিরাট সাইন বোর্ডে লেখা-এখানে দ্রব্যমূল্য কম। পাশে ছোট করে লেখা, আগামী সপ্তাহের তুলনায়!


ট্র্যাজেডি। এই ভূমে বড় চেনা দৃশ্য। কত কত দুর্ঘটনা। শিকার বেশির ভাগই শ্রমজীবী-সাধারণ মানুষ। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। ৯ বছর হয়ে গেল। শত শত মানুষের মৃত্যু। কিন্তু একটি পা। মাথায় গেঁথে আছে এখনো। মানবজমিনেই লিখেছিলাম, আপনি কী মেয়েটির ছবি দেখেছেন। তার মুখ দেখা যায় না। শরীরের অন্য কোনো অংশও নয়। শুধু দেখা যায় একটি পা। যে পায়ে কঙ্কন বাঁধা। মেয়েটি কার দিকে তাক করে রেখেছে তার পা? আমার দিকে, আপনার দিকে? এক পা উদ্ধত মেয়েটিকে নিয়ে তখন অধ্যাপক আলী রীয়াজ লিখেছিলেন,
‘তোমার কঙ্কনের ধ্বনি বেজেছে মায়ের আঙ্গিনায়,
তোমার সংসারে
তোমার ঊর্ধ্বমুখী হাত উঠেছে প্রার্থনায়
সে গতকাল ছিল
আগামীকাল তোমার কঙ্কনের ধ্বনি বাজবে না মায়ের আঙ্গিনায়, তোমার সংসারে
এখন তোমার পা উদ্ধত বাংলাদেশের দিকে।’

মেয়েটির কথা আপনার মনে আছে? হয়তো আছে, হয়তো বা নেই। ৯ বছর তো কম সময় নয়। নাজিম হিকমত তো আর এমনি এমনি লিখেননি, বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড় জোর এক বছর। বলে রাখা দরকার, রানা প্লাজা কিংবা বিএম ডিপো এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে শাসক দলের রাজনীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের নামই উঠে এসেছে। ক্ষমতা এদেশে নানা বাড়তি সুবিধা দেয়। সেটা না বললেও চলে।
কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ। পৃথিবীটা ভালো নেই। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে প্রতিদিন। আয় বাড়ছে না। জীবনের সঙ্গে লড়াই করে মানুষের টিকে থাকা বড্ড কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্নবিত্তের। ২১ লাখ মানুষের নতুন করে গরিব হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে এই তো সেদিন। এমনিতে সীতাকু- ট্র্যাজেডি এমন সময়ে এসেছে যখন পুরো জাতি উৎসবের অপেক্ষায়। পদ্মা সেতু তো আর কেবল একটি সেতুই নয়। একটি জাতি এবং তার নেতৃত্বের সক্ষমতার পরিচায়কও।

ভোটের আলাপ
ট্র্যাজেডি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর উৎসবের অপেক্ষা। এসবের মধ্যে ভোট নিয়ে আলোচনাও থেমে নেই। যদিও নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কতটা আগ্রহ আর বিশ্বাস আছে তা নিয়ে এ লেখকের বিস্তর সংশয় রয়েছে। তবুও আলোচনার গাড়ি থেমে নেই। গত সপ্তাহে ঢাকায় দুইজন গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ৯ই জুনের ইত্তেফাকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিটার ডি হাস বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই। তবে আগামী দিনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই যাতে এদেশের জনগণ তাদের নেতা বেছে নিতে পারে। একই রিপোর্টে সিইসির ভাষ্যও পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ হবে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

ওদিকে, জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, অতীতের চেয়ে আগামীতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন দেখতে চায় জাপান। গত মঙ্গলবার ডিকাব টকে তিনি আরও বলেন, টোকিও আশা করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। একইদিনে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের একটি টুইটও বিপুল আলোচনার জন্ম দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতা এবং কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য মৌলিক বিষয় হচ্ছে শক্তিশালী এবং গতিশীল সিভিল সোসাইটি (সুশীল সমাজ)। যুক্তরাজ্য এবং সারা বিশ্বেই সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (নাগরিক সংগঠন) গুলো। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতা থাকা উচিত।’ তার এই টুইটের প্রতি পরে সমর্থন জানান ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

 

 

কুমিল্লায় নির্বাচন এবং বাহার ভাই
গোমতীর তীরঘেঁষা ইতিহাসের শহর কুমিল্লা। ভোটের বাদ্য বাজছে বেশ। ১৫ই জুন সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। বিএনপি না থেকেও আছে। যেমনটা আছেন হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহারও। বছর পাঁচেক আগে আমাদেরই এক রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, ‘বাহার ভাই, বাহার ভাই, বাহার ভাই।’ এই শহরে তার একচ্ছত্র দাপটের সেই চিত্র কি বদলে গেছে? একদমই না। ক’দিন আগেও আবার কুমিল্লায় গিয়েছিলাম। সবকিছু দেখে নিশ্চিত হলাম, ১০ নাম্বার জার্সিটি তারই। তিনিই কুমিল্লার রাজনীতিতে মূল প্লেয়ার। অন্যরা আছেন, থাকতে হয় বলে। গেল এবং এবারের সিটি নির্বাচনের আগে কয়েক দফায় কথা হয় কুমিল্লার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। যাদের বেশির ভাগই রাজনীতিবিদ। নানা দল, নানা মত। যেটা হয়ে থাকে আমাদের সমাজে। 

পরে একটা ব্যাপারে সবাই একমত, কুমিল্লায় হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহারই শেষ কথা। অন্তত গত এক যুগে তিনিই সব। তার আগে পিছে কেউ নেই, কিছু নেই। এক সময়কার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী আফজল খান ইতিমধ্যে প্রয়াত। তবে বেঁচে থাকতেই নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। তার পুত্র এবার স্বতন্ত্র হয়ে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরামর্শে চোখের জলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। কিন্তু থাকলেও খুব একটা উনিশ-বিশ হতো তা খুব বেশি মানুষ মনে করেন না। আফজল খানের কন্যা গতবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। এখন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।

এবারের সিটি নির্বাচনটি অবশ্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে। তারই লোক আরফানুল হক রিফাত মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে। তার জয়-পরাজয় যেন এখন অনেকটাই বাহারের জয়-পরাজয়ে পরিণত হয়েছে। গত দুটি নির্বাচনে সদর আসনের সংসদ সদস্যের জন্য এ চ্যালেঞ্জ ছিল না। কারণ তার বিপরীত শিবিরের নেতা প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গে তার সখ্যতার কথা শহরের সবার জানা। সাক্কু নিজেও প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেন। বলেন, আমি তো উনাদের সঙ্গে মিলমিশেই চলেছি। কিন্তু সেদিন আর নেই। 

এবার প্রকাশ্যেই সাক্কুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বাহাউদ্দিন বাহার। সদ্য সাবেক মেয়র অবশ্য উঁচু গলাতেই সে অভিযোগ নাকচ করেছেন। ভোটের ময়দানে রিফাতের সঙ্গে সাক্কুর বাহাসও বেশ জমে উঠেছে। প্রতিদিনই কথার লড়াইয়ে নামছেন তারা। ক’দিন আগে সাক্কুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, চাপ বাড়লে কি হাল ছেড়ে দিবেন তিনি? জবাবে নিজের ৪৩ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে চাপ দেয়া এত সহজ নয়। ভোট যত ঘনাচ্ছে ততো স্পষ্ট হচ্ছে, সাক্কুর বিরুদ্ধে রিফাতের লড়াইটা একেবারে সহজ নয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারও অবশ্য ভোটের ময়দানে রয়েছেন।
বলছিলাম বাহাউদ্দিন বাহারের চ্যালেঞ্জের কথা। এ নির্বাচনে রিফাত হেরে গেলে বাহাউদ্দিন বাহারের সব শেষ হয়ে যাবে না। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পর দৃশ্যত তার কতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে। 

সেটি যে তিনি হতে দিতে চান না তা একেবারে স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশন তাকে শুরুতে সতর্ক করেছিল সেটি তিনি আমলে নেননি। সর্বশেষ গত বুধবার তাকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, যেহেতু আপনি বিধি বহির্ভূতভাবে কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, তাই ২৫৪ কমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দেয়ার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায়, অনতিবিলম্বে আপনাকে উল্লিখিত নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে আচরণ বিধি প্রতিপালন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

তবে ইসির এ চিঠিও এখন পর্যন্ত আমলে নেননি বাহাউদ্দিন বাহার। অন্তত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি এলাকাতেই ছিলেন। এ নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ অমান্য করে এখনো নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বুধবার স্থানীয় এমপি বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় ইসি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে বাহার জানান, তিনি কুমিল্লাতেই অবস্থান করছেন এবং এর কারণ হিসেবে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে নৌকার মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে, তা ঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ
কুমিল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত তরুণ চিকিৎসক। দিন কয়েক আগে জানতে চাইলাম, ভোট দিবেন? বললেন, ভোটার হয়েছি অনেকদিন হলো। এখন পর্যন্ত তো ভোট দেয়ার সুযোগ পাইনি। এবার পাবো কিনা, কে জানে? তো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এ আলোচনার ভেতরেই আরেকটি হিসাব উঁকি দিচ্ছে। যেটি মাথায় রেখে কেউ কেউ বলছেন, অবাধ নির্বাচনের নাটকীয় সম্ভাবনার কথা। স্থানীয় বনাম জাতীয় রাজনীতির হিসাব। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের সক্ষমতার প্রমাণ। এমনিতে হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ তো অনড়ই। যেকোনো মূল্যেই তারা রিফাতের জয় চান? কিন্তু জাতীয় নেতৃত্ব সেখানে একটি অবাধ নির্বাচন চাইতে পারে। সে সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। বিশেষ করে যখন আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নানা কথা হচ্ছে।

আগের লেখাতেও বলেছি, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এমনিতে বেশ স্মার্ট মানুষ। কথা বলেন স্পষ্ট, গুছিয়ে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অন্তত মুখের কথায় তিনি অবাধ এবং স্বাধীন নির্বাচনের ব্যাপারে নিজের আকাক্সক্ষার কথা বার বার প্রকাশ করেছেন। এসব ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না বলেও তার স্পষ্ট বার্তা। তবে বাস্তবে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম পরীক্ষা হতে চলেছে কুমিল্লায়। যে নির্বাচন নিয়েও কমিশন এখন পর্যন্ত শক্ত বার্তাই দিয়েছে। বাহাউদ্দিন বাহারের মতো ব্যক্তিকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারদলীয় এমপি যদি এলাকা ত্যাগ না করেন কমিশন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটিই দেখার বিষয়।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। একজন নির্বাচন কমিশনারের ভাষা ধার করে বলি, গোপন কক্ষে যেন ডাকাত না দাঁড়িয়ে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণটা সবারই জানা। বাঁশখালীর আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী সম্প্রতি যেটা আরও স্পষ্ট করেছেন। তার কথায়- ‘ইভিএম মানে কি জানো? তোমার আঙ্গুল আমি টিপ দেবো। ওটা হলো সুষ্ঠু ভোট।’ এমন সুষ্ঠু ভোট নিশ্চয় নির্বাচন কমিশন চায় না। তাছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনায় একটি বার্তা দেয়ারও সুযোগ এসেছে কমিশনের সামনে। আউয়াল কমিশন কি তা উতরাতে পারবে? উত্তর জানতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। 

 

 

শেষ কথা: ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অতীতের চেয়ে আগামীতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন দেখতে চায় জাপান। সিইসি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন নির্বাচনের তুলনায় স্বচ্ছ? বিগত দুটি নির্বাচনের তুলনায়? ফেসবুকে পড়া একটি কৌতুক মনে পড়লো। একটি দোকানে বিরাট সাইন বোর্ডে লেখা-এখানে দ্রব্যমূল্য কম। পাশে ছোট করে লেখা, আগামী সপ্তাহের তুলনায়! 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status