ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

বেহুদা প্যাঁচাল

জামায়াতের এপিঠ-ওপিঠ

শামীমুল হক
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারmzamin

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান থেকে বাতিল করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়। একটিতে বিএনপি অংশ নেয়। আরেকটি বর্জন করে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  দোরগোড়ায়। এবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি মাঠে। দীর্ঘ দশ বছর পর প্রকাশ্য কর্মসূচিতে জামায়াতও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী কখনো আওয়ামী লীগের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে, আবার কখনো বিএনপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছে। তাই প্রশ্ন করতেই হয় জামায়াত আসলে কার? এখন যদি জামায়াতকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনও করতে দেখা যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না

আলোচনায় ফের জামায়াত। দীর্ঘ ১০ বছর পর ঢাকায় প্রকাশ্যে কর্মসূচির অনুমতি পাওয়া জামায়াতকে নিয়ে এখন দেশজুড়ে আলোচনা।

বিজ্ঞাপন
পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠকের কথা। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে সমঝোতার প্রসঙ্গও টেনে আনছেন। যদিও আওয়ামী লীগ কিংবা জামায়াত কেউই বিষয়টি স্বীকার করেনি। কিন্তু অতীত কি বলে? ইতিহাস কি বলে? এরশাদবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। এ আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে এবং স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দলীয় জোট এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি’র নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট গঠিত হয়। এরই মধ্যে চতুর এরশাদ ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেয়। যদিও বেশি দিন ওই সংসদ টিকতে পারেনি। মাঠের আন্দোলন ফের চাঙ্গা হয়।  এরশাদের পতন পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। অবশেষে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন ঘটে।  গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়। 

১৯৯০ সালের প্রথম থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো মিছিল-মিটিং-হরতাল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকে। সারা দেশের ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট একাত্ম হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করে তোলে। তিন জোটের যৌথ ঘোষণা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো পথ যখন খোলা নেই এরশাদের সামনে। একা হয়ে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন। তখন অবশ্য পদত্যাগ করা ছাড়া এরশাদের অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। এরশাদের এ পদত্যাগ ছিল সাংবিধানিক পন্থা অবলম্বন করে। ওই দিন তখনকার উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করেন। ওই পদে তিন জোটের মনোনীত প্রার্থী তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর এরশাদ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। 

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিস্থিতির কারণে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়। ৪২৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ২৭৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৭৫টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। রেকর্ড সংখ্যক ৪৭ জন মহিলা নির্বাচনে প্রার্থী হন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেন। ৭৫টি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রধান ৪টি দল ৯৩.৬৬ শতাংশ আসন পায়। ৮৪ শতাংশ দল কোনো আসন পায়নি। ওই নির্বাচনে কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ভোটের ফলাফলে বিএনপি ১৪০, আওয়ামী লীগ ৮৮, জাতীয় পার্টি ৩৫, জামায়াত ১৮টি আসন পায়। এই সংসদ দেশে সংসদীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করে। ১৯৯১-২০০১ সময়সীমায় তিনটি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। কিন্তু এই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়।

 ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলেও সরকারি দল এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রায় সকল ইস্যুতে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সংসদ বয়কটের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একদিকে উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সংসদে কথা বলতে না দেয়ার অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলোর টানা সংসদ অধিবেশন বর্জন, সংসদীয় ব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০শে মার্চ, মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। বিরোধী দলগুলো আর কোনো উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে, ওই বছরের ২৮শে ডিসেম্বর ১৪৭ জন সংসদ সদস্য একযোগে পদত্যাগের ঘোষণার ফলে পঞ্চম জাতীয় সংসদ গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এখানে উল্লেখ করতে হয় ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতও অংশ নেয়। আর ১৯৯৫ সালে জামায়াত প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করে। পরে আওয়ামী লীগ এ দাবি নিয়ে মাঠে নামে।

 শুরু হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এ আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলে। হরতাল, অবরোধে অচল করে তুলে সারা দেশ। এখানেও আওয়ামী লীগ-জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেমন অংশ নেয়নি, তেমনি অংশ নেয়নি জামায়াতও। এখানেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সংসদ ২৬শে মার্চ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে ৩০শে মার্চ পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে। এখানে বলতে হয়, ১৯৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল না। বরং তা ছিল সামরিক শাসকের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটি অস্থায়ী ফর্মুলা। কিন্তু সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থায়ী রূপ লাভ করে। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 এই নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪৬টি আসনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্যান্য দলের মধ্যে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াত ৩টি আসন পায়। এই নির্বাচনে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয়ী হন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও জাসদ (রব)-এর সমর্থনে আওয়ামী লীগ ঐকমত্যের সরকার গঠন করে। এ পর্যন্ত জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কর্মকা- ছিল সমান্তরাল। ’৮৬ সালের নির্বাচন,  ’৯১ সালের সংসদ বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন সবই হয়েছে এক কাতারে। ২০০১ সালে এসে জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গে চারদলীয় জোটে একীভূত হয়। নির্বাচনে চারদলীয় জোট জয়লাভ করে। চারদলীয় জোট সরকারে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয় দেয়া হয়। তারপর তো ইতিহাস অন্য। 

সরকারের শেষ সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়ে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। অবশেষে বিএনপি সকল অপশন বাদ দিয়ে সবশেষ অপশনটি বেছে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দীনের হাতে ক্ষমতা দিয়ে তারা সরে যান। এতে আরও হিতে বিপরীত হয়। আন্দোলন তীব্র হয়। ওদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। আবার বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টি প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কৌশল করা হয়। এ জন্য তার সকল মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। দেশে নেমে আসে আবারো ঘোর অন্ধকার। ইয়াজউদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে ক’জন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। দুই বছর পর এই সরকারের অধীনে হয় নির্বাচন।

 আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু এ সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান থেকে বাতিল করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়। একটিতে বিএনপি অংশ নেয়। আরেকটি বর্জন করে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  দোরগোড়ায়। এবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি মাঠে। দীর্ঘ দশ বছর পর প্রকাশ্য কর্মসূচিতে জামায়াতও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী কখনো আওয়ামী লীগের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে, আবার কখনো বিএনপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছে। তাই প্রশ্ন করতেই হয় জামায়াত আসলে কার? এখন যদি জামায়াতকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনও করতে দেখা যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

পাঠকের মতামত

বিএনপির ভিতরে উকিল আবদুস সাত্তার ও শমসের মবিন চৌধুরীর মতো কিছু দূর্বল ইমানের লোক আছে তারা আওয়ামি লীগের ফেইড এজেন্ডের কাজ করে অনেকে তাদেরকে "সাহাবাগি বর্জ্য "মনে করে এদের অনেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন কে দুর্বল করার কাজে ব্যাবহার হচ্ছে ,এরা এখন বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টির এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। কারণ এরা দুদলের মধ্যে দুরত্ব ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারলে সরকার বিরুধি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে। সন্দেহের অন্যতম কারণ সমশের মবিন চৌধুরীর ২০১৪ সালে বেগম খালেদা জিয়ার অনেক কাছাকাছি ছিলেন এবং সরকারের যোগসাজশে বিনা ভোটে নির্বাচনের ব্যাপারে সহযোগিতা করে ছিলেন এবং বিএনপিকে নির্বাচন দুরে রাখতে পেরেছিলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে পরাজয় জেনেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন, এতে লাভ হয়েছিল ভয়ে আওয়ামী লীগ "মধ্য রাতে "নির্বাচন করে ফেলেছিল, যা এযাবৎ সব চেয়ে "কলন্কজন নির্বাচন" হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়ে গেল এবং মধ্যে রাতের নির্বাচনের কারণে সারা বিশ্ব ব্যাপি সমালোচিত ওই নির্বাচনে সমসের মবিন চৌধুরীর মতো কিছু লোক বিএনপির সাথে ছিলো না এবং আওয়ামী লীগ এর আঁতাত করে ছিলো । এই ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ এর পতনের জন্য এখনমাইলষ্টোন হয়ে রইল,এবং দেশের মানুষ আশাবাদী হতেছে এবার আওয়ামী লীগ পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়ে। বি এন পি সাবধান হতে হবে তাদের নিজ দলের বেইমান কাছ হতে।

শফিউল আজম চৌধুরী
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

জামাতের এ- পিঠ + ও পিঠ = যে কোন সরকারের সাথে অংশীদারীত্ব ।

মিন্টু সিদ্দিকী
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:০৭ পূর্বাহ্ন

ফুটবল খেলোয়াড়রা যেমন টাকা পয়সা , সুযোগ সুবিধা বেশী পেলে এক দল ছেরে অন্য দলে চলে যায় তেমনি রাজনৈতিক দল জামাত টাকা পয়সা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য কখনো বিএনপি সাথে কখনো আ্‌, লীগের পিঠে চড়ে বসে এটা দোষের কিছু না। আর সেইজন্য এই রাজনীতি বিদরাই বলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

মিন্টু সিদ্দিকী
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:৫৯ পূর্বাহ্ন

জামায়াতকে নিয়ে যারা ক্ষমতা লোভী আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয়পার্টি চরমোনাইর পাল্লায় তুলে মাপে এরা রাজনীতির র এর অভিজ্ঞান কি তাও বুঝেনা। জামায়াতকে দোষারূপ করা বা করতে যাদের মগজ সদা টগবগ করে এরা জামায়াতের সুকীর্তি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজে পায়না কিন্ত জামায়াতের আবিস্কৃত রাজনীতির পথে হেটে রাজনীতির পোলাও কোর্মা খেতে খুব পছন্দ করে এরাই জামায়াতের উথ্থানে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পাগলের প্রলাপ বকা শুরু করেছে। যে ক্ষমতা লোভী আওয়ামীলীগ জামায়াতকে নির্মূল করতে তাদেরকে নিশ্চিন্ন করতে জামায়াতের দেশপ্রেমিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিনা অপরাধে বিচারিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে পরপারে পাঠিয়ে দিযেছে সেই আওয়ামীলীগের প্রলোভনের ফাদেঁ জামায়াত পা দিবে এই কুবিশ্বাস যারা লালন করে প্রচার করে এরা রাজনীতির বর্জ্য খাওয়া কীট। মরা গরুর গন্ধের মত ক্ষমতার গন্ধ পেলে এরা পরিবার পরিজন ফেলে ন্যায় নীতি ভুলে ছুটে চলে ক্ষমতার মোহনার দিকে।জামায়াত নিজে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করেনা জামায়াত ন্যায় নীতি সভ্যতা মানবতাকে ক্ষমতার চেয়ারে বসাতে চায়। এই ন্যায় নীতি সভ্যতা মানবতার পক্ষে যারাই লড়াই করবে তাদের পথ জামায়াতের পথ এক হয়ে যাওয়া মানে কারো সাথা ক্ষমতায় যাওয়ার আতাঁত সন্ধি সঙ্গি সম্পর্কের গোপন ষড়যন্ত্র বুঝায় না। ক্ষমতার লোভ পদ পদবীর আশা রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার নেশা জামায়াতের নাই। যারা এসব ভাবে সমালোচনা করে প্রোপাগান্ডা চালায় এরা প্রকৃত রাজনীতিবিদ নয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক দস্যু।

আলমগীর
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:৪০ পূর্বাহ্ন

বেহুদা প্যাচাল শিরোনামটাই বেহুদা। জামায়াতকে নিয়ে প্রতিবেদক যে মনগড়া প্যাচাল পারলো তাতে তিনি বেহুদাই জামায়াতকে তার অবস্থানে ইতিবাচক নয় নেতিবাচক মূল্যায়ণ করেছেন।জামায়াতের কথিত আওয়ামী প্রীতিকে তিনি জামায়াতের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিতে চেয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন ৮৬ র প্রেক্ষাপট ৯৬ র প্রেক্ষাপট আর ২৩ এর প্রেক্ষাপট এক আর অভিন্ন নয় তা আলাপ করতে গেলে ইতিহাসের পরিধি অনেক ব্যাপক হয়ে যাবে। বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে জামায়াত তার নিজস্ব প্রজ্ঞা চিন্তা চেতনা আর বিচক্ষণত দিয়ে রাজনীতি করেছে জামায়াতের বাস্তবভিত্তিক চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ফায়দা সুবিধা কেড়ে নিয়ে জামায়াতকে তার সুবিধা প্রাপ্তির স্থানে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে তাদের উপর নির্মমতার স্টীমরোলার চালিয়েছে। জামায়াত নিজে কোন দলের বদান্যতা পেতে রাজনীতি করেনি বরং জামায়াতের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে আওয়ামীলীগ বিএনপি খেয়েছে জামায়াতকে খোসাও দেয়নি। এই অপরাজনীতির ধারক বাহক বিএনপি আওয়ামীলীগ নির্বাচন এলেই জামায়াতকে নিয়ে বার বার পুণঃর্বার অপরাজনীতির খেলায় মেতে উঠে। জামায়াত রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ণ রোধে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির উম্মেষে সদা সতর্ক অবস্থান নিয়েছে তখন আওয়ামীলীগ বিএনপি তাদের স্ব স্ব স্বার্থ চরিতার্থে জামায়াতকে বুকে আগলে প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। প্রজ্ঞাবান প্রতিবেদকের চোখে তা পড়েনি। চোখে পড়েছে জামায়াত কেন আওয়ামী সুরে সুর মিলিয়েছে ৮৬ ৯৬ তে। ন্যায় সঙ্গত দাবী সত্যের পক্ষে যখন যারাই অবস্থান নিবে জামায়াত সেই সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে থাকবে তাতে সহমত যখন যারাই পোষন করুক। তাতে জামায়াতের কিছু যায় আসেনা। ন্যায় সততা মানবতা জামায়াতের পাথেয়। ক্ষমতা পাওয়ার সমস্ত অনৈতিক অবৈধ শিষ্টাচার থেকে জামায়াত বিরত থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত তা কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক।

আকাশ
২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজের পায়ে কুড়াল মেরে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা করবে না। এমতাবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে না এলে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ আরো কিছু ছোট ছোট দল নিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পশ্চিমারা কি বললো তা নিয়ে আওয়ামী লীগ না-ও ভাবতে পারে, আওয়ামী লীগ ভারত, রাশিয়া ও চীনকে সাথে পাবে।

হারুন রশিদ
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১১:৪১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের জনগণের কল্যানে জামায়াত ইসলাম সব সময় নি:স্বার্থ ভুমিকা রেখেছে এবং আগামীতে রাখবে বলে বাংলাদেশ প্রেমিক সজ্জন ভদ্র জনেরা বিশ্বাস করে। দুর্জনেরা কলমের খোচায় নিজেদের অন্ন যোগাতে জামায়াতকে হীনতার মধ্যে সৃষ্টি করতে বেশ সচেষ্ট।

আবু সাদেক মোহাম্মদ খ
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১১:৩২ অপরাহ্ন

@ সাইফুল ইসলাম, জামাতের শত্রুরা চায় যদি কোনো কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হতেই হয় তাহলে ছলে বলে কৌশলে তাদেরকে ও নির্বাচনে এনে বিএনপি এর ভোটকে ভাগ করে দেয়া যাতে বিএনপি এবং সমমনা রা সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেতে পারে আওয়ামী লীগ খমতায় যেতে পারে, আর যদি সেরকম নির্বাচন না হয় তাহলে জামাতকে বৈধতা দিয়ে কয়টা সীট দিয়ে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই রা একপায়ে খাড়া হয়ে আছে, সে রকম কিছু হলে চরমোনাই আর জাতীয় পার্টীর লাভবান হবে কিছু মন্ত্রীত্ব পাবে, কিন্তু এখানেই তো জামাতের জন্য শেষ কথা নয় আরো কথা যে তৈরি হবেনা তাদের শত্রুদের মুরুব্বিদের নীল নকশার উপসংহারে, তাদের রাজনীতি যে ইসলাম প্রতিষ্ঠার থাকবেনা,জাতীয় বেঈমান হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যাবে চিরতরে, আর এরকম যদি হয় তাহলে এদেশে আার ইসলামী রাজনীতির কবর হয়ে যাবে, তাই এভাবে চোরা পথে স্পেস লাভের স্বপ্ন দেখে লাভ আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে।

হক কথার হকি ভাই
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১১:১১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ জামাত ইসলামি প্রতিবারই ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্যে যেকোনো দলের সাথে যুগ উপযোগী আন্দোলন করেছে । তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েই প্রতিবারই হয়তো বিএনপি নয়তো আওয়ামী লীগের সাথে যুগ উপযোগী আন্দোলন করে যাচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থের জামাত কখনো কারো সাথে আন্দোলনে যাই নাই । তুলনামূলকভাবে বিএনপি যেহেতু ইসলাম প্রিয় হওয়ায় তাদের সাথে জোট করেছে ।আওয়ামী লীগের সাথে কখনো জামাত জোট করেনি শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্যই একসাথে আন্দোলন করেছিল। সময়ের ক্যালকুলেশনে জামাত এইভাবে আন্দোলন করে যাবে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সে যেকোনো দলেই হোক যেকোনো ব্যক্তি হোক সবার সাথে। জামাত কাউকে ব্যক্তিগত শত্রু মনে করে না।

গিয়াস উদ্দিন
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১১:০৫ অপরাহ্ন

লেখা সাহেব ইতিহাসের অনেক কিছুই উল্লেখ্য করেছেন কিন্তু উল্লেখ্য করতে ভুলে গেছেন- ১৯৯১ সালে জামায়াত বিনাশর্তে সমর্থন না দিলে সরকার গঠন করতে পারতো না বিএনপি। ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত নির্যাতিত জামায়াতের পাশে বিএনপি কতটুকু বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে সেটুকুও উল্লেখ্য করতে ভুলে গেছে লেখক সাহেব। কাদের মোল্লাকে যখন আইনি বাধ্যবাধকতায় যাবজ্জীবন দেয়া হলো তখনও বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে একশ্রেণির আওয়ামীপন্থি বিএনপির বুদ্ধিজীবীগুলো জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আঁতাত খুঁজেছিল। এইশ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা প্রায়ই আইন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধের জন্য সরকারকে উস্কানি দিয়ে থাকেন।

ইতিহাস
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১০:৫০ অপরাহ্ন

সুশীল ও মানবিক দল জামায়াতে ইসলামী --------------------------------------------------------- বেহুদা প্যাঁচাল পাড়তে গিয়ে শামীমুল হক লিখেছেন, "১৯৯৫ সালে জামায়াত প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করে। পরে আওয়ামী লীগ এ দাবি নিয়ে মাঠে নামে।" তাঁর কথা আংশিক সত্য। পুরো সত্য ঘটনাটি হচ্ছে, কেয়ারটেকার সরকারের রূপকার জামায়াতের সাবেক আমীর ভাষা সৈনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক গোলাম আযম। *প্রেক্ষাপট*: গনতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকারের দাবীতে দেশ স্বাধীন হয়েছে বটে, কিন্তু স্বাধীনের পরে তিন বছর যেতে না যেতেই সবদল নিষিদ্ধ হয়ে একদলীয় শাসন চালু হয়। একটি দল এবং এক ব্যক্তির হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে পড়ে। এরপরের ঘটনা আরো মর্মান্তিক, শোকাবহ ও বেদনাদায়ক। স্বাধীনতার নায়ক ও স্বপ্নদ্রষ্টাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, একদল ও এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে পড়াতে ক্ষমতার পালাবদল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে কুচক্রী মহল হত্যার পথ অবলম্বন করে। *গোলাম আযমের ভাবনা*: ঘটনাবহুল সাত নভেম্বরের সিপাহি জনতার সংহতির ফলে জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পায়। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তন করেন। ফলে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সকল দল পুনর্জীবন ফিরে পায়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরকারের অধীনে ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি ২০৭ টি আসন লাভ করে এবং ভোটের হার ছিলো ৫১.৩℅। এতে প্রতীয়মান হয়, সেই নির্বাচন অবাধ হলেও নিরপেক্ষ হয়নি। ফলে আবারো একদল ও এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং প্রথম রাষ্ট্রপতির মতো জিয়াউর রহমানেরও সকরুণ অবস্থা হতে পারে বলে মনে করা হয়। হত্যা করে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের এই ধারা বন্ধ করার ভাবনা থেকেই অধ্যাপক গোলাম আযম ১৯৮০ সালে কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা আবিষ্কার করেন। *জাতির সামনে পেশ*: কেয়ারটেকার সরকারের এই সুচিন্তিত রূপরেখা অধ্যাপক গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অধিবেশনে পেশ করেন। কর্মপরিষদে অনুমোদনের পর ১৯৮০ সনের ০৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান ঢাকার রমনা গ্রিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে "কেয়ারটেকার সরকার" শিরোনামে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা পেশ করেন।ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য হত্যার পথ বেচে নেয়া হয়েছে '৭৫ সালে। সেই পথ বন্ধ করতে অধ্যাপক গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা প্রনয়ণ করেন। '৮০ সালে তাঁর উদ্ভাবিত ফর্মুলা গ্রহণ করা হলে হয়তো ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রাণ দিতে হতোনা। দূরদর্শী গোলাম আযমের আশংকা জিয়াউর রহমানের হত্যার মধ্যদিয়ে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। *অস্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা কেড়ে নেয়া* জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে জেনারেল এরশাদ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে ক্ষমতা কেড়ে নেয়। জেনারেল এরশাদ ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিলে বিএনপি বর্জন করে। আওয়ামী লীগ ঘোষণা করে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যারা অংশ নেবে তারা জাতীয় বেঈমান। তবুও আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। *১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জামায়াত*: জামায়াতে ইসলামী জন্মলগ্ন থেকেই নির্বাচনমুখী গনতান্ত্রিক দল। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জামায়াত নিজের নামে নির্বাচন করতে পারেনি। তাই ১৯৮৬ সালে জামায়াত স্বনামে নির্বাচন করে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ কাজে লাগায়। সেই নির্বাচনে জামায়াত ১০ টি আসনে জয়লাভ করে। বিএনপি এরশাদের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ গ্রহণ করেনি। আপোষহীন আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়া "আপোষহীন" নেত্রীর খেতাব অর্জন করেন। *কেয়ারটেকার সরকারের দাবি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে*: জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের কাছে "গোলাম আযমের" "কেয়ারটেকার সরকার" ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীরা নিজ নিজ বলয়ে জোট গঠন করে এবং জামায়াতে ইসলামী এককভাবে "কেয়ারটেকার সরকারের" অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তুললে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। *স্বাধীন দেশের প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন*: তখন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে প্রথম "তত্ত্বাবধায়ক সরকার" গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে প্রথম একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে মাইলফলক রচনা করে। *জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিকে সমর্থন দেয় জামায়াত*: সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ টি আসন লাভ করে। যা সরকার গঠনে যথেষ্ট ছিলোনা। জামায়াত পায় ১৮ টি আসন। আওয়ামী লীগ ৮৮ ও জাতীয় পার্টি ৩৫ টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ গোলাম আযমের কাছে সমর্থনের জন্য ধর্ণা দেয়। জামায়াতের ১৮+ আওয়ামী লীগের ৮৮+ জাতীয় পার্টির ৩৫=১৪১, যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট হয়না। কিন্তু বিএনপির ১৪০ + জামায়াতের ১৮=১৫৮ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করা যায়। জামায়াত যদি আওয়ামী লীগের অনুরোধে সমর্থন দিতো তাহলে সরকার গঠন করা যেতোনা ; সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হতো এবং দেশে গোলযোগ দেখা দিতো। জাতির আর্থিক ক্ষতি করে আবার নির্বাচন করতে হতো। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহণ না করে জামায়াত বিএনপিকে সমর্থন দিলে তাঁরা সরকার গঠন করে। ফলে জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ নাখোশ হয়। বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করলেও হীনমন্যতার ঊর্ধ্বে ওঠতে পারেনি। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ছাত্র শিবিরের ওপর হামলে পড়ে এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও তাঁদের সমমনাদের আক্রোশের বিরুদ্ধে বিএনপি টুশব্দটিও করেনি। *মাগুরার উপনির্বাচন*: ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ মাগুরার উপনির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের যৌক্তিকতা আবার প্রমাণিত হয়। ওই দিন মাগুরা-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি এই একটি আসনের লোভ সামাল দিতে পারেনি। ব্যাপক জালিয়াতি, কারচুপি ও হস্তক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় বিএনপি ছিনিয়ে নেয়। মাগুরা উপনির্বাচনে বিএনপির হস্তক্ষেপ কেয়ারটেকার সরকারের আন্দোলনে ঘি ঢেলে দেয়। সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠে। *আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি*: আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির যুগপৎ কর্মসূচিতে কেয়ারটেকার সরকারের আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে। আন্দোলনের চাপের মুখে১৯৯৬ সালের ১৫ফেব্রুয়ারী বিএনপি একটি একতরফা নির্বাচন করতে বাধ্য হয় এবং সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। *সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন*: এরপরে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে এবং তা সরকার গঠনে যথেষ্ট ছিলোনা। বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াত ৩টি জাসদ (রব) ০১টি এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ০১টি আসনে জয়লাভ করে। স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আওয়ামী লীগে যোগ দান করলে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি, জাসদ (রব) ও জাতীয় পার্টি মঞ্জুকে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সারাদেশে গডফাদারের ব্যপক উত্থান ঘটে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়ে। *চারদলীয় জোট গঠন*: অবশেষে বিএনপি জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট ও খেলাফত মজলিস (একাংশ) মিলে চারদলীয় জোট গঠন করে ২০০১ সালের নির্বাচনে ১৯৩ আসনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। আওয়ামী লীগ ৬২টি আসনে জয়লাভ করে। *সেনাসমর্থিত সরকার*: ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের জরুরি অবস্থা জারির মধ্যদিয়ে জোট সরকারের ওপর ব্যপক দমন-পীড়ন করা হয়। কথিত আছে সেনা সমর্থিত সরকারের সাথে বোঝাপড়া করে আওয়ামী লীগের চৌদ্দ দলীয় মহাজোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৩০টি আসনে জয়লাভ করে। বিএনপি ও জামায়াত যথাক্রমে ৩০টি ও ০২টি আসনে জয়লাভ করে। *বর্তমান সংকটের শুরু*: আওয়ামী মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধানে বিএনপির সংযোজিত নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। বিএনপি জামায়াত জোট আওয়ামী সরকারের এই অযাচিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। আওয়ামী লীগ কর্ণপাত না করে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ২০১৪ সালে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ বলেছিলো ওটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। পরে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আবার আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ওই ওয়াদা রক্ষা না করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতের আঁধারে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় বহাল থেকে যায়। বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতকে নির্মুলের লক্ষ্যে ইতিহাসের নজিরবিহীন দমন-পীড়ন করা হয়। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়ে পড়ে। যার পরিণতিতে আমেরিকার ভিসা রেস্ট্রিকশন প্রয়োগের হুমকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। *আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের এপিঠ ওপিঠ*: আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মী জীবনপাত করতে যেভাবে প্রস্তুত, বিএনপির আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, ঠুনকো মামলা দিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেয়ার পরেও বিএনপি রাজপথের আন্দোলন বেগবান করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে রাতে খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, পরদিন সকালে আওয়ামী লীগের এক বন্ধু আমাকে বলেছেন, 'যদি শেখ হাসিনাকে এভাবে হেনস্তা করা হতো তাহলে এতক্ষণে ১০টা লাশ পড়ে যেতো।' বাস্তবিকই বিএনপিতে ত্যাগী ও ঝুঁকি গ্রহণ করার মতো নেতাকর্মীর বড়ো আকাল। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের তুলনা চলে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা যেমন ত্যাগী তেমনি সুসংগঠিত এবং নেতার আদেশ পালনে জানমাল উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত। *বিএনপি মুখে জামায়াতের সমালোচনা বেমানান*: বিএনপি যতো বড়ো দল, আবার বিশ্বাসঘাতকও বেশি। বিএনপিকে জামায়াতের কেউ কেউ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মতো হাজারে হাজারে লোক আছে বিএনপিতে। জামায়াতে যা একেবারেই কল্পনাতীত। তাছাড়া অবৈধ সংসদকে বৈধতা দিয়ে বিএনপির ছয়জন সাংসদ সুবিধা ভোগ করতে দলের নীতি বিসর্জন দিয়ে সংসদে যোগ দিয়েছে। *জামায়াতের দুর্দিনে বিএনপির নিরবতা*: ২০০৭-২০০৮ সালে বিএনপি যখন বিপর্যস্ত জামায়াত তখন বিএনপির পাশে ছিলো। জামায়াতের দুর্দিনে বিএনপির সুনসান নিরবতা আওয়ামী লীগ কাজে লাগিয়েছে। ধারণা করা হয় আমেরিকার স্যাংশন ও ভিসা রেস্ট্রিকশনের ফলে আওয়ামী লীগ সংযত হওয়ার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পেয়েছে। *শেষ কথা*: জামায়াতের কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা জাতির জন্য আশীর্বাদ। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা চালুর পরে আর কোনো সরকার প্রধানকে ক্ষমতার জন্য ঘাতকের হাতে জীবন দিতে হয়নি। জামায়াত কখনো বিএনপির সঙ্গে আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে আন্দোলন করেছে। গনতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপি জামায়াতের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলার মধ্যে সাহসিকতার অভাব মনে করা যায়। আওয়ামী লীগ তার জোটসঙ্গীদের যেভাবে আগলে রাখে বিএনপি তা পারেনি। জামায়াত নেতাদের বিচার চলাকালে জামায়াত যদি আওয়ামী লীগকে বিএনপি ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতো তাহলে ইতিহাস হতো অন্যরকম। এখনো জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন করার ওয়াদা করলে বিএনপিকে চড়া মূল্য দিতে হবে। যদিও সেই সম্ভবনা অবাস্তব।

আবুল কাসেম
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

আমি যতটুকু দেখেছি জামায়াত কখনো সঠিক কোন স্বীদ্ধান্ত নিতে পারেনি, ১৯৮৬ হটাৎ আঃলীগের সাথে ভোটে চলে গেলো, বিএনপি একাই এরশাদ সাহেব এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ৯৬ সালেও জামায়াত কে নিয়েই আঃলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এবং আঃলীগ ক্ষমতায় আসে যার খেসারত পুরো জাতি দিচ্ছে। আজ গনতন্ত্রহীন বাংলাদেশে মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো ও নেই। এখন পুরো বাংলাদেশ আঃলীগের ঐক্যবদ্ধ, সেখানে আবার আঃলীগ জামায়াতের প্রীতির খবর বের হলো।তাদের এই অবৈধ প্রেমের কারণে যদি বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আবারো থেকে যেতে পারে এই ভেবে মানুষ আজ শংক্তিত। তাই বিএনপি সহ আন্দোলন রত সকল দল এদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।

আব্দুল ওয়াজেদ মুন্সী
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১০:২২ অপরাহ্ন

বিগত ১৪ বছর জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য জামায়াতের ‍ওপর যে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, জামায়াতে শীর্ষ নেতা সহ চারশতেরও অধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, হাজার হাজার মামলা সহ এখনো জামায়াতে শীর্ষ নেতারা জেলে। কই, জামায়াতে জোট বন্ধু সহ এ পর্যন্ততো কাওকে একটি নিন্দা বা বিবৃতি পর্যন্ত দিতে দেখিনি। জামায়াতের জোট বন্ধুরাও জামায়াতে কোন স্পেস দিতে রাজী ছিল না। এখন জামায়াত রাজনৈতিক মাঠে তাদের মত করে স্পেস তৈরী করে নিবে এটাই স্বাভাবিক।

সাইফুল ইসলাম
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১০:১৩ অপরাহ্ন

জামাত যে আসলে কার এটা বুঝা খুব কঠিন নয়। এরা এদের শত্রুদের পরম বন্ধু অথবা এদের প্রকৃত শত্রুদের চেনেই না, যে শত্রুরা তাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে । উপমহাদেশের রাজনৈতিক হালচাল এবং বৈশ্বিক রাজনীতির গতিপ্রকৃতি যদি বুঝে থাকে তাহলে তো বুঝার কথা যে তারা কোনো দিন এদেশে খমতায় আসতে পারবেনা , ভোটের রাজনৈতিক কলাকৌশলে যদিও কোনো দিন খমতায় অধিষ্ঠিত ও হয়ে যায় তাহলে এ সময়ের পরাশক্তির দাপটে টিকতেই পারবেনা, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ; কোয়ালিশন সরকারের মাত্র দুই জন মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব লাভের মূল্য যে কতো নিরম্মম হতে পারে তা তো তারা দেখলো। এর পরে তারা যদি আবার ভুল করে তাদের শত্রুদের সাথে গোপন সমজোতা করে ২০ বা ৩০ টা সীটের জন্য তাহলে পরিস্কার হয়ে যাবে তারা আসলেই কার! সাধারণ মানুষের আশা ভরসার মূলে আঘাত হেনে যদি কয়েকটা সীটের লোভে গোপন আঁতাত করে তাহলে তাদের অবস্থা হেফাজত, হাতপাখা এবং লাংগলের চেয়ে ও খারাপ হবে এদেশের মানুষ কোনো দিন মাফ করবেনা এবং সেটাই চায় তাদেরকে চরম মার দেয়া বন্ধুরা।

Jafrul Amin
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৯:১৪ অপরাহ্ন

এটাই প্রমাণ করে জামায়াতের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা আছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যখন যা প্রয়োজন তাই করেছে। সঠিক বেঠিক বাদ দিয়ে শুধুই এজটা জেটের হয়ে থাকেনি। এবার বিএনপি যেহেতু জামায়াতকে দুরে রেখে একাই ক্ষমতায় যেতে চায় তাহলে জামায়াতেরও উচিত হবে যে কোন কৌশলে তাদের ক্ষমতার জানান দেয়া!

Forhad
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৯:০২ অপরাহ্ন

এই সময়ের হিসাব অনুযায়ী জামায়াত অনেক শক্তি সঞ্চয় করে, আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আর জামায়াত খেলা খেলতে পারবে না।

আনোয়ারহোসেন
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন

এটাই প্রমাণ করে জামায়াতের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা আছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যখন যা প্রয়োজন তাই করেছে। সঠিক বেঠিক বাদ দিয়ে শুধুই এজটা জেটের হয়ে থাকেনি। এবার বিএনপি যেহেতু জামায়াতকে দুরে রেখে একাই ক্ষমতায় যেতে চায় তাহলে জামায়াতেরও উচিত হবে যে কোন কৌশলে তাদের ক্ষমতার জানান দেয়া ও আসন বাড়ানোর চেশটা করা।

মো: আনিছুর রহমান
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন

জামায়াত কারো হতে যাবে কেন? জামায়াতকে সবাই চায়, কিন্তু কেউ মূল্যায়ন করতে রাজি নয়। এতদিন ধরে যারা জামায়াতকে রাজনীতিতে আপ্রাসঙ্গিক করে দেয়ার প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন, দশ বছর পর একটি মাত্র সমাবেশ করার কারণে তারা এখন ষড়যন্ত্র তত্ব নয়ে মশগুল।

Siddiq
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৬:৪৯ অপরাহ্ন

জামায়াতে ইসলামী জন্মের শুরু থেকে অবাস্তব সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে। বৃহত্তর স্বার্থের খাতিরে ক্ষুদ্রতম স্বার্থ বলী দেয়ার নীতি দ্বারা জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলে বিভিন্ন সময় ভিন্ন দল ও মতের সঙ্গে গাটছড়া বেধে সামনে এগুনোর চেষ্টা করেছে। ইসলামের নাম ব্যবহার করলেও এটি নিছক একটি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল।

Ahmad Zafar
২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status