ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাফ কথা

রাজনীতির গুগলিতে শেষবেলায় কারা হবেন বোল্ড আউট?

কাজল ঘোষ
৬ আগস্ট ২০২৩, রবিবার
mzamin

সুষ্ঠু নির্বাচন সকলেই চায়, সকলেই সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়, সকল দলই চায়। সকল বিদেশি পক্ষই সকল দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। সবার চাওয়া কাছাকাছি। কিন্তু আস্থার সংকট নিয়েই লড়াই চলছে দলগুলোর মধ্যে। কাছাকাছি সময়ে ভারতেও নির্বাচন। কই সে দেশের নির্বাচন নিয়ে তো দুনিয়ায় এত মাতামাতি, চাপাচাপি, দর কষাকষি নেই। তাহলে আমাদের এখানে সমস্যা কোথায়? আমাদের এখানে কোনো প্রতিষ্ঠানই শক্তিশালী কাঠামো নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, দুদক সকলের বিরুদ্ধে আস্থাহীনতা তীব্র। দলীয়করণের ছায়া ভর করে আছে সব প্রতিষ্ঠানে। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের লড়াই যখন যে দলই বাইরে থাকে তারাই করছে। আর শেষ এই গুগলির লড়াইয়ে কারা জিতবে সেই আলোচনাই এখন মুখ্য।

 

অনেকদিন থেকেই খেলা হবে, খেলা হবে এই শব্দটি রাজনীতির মাঠে চাউর আছে। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রায়শই মাঠের এই শব্দটিকে রাজনীতির অভিধানে আত্তীকরণ করে নিয়েছেন। রাজনীতিতে উত্তাপ উত্তেজনা যত বাড়ছে ততই নতুন নতুন শব্দ ও ভঙ্গি আমরা দেখতে পাচ্ছি। গত ক’দিন আরও কিছু নতুন শব্দ অভিধানে যুক্ত হয়েছে। গুগলি, বোল্ড আউট, নক আউট। প্রয়াত আব্দুল জলিলের ৩০শে এপ্রিলের ট্রাম্প কার্ড যেভাবে রাজনীতির মাঠে তুমুল ঝড় তুলেছিল এ সময়েও বড় দু’দলের মহাসচিব গুগলি নিয়ে মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ। কাজেই আমাদের কথাবার্তাও এখন গুগলি যুগে প্রবেশ করবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে তা কেজো ভাষায় না হয়ে মেঠো বক্তৃতায় সরব। 

সপ্তাহ খানেক   আগে বিএনপি’র ৩১শে জুলাইয়ের জনসভায় মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, গুগলিতে ব্যাটসম্যান যেমন কিছু বুঝে ওঠার আগে বোল্ড আউট হয়ে যায়, বিএনপি’র দুই দিনের কর্মসূচিতে (২৮ ও ২৯শে জুলাই) আওয়ামী লীগের অবস্থা একই হয়েছে। বিএনপি’র গুগলিতে আওয়ামী লীগ বোল্ড আউট হয়ে গেছে। 
তার জবাব এলো তারও সাতদিন পর। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর জবাব দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের বক্তব্য টেনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুগলি তো করেছেন, কিন্তু বল তো ‘নো’। আর নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না। 

শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপি’র সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ভয়ঙ্কর এক বিষফোঁড়া বিএনপি। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন তারা হত্যা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা চালাবে। 

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরা আবারো দেশের মাটিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। এরা নির্বাচন চায় না। এদের আসল উদ্দেশ্য- ষড়যন্ত্র করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল। ষড়যন্ত্রের অলিগলি খোঁজে তারা। ষড়যন্ত্রের গলিপথ দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত এখনো তারা করছে। 

রাজনীতির মাঠে প্রতিদিনই চলছে এমন পাল্টাপাল্টি আর কৌশলের খেলা। বিএনপি যে কর্মসূচিই দিচ্ছে মাঠে সরকারি দল আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচিও নিয়ে থাকছে। যা আগের আন্দোলনগুলোতে দেখা যায়নি। এরশাদবিরোধী আন্দোলন বা পরবর্তীতে বিএনপি জমানায় আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে একইসঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার নজির নেই। আন্দোলন হয়েছে, পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশও হয়েছে। তবে তার বেশির ভাগই ছিল দিনক্ষণ পৃথক রেখে। এখন শান্তি সমাবেশের নামে সরকারি দলও মাঠে অবস্থান বজায় রেখেছে। সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ঢাকার বাইরে সফর শুরু করেছেন। রংপুরে তিনি এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়ে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। সামনের দিনগুলোতেও জেলায় জেলায় সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সবকিছু বিবেচনায় এটা বলা যায়, সবদলই মাঠে সমানতালে অবস্থান নেবে সামনের দিনগুলোতেও।  

এর মধ্যেই চলছে নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ। হিরো আলমকে নিয়ে দেয়া বিবৃতির প্রেক্ষাপটে সরকারের অসন্তোষ, পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের তলব এবং দূতদের স্পষ্ট অবস্থানের খবর মিডিয়াতে আসার পরপরই ক’দিনের ব্যবধানে মার্কিন দূত পিটার হাস ছুটে গেছেন ইসিতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে আলোচনার রেশ না কাটতেই পৌঁছে গেছেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে। আলোচনার বিষয় একটাই নির্বাচন! নির্বাচন!! নির্বাচন!!! কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের দলের কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করা অনেকটাই নজিরবিহীন। যদি এই বৈঠক বিএনপি অফিসে হতো তাহলে সরকারি দলের নেতারা নিশ্চয়ই এতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলতে কালক্ষেপণ করতেন না। 

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা ও তার দলের চাওয়া একই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্যে আওয়ামী লীগ কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এমন প্রশ্ন করা হয় ওবায়দুল কাদেরের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেন চাপ অনুভব করবে? সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন আমাদের অঙ্গীকার। যদি বলেন, বিবেকের চাপ অনুভব করছি।

বাংলাদেশের নির্বাচন আর বাংলাদেশের নয়। দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে এ নিয়ে আওয়াজ আসছে। এটিই এখন আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঢাকায় লম্বা সময় অবস্থান করে বুঝতে চেয়েছে ঢাকার অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলও আসছে শিগগিরই। জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছে। কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করারও দাবি জানিয়েছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় আমাদের নির্বাচন নিয়ে  কথা বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়া। লম্বা সময় পর ভারতেরও নীরবতা ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চাইবেন, ভোট সেভাবে হবে। তবে ভারত চায় নির্বাচনটি পরিকল্পনামাফিক হোক, সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হোক। 

একটু পেছনে ফিরি। একটা সময় দুই বেগমের লড়াই নিয়ে বিদেশি মিডিয়ায় একটা সময় প্রচুর প্রতিবেদন প্রকাশিত হতো। ইকোনমিস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামেই তখন থাকতো ‘টু ব্যাটলিং বেগমস’। বলছিলাম, ওয়ান-ইলেভেনের আগে পরের ঘটনার কথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে? 
দফা এক কিন্তু রফা কি? মহল্লার গলিতে অবস্থিত চায়ের টং থেকে পাঁচ তারকা হোটেলের লবিতে ক্যাপাচিনো বা লাটেতে চুমুক দিতে দিতে নীতি-নির্ধারক মহলও একই প্রশ্নই তুলছেন। তাদের টেবিলে নানা প্রস্তাব কাঁটাছেঁড়া চলছে। এটা হলে এটা হবে? ওটা হলে কি হবে? সবশেষে সমাধানহীন যদি আর কিন্তুতেই ঘুরপাক খাচ্ছে সবকিছু। 

ওয়ান-ইলেভেনের পর গত তিন টার্ম ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়কালে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি একটিও। মানুষ তার ন্যূনতম ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত লম্বা সময়। সাধারণ চাকুরে শাহজাহান মিঞা আন্দোলন মিছিল-মিটিং পছন্দ করেন না কিন্তু ওনার চাওয়া একটাই, নিজের ভোটটা দিতে চান। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের আক্ষেপ, স্বাধীনতার ৫৫ বছর চলে গেলেও আমরা নির্বাচনটা হাসি নিয়ে উপভোগ করবো তা এখনো তলানিতে। আবার অচলাবস্থা, ভোটটা ঠিকমতো আয়োজনের দোষটা কোথায়?   

কথা তো ঠিক। আবারো কি রাজনীতি একই পথে এগুচ্ছে? এরই মধ্যে জল গড়িয়েছে অনেকদূর। আইন আর সংবিধান নিয়ে বাহাস চলছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে তারাই তা বাতিল করেছে। অন্যদিকে যেই বিএনপি তা নাকচ করেছিল তার জন্য রাজপথে তারা লড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খবরের শিরোনামেও বদল ঘটেছে। এখন আর শিরোনামে টু ব্যাটলিং বেগমস নেই। এবারের শক্তির লড়াইও কি পুরনো চেনা পথেই হাঁটবে? এই লড়াইয়ের কাউন্টার পার্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কার্যত বন্দি। নানা রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। নয়াপল্টনের বিশাল সমাবেশের পর অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই প্রশ্ন তুলেছেন, মাঠের লড়াইটা কি তাহলে দৃশ্যত ওয়ান বেগম ভার্সেস আদারস। 

দু’দলের পাল্টাপাল্টি চলছে রাজনীতিতে। নব্বইয়ের পর বেশক’টি নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশে চমক দিতে বড় দলগুলো ওত পেতে থাকতো কে কতো চমক দিচ্ছে তা বুঝতে। আর সরকারি দল বসে থাকছে বিএনপি কি কর্মসূচি দিচ্ছে তার দিকে। ২৭শে জুলাইয়ের পূর্ব নির্ধারিত বিএনপি’র মহাসমাবেশ নিয়ে যে নাটক হয়েছে ডিএমপি আর সরকারি দলের তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল দেখলেই বোঝা যায়। বিএনপি’র পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি খবরে নেটিজেনরা অম্লমধুর হিউমার ছড়িয়েছেন এন্তার। রাতে যখন বিএনপি’র মহাসমাবেশ একদিন  পেছালো তা নিয়ে সরকারের ৩ অঙ্গসংগঠনও অবস্থান বদলালো। অবস্থান কর্মসূচি নিয়েও চলছে একইরকম খেলা। পুলিশি নিষেধাজ্ঞায় বিরোধীরা কর্মসূচি পালন করছে। মুখোমুখি দু’পক্ষই। ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে আছে এক অজানা শঙ্কায়। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট, অনেকটাই শীতল ভূমিকায় সাউথ ব্লক। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই ঘোলাটে হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।   
কথা হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন সকলেই চায়, সকলেই সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়, সকল দলই চায়। সকল বিদেশি পক্ষই সকল দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। সবার চাওয়া কাছাকাছি। কিন্তু আস্থার সংকট নিয়েই লড়াই চলছে দলগুলোর মধ্যে। কাছাকাছি সময়ে ভারতেও নির্বাচন। কই সে দেশের নির্বাচন নিয়ে তো দুনিয়ায় এত মাতামাতি, চাপাচাপি, দর কষাকষি নেই। তাহলে আমাদের এখানে সমস্যা কোথায়? আমাদের এখানে কোনো প্রতিষ্ঠানই শক্তিশালী কাঠামো নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, দুদক সকলের বিরুদ্ধে আস্থাহীনতা তীব্র। দলীয়করণের ছায়া ভর করে আছে সব প্রতিষ্ঠানে। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের লড়াই যখন যে দলই বাইরে থাকে তারাই করছে। আর শেষ এই গুগলির লড়াইয়ে কারা জিতবে সেই আলোচনাই এখন মুখ্য।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ/ এক যুগ আগে ড. ইউনূসকে যা বলেছিলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status