ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ

আগুন পোড়ালে কিছু থাকে মানুষে পোড়ালে কিছুই রাখে না

তারিক চয়ন
৮ জুন ২০২২, বুধবার
mzamin

কবি হেলাল হাফিজের কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলাম। তা দিয়েই শেষ করি। মানবানল কবিতার শেষাংশ এরকম: ‘আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে, কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই। মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না, কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।’ পরিশেষে আবেদন শুধু এটুকুই, আমরা মানুষ হয়ে মানুষ না পোড়াই

যে জলে আগুন জ্বলে’র কবি হেলাল হাফিজ তার ‘মানবানল’ কবিতার শুরুতে লিখেছিলেন, ‘আগুন আর কতোটুকু পোড়ে? সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ...।’ জনপ্রিয় এই কবি এখন রাজধানী ঢাকার কোনো এক হোটেলে থাকেন বলে শুনেছি। নানা অসুখে জর্জরিত হলেও কবি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুনে কতোটুকু পুড়েছে, ওই আগুন কতোটুকু ক্ষয়ক্ষতি আর বিনাশের কারণ হয়েছে। 

মনে পড়ে গেল, সামপ্রতিককালের এক ঘরোয়া আড্ডার কথা। যেখানে আমাদের সঙ্গে ছিলেন এক প্রথিতযশা কবি। আড্ডায় আমন্ত্রিত দেশের এক সাবেক বিখ্যাত (সোনালি যুগের) নায়ক একটু দেরিতে হাজির হতেই কবির প্রশ্ন, এত দেরি কেন হে নায়ক? ট্রাফিক জ্যামে রাস্তায় আটকে ছিলাম, নায়ক এইটুকু বলতেই কবি তাকে স্বভাবসুলভ খোঁচা মেরে বললেন, ‘আপনি তো নায়ক! আপনারা তো সব পারেন। সাগর পেরিয়ে, পাহাড় ডিঙিয়ে প্রিয়তমা নায়িকাকে উদ্ধার করে ফেলেন। এই সামান্য জ্যামটায় বসে না থেকে লাফাতে লাফাতে চলে আসতে পারলেন না?’ নায়কটিও ছাড়বে কেন! কবির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘নায়করা সব বাধা পেরুলেও কখনো কোনো সিনেমায় কোনো নায়ককে ঢাকা-শহরের জ্যামকে পরাস্ত করতে দেখেছেন? আসলে নায়করা সব পারে না। সব পারে কেবল কবিরা।

বিজ্ঞাপন
লিখে দিলেন, ‘তুমি আমার মুনিয়া, তোমার জন্য গড়ে দিলেম আরেকটি দুনিয়া।’ ব্যস, এক সেকেন্ডে বানিয়ে দিলেন একটা আস্ত পৃথিবী। 

নায়ক ঠিকই বলেছেন। কবিরা চাইলে সবই পারেন। সীতাকুণ্ডের আগুন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যেখানে জীবন দিয়েও নেভাতে পারেন নি, সেখানে কবিরা ‘চোখের জলে আগুন নেভাতে’ বলছেন! অবশ্য এমন আগুন নেভাতে সবাই যখন ব্যর্থ, তখন কবিতা লেখা ছাড়া কারোই তো করার কিছু নেই! ফায়ার সার্ভিস ব্যর্থ একথাও কি বলা যায়? যেখানে এমনকি দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমেও প্রশ্ন করা হয়েছে, কার গাফিলতিতে গেল এতগুলো তরতাজা প্রাণ? শনিবার রাতে আগুন লাগলেও  রোববার দুপুরেও সেখানে আসেননি ডিপোর মালিক বা কোনো কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসন দাবি করেছিল: ডিপোতে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’-এর বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে। সে কারণে আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেখানে ওই ডিপোর মালিকপক্ষের কেউ না থাকায় কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে, তা জানতে পারছে না তারা। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনউদ্দিন বলেন, “ডিপোর মালিকপক্ষের কাউকে এখনো পাওয়া যায়নি। তাই এখানে কী ধরনের কেমিক্যাল আছে, তা বলা যাচ্ছে না। সে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে।” 

 

 

সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটানোর মতো ক্ষমতা ডিপোতে মজুত ‘নিরীহ’ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নেই বলে অনেকে দাবি করলেও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে অনেকের ঘরের কাঁচের দরজা-জানালা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার নেপথ্যে আসলেই কি ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দায়ী সেটা জানতে আগ্রহী কিন্তু সবাই। তবে, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অন্য কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মজুতের অনুমতি যে ছিল না সেটা ইতিমধ্যেই খোলাসা হয়ে গেছে। 

ঠিক কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন এতটা বেপরোয়া হয়েছিল সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যখন রহস্য দানা বাঁধছে তখন অনেকেই আবার ‘আগুন কে ধরিয়েছে’ তা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দাঁড় করাচ্ছেন। সরকার এবং বিরোধী দল একে অপরের দিকে সন্দেহের বন্দুক তাক করছে। বলাইবাহুল্য, এদেশের রাজনীতিবিদদের প্রায়ই তাদের  প্রতিপক্ষকে ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’ বলে সতর্ক করতে এবং হুমকি দিতে দেখা যায়। 

হাল আমলে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর মতো অন্য কেউ রাজনীতির মাঠে ‘আগুন’ শব্দটি এত বেশি ব্যবহার করেন নি। ‘আগুন সন্ত্রাস’ শব্দদ্বয়কে একত্রে জনপ্রিয় করার প্রয়াস, বলা চলে তিনি একাই চালিয়ে গেছেন। তথ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গণমাধ্যমে ইনুর নিয়মিত সরব উপস্থিতি ছিল। সে সময় তার মুখ থেকে আমরা ‘আগুন সন্ত্রাসীদের বিচার হবে’, ‘আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ হলে সংলাপ হতে পারে’, ‘আগুন সন্ত্রাস করলে কপালে দুঃখ আছে’, ‘বিএনপির নেতারা আগুন সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দেয়’, ‘খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসী’, ‘আমি আগুন-সন্ত্রাসীদের মাইনাসের পক্ষে’, ‘আগুন সন্ত্রাসীদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে’, ‘আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কখনোই আপস হতে পারে না’ ইত্যাদি বাক্য প্রায় প্রতিদিনই শুনতাম। ইনু আর তথ্যমন্ত্রী নন, আগুন সন্ত্রাস নিয়ে তার কথা বলাও কমে গেছে। হাসানুল হক ইনুর জায়গায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। ইনুর মতোই ‘আগুন সন্ত্রাসের’ দিকে ইঙ্গিত করে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উল্লাসকে অবদমিত করতে নাশকতা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দেশের ভাবমূর্তি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি 

ওদিকে, সারা দেশে সীতাকুণ্ডে আগুনে পোড়া মানুষদের নিয়ে যেদিন (রোববার) শোকের মাতম চলছিল, ঠিক সেদিনই আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ফের বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে। এ নিয়ে মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্ষেপ করে লিখছে- ঘোষণা আসার কথা ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক প্রকাশের, অথচ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে!  এমন এক সময়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও। দলটির মুখপাত্র এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনা আড়াল করতেই সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। মানুষ ঝলসে, পুড়ে যাওয়ার মুহূর্তে সরকার কর্তৃক গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলতে গিয়ে তিনি বিখ্যাত সেই প্রবাদ ‘রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল’ আওড়ান। বক্তৃতার সময় প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার বক্তব্যকে যে শ্রোতাদের সামনে অধিক আকর্ষণীয় করে তোলে ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ রিজভী বোধ করি সেটা বেশ ভালো করেই জানেন। 

ফেসবুকের কারণে অনেক পুরনো, হারিয়ে যাওয়া প্রবাদ নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া মানুষদের দেখতে উৎসাহী নাগরিকদের ভিড়ের কারণে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বলে যখন শুরুতে খবর আসছিল তখন কেবল এই প্রবাদটিই মনে পড়ছিল ‘নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দাও, দেখবে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে তোমায় দেখতে আসবে।’ মানুষের কষ্টে মানুষ আনন্দ পায়, এমনটি বুঝাতে এ ধরনের লেখা অনেকেই আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে থাকেন। কিন্তু, একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা ‘মানুষ মানুষের জন্য’ উক্তিটিই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। 
আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় সাধারণ মানুষ নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। কেউবা রক্ত দিয়েছেন, কেউবা খাবার-পানি বিতরণ করেছেন। বিনামূল্যে ওষুধ দেয়ার ঘটনাও নজর কেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা ডিপোতে ঢুকে মানুষকে উদ্ধার করা থেকে শুরু করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়ার কাজটিও করেছেন। অসহায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের কথা তো সবাই জানেন। এ নিয়ে লিখতে গেলেই অচেনা মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা মুখগুলোর ছবি বারবার চোখে ভেসে আসছে। এসব কিছু মিলিয়ে ফেসবুকে কেউ কেউ লিখছেন: একদিকে একশ্রেণির মানুষের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং নৃশংসতা দেখে মনে হয় আমরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। অন্যদিকে আরেক শ্রেণির মানুষের মমত্ববোধ ও সহমর্মিতা জানান দিচ্ছে, এখনো সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। 

নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ার ঘোষণা নিয়েও ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। আজকালের বাজারে এই টাকায় কী কী পাওয়া যায় তারও হিসাব কষছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, মাংসের বাজার দর হিসেবে নিহতের পরিবার ৫০ কেজি মাংসের মূল্য এবং আহতের পরিবার ২০ কেজি মাংসের মূল্য পাচ্ছে। অনেকে আবার ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনার তদন্তেও ‘অতীতের মতোই তদন্ত কমিটির নামে কিম্ভুতকিমাকার গোছের কিছু একটা গঠন করা হবে এবং ওই কমিটির তদন্ত ইহজনমেও শেষ হবে না।’ 

যার যায় সে বুঝে। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় প্রথম সন্তানের মুখ না দেখেই পৃথিবী ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যেতে হয়েছে বেসরকারি কোম্পানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক্সপোর্ট শিপিং সহকারী যশোরের ইব্রাহিম হোসেনের মতো অনেককে। আমরা যতোই ব্যথিত হই, যতোই শোক প্রকাশ করি; নিহতদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের মতো করে কেউই উপলব্ধি করতে পারবো না স্বজনহারানোর বেদনা।
প্রবাদ আছে, ‘কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভূ আশীবিষে, দংশেনি যারে।’ যার চলে যায় সেই বুঝে হায়, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন, কি দিয়ে দেবে সান্ত্বনা? 

আমরা বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। তাদের দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করছি। নিহতদের পরিবার এবং আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। নিহত অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। 

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার  ‘কোষাধ্যক্ষ’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে পড়ার পেছনে ডিপোর মালিকপক্ষের দুর্নীতি এবং উদাসীনতার কথা ঘুরেফিরে বারবার সামনে চলে আসছে। এমন ভয়াবহ ঘটনার জন্য মুজিবুর রহমান যেকোনোভাবেই দায়ী থাকলে রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষা করে তার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে আইনানুগ শাস্তি প্রদানেরও দাবি জানাচ্ছি। 

কবি হেলাল হাফিজের কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলাম। তা দিয়েই শেষ করি। মানবানল কবিতার শেষাংশ এরকম: ‘আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে, কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই। মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না, কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।’ পরিশেষে আবেদন শুধু এটুকুই, আমরা মানুষ হয়ে মানুষ না পোড়াই।

 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status