নির্বাচিত কলাম
সাগর-রুনি হত্যা
সাড়ে ১১ বছরে তদন্তই শেষ হয়নি, বিচার শুরু হবে কবে?
রাশিম মোল্লা
৮ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার
মামলার তদন্তকারী যেমন বদলি হয় তেমনি জিআরও বদলি হয় বার বার। তদন্তকারী নিয়মিত আদালতেও যান না। জিআরও সময় নিতে বলে দেন। জিআরও একটি মুখস্থ মৌখিক আবেদন করেন। বিচারকও নতুন সময় ধার্য করেন। এভাবে একের পর এক মামলার ধার্য তারিখ পড়ে। যদিও আইনে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে এটি নির্দেশনামূলক, বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগেই বছরের পর বছর সময় নিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সোহেল মানবজমিনকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুযায়ী একটি হত্যা মামলা ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। যে কারণে একটি মামলার তদন্ত শেষ করতে বছরের পর বছর সময় পান তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাবিজ্ঞাপন
২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। কিন্তু ১১ বছর ৬ মাস পার হলেও এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। গতকাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু র্যাবের পক্ষ থেকে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় ১০০ বারের মতো পেছালো। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলম আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালতের নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আদালত ১০০তম বার সময় দিলেন। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চারদিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব।

তদন্ত এখন আর দেশে নেই। তদন্ত কর্মকর্তা অজ্ঞাতনামা দুই পুরুষ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউএসএ’র একটি ডিএনএ ল্যাবের সঙ্গে কাজ করছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির ডিএনএ থেকে অপরাধী/জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে। এজন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে এক হাজার দুই শত ডলার ফিও ব্যাকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে বলে অগ্রগতি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৯শে আগস্ট উল্লিখিত পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ই-মেইল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বলা চলে তদন্ত ঝুলে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে কবে ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন আসবে তা কেউ বলতে পারছেন না। এই মামলার যেহেতু এখনো কোনো চার্জশিট হয়নি তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পিপিও নিয়োগ দেয়া হয়নি। আদালতে মামলাটি দেখছেন জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও)।
মামলার তদন্তকারী যেমন বদলি হয় তেমনি জিআরও বদলি হয় বার বার। তদন্তকারী নিয়মিত আদালতেও যান না। জিআরও সময় নিতে বলে দেন। জিআরও একটি মুখস্থ মৌখিক আবেদন করেন। বিচারকও নতুন সময় ধার্য করেন। এভাবে একের পর এক মামলার ধার্য তারিখ পড়ে।
যদিও আইনে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে এটি নির্দেশনামূলক, বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগেই বছরের পর বছর সময় নিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সোহেল মানবজমিনকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুযায়ী একটি হত্যা মামলা ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। যে কারণে একটি মামলার তদন্ত শেষ করতে বছরের পর বছর সময় পান তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন ৩৮ ডিএলআর ১৫২ পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে মানবজমিনকে বলেন, তদন্ত শেষ করার সময়সীমা এজাহার প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে জানান। অথচ ১০ বছরেও এ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তিনি বলেন, দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ বা সহকারী দায়রা জজ বিচারের জন্য মোকদ্দমা প্রাপ্ত হওয়ার ৩৬০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। তদন্তই শেষ হয়নি বিচার শুরু হবে কবে তা কেউ বলতে পারে না।
সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল হাইকোর্ট তদন্তের ব্যর্থতায় র্যাবকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব। এই সময়ের মধ্যে র্যাবের পক্ষ থেকে আদালতে মামলার ১০টি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
১ম, ২য় ও ৩য় অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০শে মার্চ কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি সব মিলে ৭টি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল হাইকোর্ট এ মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং আইজিপি মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে র্যাব কর্তৃপক্ষ মামলার তদন্তভার র্যাব সদর দপ্তরের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহর ওপর অর্পণ করে। আর মামলার তদন্ত তদারকি করতে ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের পরিচালক ও ট্রেনিং অ্যান্ড ওরিয়েন্টেশন উইং পরিচালকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত তদারকি কমিটি গঠন করেন। পরে ওই বছরের ১৯শে এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদারকি কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদসহ আলামত জব্দ করেন। মৃত্যুর পূর্বে ভিকটিমদের কোনো ওষুধ বা রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে অবচেতন করা হয়েছিল কিনা তা জানা না থাকায় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ২৬শে মে নিহতদের লাশ আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। পুনরায় সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ভিসেরা সংরক্ষণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রাসায়নিক পরীক্ষাপূর্বক নিহতদের মৃত্যুর পূর্বে অচেতন করার কোনো দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল কিনা, তাদের মলমূত্র, ফুসফুস, লিভার ও পাকস্থলীতে চেতনানাশক পদার্থের অস্তিত্ব ছিল কিনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামতের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯শে মে ভিসেরার রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভিসেরায় কোনো প্রকার বিষাক্ত কিংবা নেশা জাতীয় পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে কোনো প্রকার ফুট প্রিন্ট, ফিঙ্গার প্রিন্ট সিআইডি সংগ্রহ করতে পেরেছিল কিনা তা জানার জন্য যোগাযোগ করেন। জব্দকৃত সংরক্ষিত আলামতের মধ্য হতে ছুরি, ছুরির বাঁট, বাঁটে ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া যায় কিনা তার জন্য আলামত যুক্তরাষ্ট্রের ফরেনসিক ল্যাবে প্রেরণ করেন। তাছাড়া সাগর-রুনির পরনের কাপড় এবং নিহত সাগরের হাত ও পা বাধার কাপড়, গ্রিল, ঘটনাস্থলে পাওয়া চুল, ভাঙা গ্রিলের পাশে পাওয়া মোজা, দরজার লক, দরজার চেইন, ছিটকিনি রাসায়নিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে প্রেরণ করেন। এ ছাড়া ধৃত ৮ জন আসামি ও নিহত ভিকটিমদ্বয়ের নিকটাত্মীয়সহ সন্দিগ্ধ ২১ জনের বুকাল সোয়াব (নঁপপধষ ংধিন) সংগ্রহপূর্বক ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে প্রেরণ করেন। প্রেরিত আলামত ও ২১ জনের বুকাল সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষার আংশিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজন, নিহতদের আত্মীয়স্বজন, নিহতদের অফিসের সহকর্মী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ সর্বমোট ১৪৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ ও পর্যালোচনা করা হয়।
১০ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: ২০২০ সালের ৫ই অক্টোবর কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১০ম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ৭ই জুলাই থেকে আমি এ মামলার তদন্ত করে আসছি। মামলাটি তদন্তকালে পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসার তদন্তের আনুষঙ্গিক কাজ করাসহ মোট ৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ৬ জন বর্তমানে জেলহাজতে আছে এবং ২ জন আসামি জামিনে আছে। তদন্তকালে অজ্ঞাতনামা পুরুষ ব্যক্তিদ্বয়কে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউএসএ’র অপর একটি ডিএনএ ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটির ডিএনএ থেকে অপরাধী/জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে এক হাজার দুইশ’ ডলার ফি ব্যাকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯শে আগস্ট উল্লিখিত পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ই-মেইল প্রেরণ করেছি। কিন্তু তারা এখনো এ বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করেননি।
পাঠকের মতামত
এ সরকার বিদায় হওয়ার আগে এ মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা হবে না। কারন সরকারের উর্ধতন মহল এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।
Never ending "investigation".
বাংলার মাটিতে একদিন সবার বিচার হবে, ইনশা'আল্লাহ ! শুধু ধৈর্য্য ধারণ করুন।
মনে হয় অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষার পরেও সাগর-রনি হত্যাকাণ্ডে বিরোধী দলের কোন লোক কে জড়িত করতে না পেরে বার বার আদালত থেকে সময় নেওয়া হচ্ছে, আদালত থেকে বার বার সময় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারা বর্তমানে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো তাই এই হত্যাকান্ড নিয়ে জাতির মনে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, সেই কারণে একশ্রেণির জনগণ মনে করে হয়তো এই হত্যাকাণ্ডে সরকারের কোনো সংস্থা বা সরকারে আছে এমন লোক জড়িত থাকতে পারে।
যে কোন দেশের বিচার ব্যবস্থায় তার প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব সর্বত্র অনুভূত হলে আপরাধ পরবর্তী কার্যক্রম সয়ংক্রিয়ভাবে প্রবাহমান থাকে। যে কারনে এ দেশেও বহু মামলায় উর্ধতন মাননীয় আদালতের সয়োমটো হস্তক্ষেপে বিচাহীনতার দায় থেকে রক্ষা পেয়েছে। কেবল এদের তদন্তের ক্ষেত্রে একটা অনিশ্চয়তা নিয়তি হয়ে দাড়িয়েছে।
আপনারা বিশ্বাস রাখুন, আস্বস্ত থাকুন বিচার অবশ্যই হবে। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায়। বিচার তো হবেই। কারণ দেশে গণতন্ত্র চলছে। গুন্ডাতন্ত্র তো নেই। জনগণের সরকার ক্ষমতায়। স্বৈরতন্ত্র তো নেই। তাই আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন। বিচার হবে। যেহেতু দেশে কোন গুন্ডাতন্ত্র নেই সেহেতু আপনাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।
আইন পুলিশের গতিতে চলতে দিন !
গনতান্ত্রিক দেশে কোন দল একটানা ৪র্থ বার ক্ষমতায় যাবে এটা যারা মনে করে তারা আহাম্মক। যদি তেমনটি হয় তবে বুঝতে হবে দেশে গনতন্ত্র নাই, আছে ১০০% শৈরতন্ত্র যা চলছে। তবে এটাকে উল্টে দেয়ার জন্য আমেরিকা কাজ করছে যা সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি সবচে গুরুতর অপরাধ। এরসাথে অন্যকোন অপরাধের কোন তুলনা হয় না। আবার দেশ থেকে টাকা পাচারকারিরাও গুরুতর অপরাধে অপরাধী। কারন তারা টাকা পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে দেয়। তখন সেই সব দেশের দায় দ্বায়িত্ব উন্নত দেশগুলোকেই নিতে হয়। নেফিউ বলছেন, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্যাংশনকে দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন। নিশ্চিত নতুন করে স্যাংশন আসছে। আমেরিকার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান বাংলাদেশের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের মুক্তির সোপান।
Justice in this case will done when people establish a democratic governments in the country.