ঢাকা, ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সরল সম্ভাষণ

অসহায় বাণিজ্যমন্ত্রী

টুটুল রহমান
১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবারmzamin

বাণিজ্য ও কৃষিমন্ত্রীর পর অর্থমন্ত্রী একটা বড় দুঃসংবাদ পেয়েছেন। সেটা ব্যাংক খাতের। সদ্য সমাপ্ত জুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। তবে সরকারি দু’একটি ব্যাংক ভালো করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর ব্যবসা কমে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে। এটা অর্থমন্ত্রীর দোষ না বৈশি^ক পরিস্থিতির শিকার তিনি। কিন্তু একটি সরকারি ব্যাংক যখন তহবিলের অভাবে ঋণ দেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে তখন তার ব্যর্থতা তো চোখে পড়ে। যখন রপ্তানির মাধ্যমে আন্ডার ইনভয়েস করে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় এবং তা রোধে অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না তখন তার ব্যর্থতা আছে বৈকি

সরকারের দু’জন মন্ত্রীর ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের ভালো থাকা-মন্দ থাকা। তবে এই দুই মন্ত্রীর মধ্যে এক মন্ত্রী সব সময় আলোচনায় থাকেন। আরেকজন অনেকটাই আলোচনার বাইরে। বলছি বাণিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কথা। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেই বাণিজ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়া শুরু হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উপরতলার সবাই বাণিজ্যমন্ত্রীকে দোষারোপ করে মনের খেদ মেটান। কিন্তু কৃষি প্রধান দেশে যখন কৃষিপণ্যের দাম বাড়ে তখন কৃষিমন্ত্রীর খোঁজ কেউ নেন না। কৃষিপণ্যের দাম কতোটা তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে বা তার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কি সে ব্যাপারে কেউ তলিয়ে দেখেন না। সুতরাং দাম বাড়লেই বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরো! বড্ড অসহায় বাণিজ্যমন্ত্রী। 

গত কয়েক বছরের নিত্যপণ্যের বাজারের আগুনমুখী স¦ভাবের কারণে আরও কোণঠাসা ও অসহায় হয়ে পড়েছেন আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী। সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে কিছু সংসদ সদস্যের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকি তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার কথাও বলেছেন কেউ কেউ। বাণিজ্যমন্ত্রী তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। করেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন। সেই সঙ্গে এই প্রথম মনে হয়, মন্ত্রী স্বীকার করলেন, সিন্ডিকেটের কথা। বললেন, এই সিন্ডিকেটকে শাস্তি দেয়া যায়। জেলে পুরা যায়। কিন্তু এতে যে কষ্টটা হবে তা তো সহ্য করতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি এও বললেন, প্রধানমন্ত্রী যদি চান তাহলে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। 

মন্ত্রীর কথায় বোঝা গেল, সিন্ডিকেট আছে। তাদের শাস্তি দেয়া যায়। কিন্তু কষ্টের ভয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এতদিন ধরে যে সিন্ডিকেটের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের পাওয়া গেল এবং তাদের জেলে দিলে, জরিমানা করলে একটা কষ্টদায়ক অবস্থার সৃষ্টি হবে সেটা সহ্য করা যাবে না। এদের কাছে বাণিজ্যমন্ত্রী অসহায় হয়ে পড়েছেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রীর সংসদে দেয়া বক্তব্য যারা শুনেছেন তারা খেয়াল করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রীকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে দোষারোপ করা হয় এবং তিনি রাজনীতিক নন বলে অভিযুক্ত করা হয়। এ কারণে ব্যবসায়ীদের তিনি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন বলে বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। মন্ত্রী তার জবাব দিয়েছেন। ৫৬ বছর ধরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ব্যবসা করছেন ৩০ বছর। তিনি গুলশান আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। 

না বাণিজ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক যুক্ততা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যবসায়ী নেতা হিসেবেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন বলে তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে বলেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাণিজ্যমন্ত্রী এই যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, রাজনৈতিক সুদীর্ঘ ক্যারিয়ার তার সুফল কি দেশের মানুুষ পেয়েছে? 
যুক্তির খাতিরে ধরুন ব্যবসায়ীরা তার বন্ধু-স্বজন। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, বাজার নিয়ন্ত্রণে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীকে যে সহযোগিতা করার কথা ব্যবসায়ীরা কি সেটা করেছেন? উত্তর হচ্ছে না। তারা সেটা করেননি বা বাণিজ্যমন্ত্রী তাদের কাছে থেকে সেই প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেননি। বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যে সিন্ডিকেটের কথা বলছেন সেটা তো একদিনে গড়ে ওঠেনি। শুরুর দিকে কেন তিনি রাশ টেনে ধরতে পারলেন না। কেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় এই দুষ্টুচক্রকে থামানোর উদ্যোগ নিলেন না। বছর বছর, ফি বছর শুধু দেখেছি গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা, রপ্তানিকারকরা, আমদানিকারকদের কি কি সুবিধা দেয়া যায় সেই বিষয়ে ব্যস্ত থেকেছে তার মন্ত্রণালয়। বাজার মনিটরিংয়ে লোকবল সংকট কাটানো, ব্যবসায়ী নেতাদের ডেকে বিশেষ বিশেষ সময়ে পণ্যমূল্যের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো উদ্যোগ তো চোখে পড়েনি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও কখনো আইনানুগ ব্যবস্থা তো দূরে থাক উচ্চবাচ্যও করেননি। যদিও আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী কেন সে পথে হাঁটলেন না সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষ তো প্রশ্ন তুলছে। আর প্রশ্নগুলো আরও বড় হয়ে দেখা দেয় যখন বাণিজ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে ব্যবসায়িক পরিচয়টি সামনে আসে। 

গত কয়েক মাসে বেশকিছু পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। তেল, আটা, চিনি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, মাংস। কোনো কিছুতেই যেন নিস্তার নেই। এসব আমদানিতে সরকার শুল্ক সুবিধাও দিয়েছে। কিন্তু তবু কেন বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকলো না, ব্যবসায়ীরা কেন বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে জনগণের পকেটের টাকা সরাসরি লুটে নিচ্ছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতিবিদ হিসেবে নৈতিক অবস্থান থেকে, মানুষের প্রতি দায়বোধ থেকে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়ার চেষ্টা করেছেন? আর এখানেই বাণিজ্যমন্ত্রীর অসহায়ত্ব বা দুর্বলতা। সেই সুযোগে দিনে দিনে সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে ব্যবস্থা নিতেও এখন মন্ত্রীরা ভয় পান। যদি তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেন। যদি পণ্য আমদানি ঢিলেঢালা হয়ে যায় তাহলে মন্ত্রীর ভাষায় ‘ক্রাইসিস’ তৈরি হবে। তবে বলায় রোগ যখন মন্ত্রী ধরতে পেরেছেন প্রতিষেধকও নিশ্চয় আছে। কেবল প্রয়োগের মানসিক শক্তি চাই। 

এবার আসি কৃষিমন্ত্রীর কথায়। তার কথা, আচরণে খুব আলাভোলা মনে হয়। সারল্যের হাসি মুখে লেগে থাকে। তারও রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এখনও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।  

নিজে কৃষিবিদ। কৃষি সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান রাখেন। ড. আবদুর রাজ্জাক। কৃষি প্রধান দেশের কৃষিমন্ত্রী তো কৃষিবিদই হওয়া চাই। তা না হলে কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা বুঝবেন কীভাবে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে কীভাবে। অথবা ভোক্তাদের কাছে কৃষিপণ্য ন্যায্য দামে পৌঁছাবে কীভাবে। দেশের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপণনের সব ধরনের ব্যবস্থা তো তার মন্ত্রণালয় করবে। 

প্রশ্ন উঠেছে এই মন্ত্রী কি এসব করতে ব্যর্থ হয়েছেন? তা না হলে পিয়াজের দাম কেন হঠাৎ করে আকাশচুম্বী হলো? কাদের স্বার্থে তিনি ১৫ দিন আমদানি বন্ধ রেখে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করার সুযোগ করে দিলেন? তার যুক্তি হচ্ছে আমদানি বন্ধ রেখে কৃষককে ভালো দাম পাইয়ে দেয়ার উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তো অভিজ্ঞ। এদেশের ব্যবসায়ীদের চরিত্র তো তার মুখস্থ থাকার কথা। ব্যবসায়ীদের, বারবার সুযোগ দিয়েও তো সুফল পাওয়া যায়নি বরং তা উল্টোটা হয়েছে এসব জানার পরেও কেন তিনি পিয়াজ আমদানি বন্ধ রাখলেন? কার স্বার্থে? মানলাম আদা না হয় আমদানিনির্ভর। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশে আদা- উৎপাদনে তিনি কৃষকদের কি প্রণোদনা দিয়েছেন? কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার সময়ে ভালো আখের অভাবে চিনি কারখানাগুলোকে একের পর এক বন্ধ করা হয়েছে। গবেষণা বলছে, দেশের এক মণ আখে ৬/৭ কেজি চিনি পাওয়া যায়। ব্রাজিলে যেটা ১২ থেকে ১৪ কেজি। উন্নত আখ চাষে, উন্নত আখের জাত উৎপাদনে তার মন্ত্রণালয় বা ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট কি ভূমিকা পালন করেছে? কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার বরাদ্দ বাড়াতে বাজেট বক্তব্যে  বরাদ্দ বাড়াতে জোর গলায় মানুষের পক্ষে কিছুই চাইলেন না। বিদেশি জাতের বীজে আজ বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে, দেশীয় অনেক কৃষিপণ্য হারিয়ে যাচ্ছে। সেসব পণ্য টিকিয়ে রাখতে তার মন্ত্রণালয়ের কি কোনো উদ্যোগ আছে? 

এবার মরিচের কথা বলি। কৃষিমন্ত্রী তো কৃষিবিদ। এদেশের জলবায়ু আবহাওয়া সম্পর্কে তো তার ধারণা থাকা উচিত। নিশ্চয়ই সেটা আছে।  জুনে দেশজুড়ে খরা হলো। তাপমাত্রা বেড়ে গেল। আবার শুরু হলো অতিবৃষ্টি। সঙ্গত কারণেই মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। সংকট তৈরি হবে স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি তো তার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। সময়মতো তিনি এবারো মরিচ আমদানি করতে ব্যর্থ  হলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। ১২০০ টাকা মরিচ কিনতে হয়েছে কোথাও কোথাও। এক বক্তব্যে দেখলাম সব দাম বৃদ্ধির জন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করছেন। আর বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন মরিচ আমার দেখার বিষয় নয়। সবাই উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে খালাস পেতে চাচ্ছেন।  

বাণিজ্য ও কৃষিমন্ত্রীর পর অর্থমন্ত্রী একটা বড় দুঃসংবাদ পেয়েছেন। সেটা ব্যাংক খাতের। সদ্য সমাপ্ত জুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। তবে সরকারি দু’একটি ব্যাংক ভালো করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর ব্যবসা কমে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে। এটা অর্থমন্ত্রীর দোষ না বৈশি^ক পরিস্থিতির শিকার তিনি। কিন্তু একটি সরকারি ব্যাংক যখন তহবিলের অভাবে ঋণ দেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে তখন তার ব্যর্থতা তো চোখে পড়ে। যখন রপ্তানির মাধ্যমে আন্ডার ইনভয়েস করে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় এবং তা রোধে অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না তখন তার ব্যর্থতা আছে বৈকি। ব্যর্থতা আছে যখন ব্যাংকের পরিচালকরা নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার পরেও তাদের মেয়াদ ৯ বছর করা হয় তখন যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী যেটা রোধ করেন না তখন। বড় বড় ঋণখেলাপিরা বারবার সুযোগ পাচ্ছে। সুবিধা নিয়ে সাধারণ মানুষের আমানত নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী তাদের ব্যাপারে নিশ্চুপ তখন তো তারও ব্যর্থতা আছে।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ/ এক যুগ আগে ড. ইউনূসকে যা বলেছিলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status