নির্বাচিত কলাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচন
আওয়ামী লীগ পেলো মেয়র, দেশ পেলো কী!!!
শুভ কিবরিয়া
২৪ জুন ২০২৩, শনিবারচার সিটি নির্বাচন সেই ‘গ্রহণযোগ্যতার’ মানদণ্ড নির্ণায়ক নির্বাচন হয়েছে বলে মনে হয় না। চার সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে, বা আওয়ামী ঘরানার প্রার্থীরাই জিতেছে। প্রায় ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে আওয়ামী লীগ হয়তো নিজ দলের লোকেদের হাতে মেয়রের গাড়ির চাবি তুলে দিতে পারলো, কিন্তু তাতে দেশ কি পেলো? এই সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে, ভালো নির্বাচন হবে দেশ ও বিদেশের কাছে সেই গ্যারান্টি কি মিললো?
গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়ে গেল। এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক জোরদার লড়াই যতটা না আলোচনার বিষয়, তার চাইতে বেশি আলোচনা হয় ‘আপেক্ষিক সব’ বিষয় নিয়ে। আমরা নিজেদের মধ্যে যখন এসব নিয়ে আলোচনা করি, তখন আমাদের এক বিজ্ঞ বন্ধুর মতামতকে খুব গুরুত্ব দেই। বন্ধুটি সাধারণ চোখে যা দেখা যায়, তার বাইরে আলোকপাত করতে পছন্দ করেন। যেসব ঘটনা চোখের আড়ালে ঘটে, তার প্রতি দৃকপাত করেই তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করেন। তার একটা খুব প্রিয় বাক্য হচ্ছে, ‘চোখ রাখুন রাষ্ট্রের ভেতরের রাষ্ট্রে।’
এবার যখন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম প্রহৃত হলেন, সেই ঘটনা কেন ঘটলো? কারা ঘটালো? এই ঘটনা ঘটিয়ে কার লাভ হলো? সেসব নিয়ে আমরা যখন কথা বলছি, তখন আমার বিজ্ঞ বন্ধুটি আমার দিকে আঙ্গুল তুলে ২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী আন্দোলনের ঘটনা মনে করিয়ে দিলেন। ২৬শে আগস্ট ২০০৬, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে রক্তাক্ত হয় এই জনপদ। দেশের সম্পদ রক্ষার এই আন্দোলনে সেদিন বিশাল সমাবেশে তৎকালীন বিডিআর’র গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিন তরুণ- তরিকুল, আমিন ও সালেকিন। আহত হন ২ শতাধিক আন্দোলনকারী। এই আন্দোলনে বিরাট বেকায়দায় পড়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার। বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এবং তার নেতা শেখ হাসিনা এই আন্দোলনে জনতার পাশে এসে দাঁড়ান। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই ঘটনা ঘটার মাত্র চার মাস পরে ঘটে বিখ্যাত ১/১১-এর ঘটনা। আসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এইসব ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে বন্ধুটি আমার দিকেই প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করে বলেন, ‘তুমিই বলো, সাংবাদিক হিসেবে সেইদিনের ঘটনা ঘটেছে তোমার চোখের সামনেই। তোমার কী মনে হয়েছে, ওখানে গুলির মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল?’ আমি স্মৃতি হাতড়াই। আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফুলবাড়ীর সেই জনআন্দোলনের চিত্র। মূল প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেছে। লক্ষাধিক লোকের মিছিল শেষে সবাই ঘরে ফিরছেন। ঢাকা থেকে যাওয়া নেতারাও ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন। দিনাজপুর থেকে যাওয়া দেশের জাতীয় মিডিয়ার সকল সাংবাদিক প্রেস কনফারেন্স ও এই জনআন্দোলন কাভার করে চলে এসেছেন। মেলাভাঙ্গা শেষ বিকালের মতো লোকজন সবাই যার যার বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তখনই কোনো কারণ ছাড়াই আচানক গুলি। অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় এবং অনাকাক্সিক্ষত এই গুলির পর ঘটনা প্রবাহ নানাদিকে মোড় নিতে শুরু করলো। এই গুলি কেন করা হলো, তার কারণ আমরা আজও জানি না। কিন্তু এটা বুঝেছি, এ ঘটনা তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে নানাভাবে বিপদের মুখে ফেলেছে। সরকার নিজেও তা তখন বুঝতে পেরেছে বলে মনে হয় না। পরে অবশ্য ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি ১/১১ ঘটলে, আমরা অনেক সময় দুয়ে দুয়ে চারকে মেলাতে চেষ্টা করেছি। আমার বিজ্ঞ বন্ধুটির মতামত হলো এসবই হচ্ছে ‘রাষ্ট্রের ভেতরের রাষ্ট্রের ঘটনা।’ যাতে ভবিষ্যত রাজনীতির ইংগিত থাকে, বর্তমান দিয়ে যাকে সাদাচোখে বোঝা কঠিন।
০২.
বন্ধুটির এই বিজ্ঞ মতকে এখন আমি খুব গুরুত্ব দেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের বেশ কটি ঘটনার নানামুখী পঠন পাঠনের পর। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা এনেছিল ডা. মিলনের হত্যার ঘটনা। ডা. শামসুল আলম খান মিলন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক। ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব। ২৭শে নভেম্বর ১৯৯০ তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছিলেন ডা. মিলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি এলাকা অতিক্রমকালে সন্ত্রাসীরা তার ওপর গুলি চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যু হয়। ডা. মিলনের হত্যার মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। এবং অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। এই হত্যাকাণ্ড কেনো হয়, কারা করে, তাতে কার পারপাস সার্ভ হয়- সেই রাষ্ট্রনৈতিক অনুসন্ধান আজো হয় নাই। তবে, সজ্জন-জনপ্রিয় একজন শিক্ষক-চিকিৎসকের এই অপ্রয়োজনীয়, অনাকাক্সিক্ষত হত্যাকাণ্ড জনগণকে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করে। এরশাদ বিরোধী জনমতকে তা দারুণভাবে প্রভাবিত করে।
০৩.
রাষ্ট্রের ভেতরের রাষ্ট্র কী করে তা তো আমজনতার খোঁজ পাবার উপায় নেই। কিন্তু দৃশ্যমান রাষ্ট্রকর্তাদের কথাবার্তা আমলে নিতে হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ভোটের দিন মার খেলেন, রক্তাক্ত হলেন, তাকে সুরক্ষা দেবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ভূমিকা দেখা গেল না। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তার চাইতে বড় কথা খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বাচন। মেয়র প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন, এমন তথ্য তুলে ধরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সিইসি বললেন, ‘রক্তাক্ত.. সবকিছু আপেক্ষিক। রক্তাক্ত.. উনি কি ইন্তেকাল করেছেন?’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই ‘ইন্তেকাল প্রসঙ্গ’ এবং ‘আপেক্ষিক তত্ত্ব’ শুধু কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাই নয়, পুরো নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের যে অনাস্থার মনোভাব, তাকেই জোরদার করেছে। এটা খুউব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বোঝা গেল এই সিইসি নির্বাচন নিয়ে আরও বড় পরিহাস ঘটলেও এরকমভাবেই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিতে কার্পণ্য করবেন না।
তাহলে এই নির্বাচন, কাকে কী দিলো? কার পাতে কতোটুকু গেল?
এক. নির্বাচনে প্রার্থী এবং দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন। তারা রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করেছে।
এই প্রতিক্রিয়ায় বোঝা গেল, সরকারের রাজনৈতিক মিত্র হিসাবে বহু বছর ধরে এই রাজনৈতিক দলটি যে ভূমিকা রেখে আসছিল, তাতে চিড় ধরেছে। যে দলটি সরকারের মিত্র হিসেবে ভালো পারফর্ম করেছে, ফাঁকামাঠের নির্বাচনকেও কথিত বৈধতা দিয়েছে, তাকে এ রকম সরকার বিমুখ করা হলো কেন?
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের এতে কি লাভ? কেন এই সম্পর্কহানি ঘটানো হলো? এটা কি সরকার চেয়েছিল? নাকি অন্তরালে বসে কেউ অন্যরকম কিছু চাইছে?
দুই. আওয়ামী লীগ ৪ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই তাদের লোক জিতিয়ে এনেছে। গাজীপুরে নৌকা হারলেও নৌকার মানুষই জিতেছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে যে জনপ্রত্যাশা তাতে আওয়ামী লীগ নতুন কোনো অবয়ব দিতে পারে নাই। যদিও ভালো নির্বাচন করেছে বলে তারা দাবি করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারির দাবি হচ্ছে- গাজীপুর, খুলনা, বরিশালের মতো সামনের সব নির্বাচন সুন্দর হবে। সেই ‘সুন্দর’ কি দেশে, বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে, হচ্ছে? সরকারের সামনে সেই চ্যালেঞ্জ থাকছে?
তিন. নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয় নাই। এই নির্বাচনে বিএনপি থেকে দল ভাগিয়ে প্রার্থী করতে পারে নাই সরকার। এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা এমপি ‘উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মডেলে’র নির্বাচন ঘটাতে পারে নাই সরকার। ফলে বিএনপির সাংগঠনিক ক্ষতি করতে পারে নাই। আবার নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের উপস্থিতির হার, প্রার্থীর মার, ফল প্রত্যাখান সবমিলিয়ে এই সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে কাক্সিক্ষত নির্বাচন সম্ভব নয়, বিএনপির এই দাবিই জোরদার হয়েছে।
চার. নির্বাচন ভালো করতে, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি দিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের চিঠি গেছে। আরও নানারকম বিদেশি চাপের কথা শোনা যাচ্ছে। সরকার অনেকদিন এসব নিয়ে চুপ থাকলেও এখন তা নিয়ে কথা বলছে। বোঝা যাচ্ছে, বাজারের অনেক গুজব একেবারে মিথ্যা নয়। সরকার নিজেই বলছে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই নির্বাচনে যা ঘটলো, তা কী এসবের বাইরে? যদিও রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’-এ ওবায়দুল কাদের আমাদের মনে করে দিয়েছেন, ‘এখন আবার বিদেশি শক্তিকে দিয়ে ওয়ান-ইলেভেনের মতো দুই বছরের জন্য নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক একটা বসাবে। আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? কেমনে এটা মনে করলেন? সব খবর আমরা রাখি। কোথায় কোথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে? ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই।’
ওবায়দুল কাদেরের সেই সুরও নরম হযে এসেছে। সিলেট, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষে তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
পুনশ্চ: বিএনপিবিহীন নির্বাচনকেও প্রতিযোগিতামূলক, রক্তপাতহীন দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বিশেষ করে বরিশালে। তারপর সিলেট ও রাজশাহীতে নিরুত্তাপ ও প্রায় একতরফা, স্বল্প ভোটারের নির্বাচন হয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সেটাকেই সফলতা বলে দাবি করতে চাইছে। অবাধ গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের ছুতা ধরে আমেরিকার ভিসা নীতি সরকারকে বিচলিত করলেও, নির্বাচনের মাঠে বরিশালে প্রার্থীর রক্তাক্ত মুখ ভালো নির্বাচনের সেই সম্ভাবনাকে হুমকির মধ্যেই ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে চীন মার্কিন আধিপত্যবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের রাজনৈতিক মিত্র ১৪ দলের রাশেদ খান মেনন বলে ফেলেছেন, আমেরিকার ভিসা নীতি রেজিম চেঞ্জের অংশ। খোদ প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, ‘এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেবো, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই।’ বোঝা যাচ্ছে বহুমাত্রিক বহুজাতিক খেলার মাঠে পা ফেলেছে বাংলাদেশ। মন্ত্রী মহোদয় ওবায়দুল কাদেরের ভাষা ধার করে তাই বলতে হয়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খেতে না চাইলে, আরও সতর্ক, আরও বাস্তব বিবেচনার জমিনে নামতে হবে। নির্বাচনকে শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, বিদেশেও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। শেষবেলায় সেই রাস্তায় হাঁটা কী সম্ভব হবে আওয়ামী লীগের পক্ষে?
চার সিটি নির্বাচন সেই ‘গ্রহণযোগ্যতার’ মানদণ্ড নির্ণায়ক নির্বাচন হয়েছে বলে মনে হয় না। চার সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে, বা আওয়ামী ঘরানার প্রার্থীরাই জিতেছে। প্রায় ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে আওয়ামী লীগ হয়তো নিজ দলের লোকেদের হাতে মেয়রের গাড়ির চাবি তুলে দিতে পারলো, কিন্তু তাতে দেশ কি পেলো? এই সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে, ভালো নির্বাচন হবে দেশ ও বিদেশের কাছে সেই গ্যারান্টি কি মিললো?
২১.০৬.২০২৩
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সিনিয়র সাংবাদিক।