ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

চলতি পথে

রাজনীতির ভাষা বদল কীসের ইঙ্গিত

শুভ কিবরিয়া
৩ জুন ২০২৩, শনিবারmzamin

বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার ‘বিশেষ ভিসা নীতি’ ঘোষিত হওয়ার পর বোঝা গেল সর্বনাশটা কোথায় ঘটলো। এই ভিসা নীতি নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর। এবং ক্রমশ সরকারের ওপর মহলের প্রতিক্রিয়ার ভাষাও বদলে যেতে শুরু করেছে। এর প্রথম বাস্তব প্রভাব দেখা গেল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে। ফলাফল পাল্টানোর সমূহ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেখানে কেউ রিস্ক নিলো না, ফলাফল প্রকৃতই যেদিকে যাচ্ছিল সেটাই বজায় থাকলো। এরপর জল অনেক ঘোলা হয়েছে। শাসকদের ভাষাও তাতে বদলে গেছে। সেই ভাষা বদলের কিছু নমুনা হাজির করছি। সেটা আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে কিনা সেই বাঁক বদল বোঝার জন্য কাজে দেবে। 
‘ডিসিদের প্রতি অসন্তোষ হাইকোর্টের 
এ দেশেই থাকতে হবে, লুট করে আমেরিকা নিলে সব রেখে দেবে।’[যুগান্তর, ২৯.০৫.২৩] এই শিরোনামের নিউজে বলা হচ্ছে বারবার সময় দেয়ার পরও বরিশালের সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেয়ায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন দেশ এটাই, এখানেই থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন
কেউ যদি লুট করে আমেরিকা নিয়ে যায়, কোনো লাভ হবে না, সব রেখে দেবে। তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে হবে।

বরিশালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, ‘পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই। আমরা খুব স্ট্রং ভাষায় বলেছি, আপনাদের নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হবে। এটি মনে করলে চলবে না যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই সরকারি বাহিনী বা সরকারি দলের বাহিনী। তারা  সরকারিভাবে রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ বলা বাহুল্য সিইসি’র এই নতুন ভাষ্য আমেরিকার নয়া ভিসা নীতি ষোষিত হওয়ার পরই জোরেশোরে এসেছে মিডিয়ায়।

বঙ্গভবনে নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুলিশের আইজিপি। সেই সাক্ষাতের খবর বঙ্গভবনের দাপ্তরিক বয়ানে মিডিয়ায় এসেছে এই ভাবে যে, ‘পুলিশকে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির।’  

সবচাইতে অবাক করেছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে সম্প্রতি বলেছেন, ‘মানুষ বেশি খুশি হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনে।’ তিনি বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতটা খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়ায়।’ যদিও এই নির্বাচনে দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেয় নাই, তবু ওবায়দুল কাদেরের এই মন্তব্য বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে।

আদালত, প্রেসিডেন্ট, সিইসি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বয়ান মার্কিন নয়া ভিসা নীতি ঘোষিত হওয়ার আগের বয়ানের সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য বহন করে। এই বয়ানের যে টোন, যে নমনীয়-সাবধানী ইঙ্গিত, যে সতর্কতা, যে রক্ষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি তাতে একথা বলা যায় আমেরিকার পদক্ষেপ বাংলাদেশের সকল মহলকে নাড়া দিয়েছে বেশ।

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের একটা দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হচ্ছে আচানক সব ঘটনা রাজনীতির প্রচলিত গতিকে সবসময় প্রভাবিত করেছে। এখানে রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিকতার বদলে ‘ব্যক্তি’ প্রধান হয়েছে বহুবার। এই ব্যক্তিবাদী রাজনীতির ফলাফল আমজনতার যতটা না কাজে লেগেছে তার চাইতে বেশি কাজে লেগেছে সুবিধাবাদী চাটুকারদের। চাটুকার, তেলবাজ আর স্বার্থবাদী সুবিধা নেয়া পারঙ্গমদের প্রভাব তাই রাজনীতিবিদদের, বিশেষত ক্ষমতাবানদের চোখে ঠুলি পরাতে পেরেছে। চোখে ঠুলিওয়ালা সেই রাজনীতিবিদরা তাই দূর ভবিষ্যৎ তো বটেই নিকটের পরিণতিকেও বিন্দুমাত্র ঠাওর করতে পারেন নাই। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির খুব একটা বদল হয় নাই এখানে। কি একনায়ক, কি গণতন্ত্রী, কি সামরিক স্বৈরাচার, কি গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসক-সবার জমানাতেই একই জিনিস ঘটেছে ভিন্ন ভিন্ন মোড়কে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ক্ষমতাবানরা যত ক্ষমতা একীভূত করতে থাকে, ততই মানুষের ক্ষোভ-দুঃখ, গণতান্ত্রিক পথে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগগুলো বন্ধ হতে থাকে। স্বাভাবিক পথে রাজনৈতিক নেতা পরিবর্তনের সুযোগ যত সীমিত হয়ে ওঠে মানুষ ততই অদৃষ্টবাদী হতে থাকে। আর ভর করতে থাকে নিজেদের আকাক্সক্ষামতো শাসকের পরিণতি সম্পর্কে কাল্পনিক ও অদৃষ্টবাদী আশায়। সেখানে তখন গুজব খুব বড় হয়ে ওঠে। গুজবের ডালপালা মেলতে থাকে বিস্তর। মানুষ তাতে ভরসাও পায়। এক সময় দেখা যায়, সেই গুজবই পূর্ণ সত্যি হয়ে ওঠে অথবা প্রায় সত্যের রূপধারণ করতে থাকে। এই ঘটনা পরম্পরার ইতিহাস এখানে বহুদিনের। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে এই ঘটনা পরম্পরা থেকে ইতিহাসের শিক্ষা কেউ নেয় না। বরং ইতিহাসের শিক্ষাকে অস্বীকারের প্রবণতাই শাসকদের মধ্যে বেড়ে ওঠে।

এই প্রেক্ষাপটটা খুবই গুরুত্ববহ। এই প্রেক্ষাপট মাথায় নিয়ে আমেরিকান এইসব অ্যাকশন ও তার প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিতে হবে। এটা পরিষ্কার আমেরিকা এবার ঘোষণা দিয়েই বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে মাঠে নেমেছে। আমেরিকান এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশে সত্যিকার গণতন্ত্র ফেরাবে না বাংলাদেশকে আমেরিকার স্বার্থ ও সুবিধার প্রতিকারহীন ক্ষেত্রে পরিণত করবে সেটা নির্ভর করছে আমাদের রাজনীতির যোগ্যতার ওপর। কিন্তু শুধু বিশেষ ভিসা নীতির ঘোষণা ও নিরীহ ভিসা স্যাংশনের ঘোষণাতেই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষা যেভাবে বদলে যাচ্ছে, সেটাই বিপদের কথা। বাজারে গুজব রটেছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা আরও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাইছে। এই গুজব যদি সত্যিই হয়ে ওঠে, তাহলে সত্যই বিপদের কথা। এ রকম চাপ ক্ষমতাবানরা মোকাবিলা করার জনশক্তি বহু আগেই হারিয়েছে। তাদের একমাত্র উপায় সেই বিপদের মুখে দেশকে বিপন্ন করে, দেশের স্বার্থকে আরও অসুবিধার মুখে ফেলে, নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করা। এমনিতেই বহু বছরের অপ্রাতিষ্ঠানিকতা আর জনভোটের শক্তিকে অস্বীকার করার প্রবণতার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সক্ষমতার শক্তি বহুমাত্রিকতায় দুর্বল হয়েছে। ফলে, এক নতুন বিপদের মুখে বাংলাদেশ। ক্ষমতায় থাকা রাজনীতির কুশীলবদের একমাত্র লক্ষ্য আমেরিকান সকল চাপ মোকাবিলা করে নিজেদের সুরক্ষা নেয়া। দেশ ও দেশের স্বার্থ সেখানে খুবই গৌণ, সঙ্গত কারণেই। অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিসমূহ, যারা বহুদিন ক্ষমতার বাইরে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে ক্ষমতার ধারায় ফিরে আসার চেষ্টা করা। নিজেদের যেকোনো ভাবেই হোক না কেন, ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে প্রবেশ করানো। দেশ ও দেশের স্বার্থ তাদের কাছে নিজেদের স্বার্থের চাইতে প্রবল নয় মোটেই। এর বাইরে যারা আছেন, তাদের একাংশ সুযোগ পেলে অতীতের মতোই বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা চালাতে পারে। সেটা মূল সংকটের ভেতর না ঢুকে, সংকট মোকাবিলার অপচেষ্টা মাত্র। ফলে, এই মুহূর্তে কার হাতে দেশ নিরাপদ- সেটা একটা মৌলিক প্রশ্নও বটে। আমাদের ভোটবিহীন রাজনীতি দিনে দিনে এমন সব অংশীজন তৈরি করেছে, সেখানে কোটারি স্বার্থকেই বড় করে দেখা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ নয়।

গত দেড় দশকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের যে উন্নয়নক্রম, যে পরিকল্পনা, যে নীতি দর্শন- শুধু এই খাতকেই বিবেচনায় নিলে বোঝা যায় অগণতান্ত্রিকতা অথবা বিরাষ্ট্রীয়করণ কীভাবে দেশের সক্ষমতাকে বিপন্ন করেছে। মানুষ দিনকে দিন পয়সা বেশি দিচ্ছে কিন্তু সার্ভিস পাচ্ছে না। তার জ্বালানি নিরাপত্তা অন্যের ওপর নির্ভর করছে। জ্বালানি খাতের এই অপরিণামদর্শী উন্নয়নচেষ্টাকে মডেল হিসেবে দেখলে বোঝা যায় লুণ্ঠনতন্ত্র, অন্যায্য বাণিজ্যিকীকরণ কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, দুর্বল-অগণতান্ত্রিক-ভোটবিহীন রাজনীতির দুর্বলতায়। তাই রাজনীতির ভাষা বদলের এইদিনে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ভীষণভাবেই নজর রাখতে হবে, যাতে আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারি। আমাদের রাজনীতি যেন অন্যের হাতের ক্রীড়নক না হয়ে দেশের সক্ষমতা ও দেশহিতৈষী প্রবণতায় জেগে উঠতে পারে। কোনো অযাচিত সংঘাত, অপরিণামদর্শী আচরণ যেন নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের ঘুড়ির নাটাইকে হাতছাড়া করে না দেয়।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সিনিয়র সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত

Well said. Thank you. Please continue the good works.

Muammad Nurul Islam
৩ জুন ২০২৩, শনিবার, ৯:০৬ অপরাহ্ন

আমেরিকার ভিসা নীতির ফলেই হয়তো এত সুন্দর সাবলীল ভাষায় সঠিক বিশ্লেষণ তুলে ধরার সাহস জুগিয়েছে।

বেহুদা
৩ জুন ২০২৩, শনিবার, ৩:২২ পূর্বাহ্ন

Relationship should b based on mutual interest which Bangladesh does not seem to take into account. We can give everything to others by endangering our own survival. What kind of magnanimity it is to invite 1 million Rohinga while we are plagued with our own crisis ?

ফেরারি বিবেক
৩ জুন ২০২৩, শনিবার, ২:৩৮ পূর্বাহ্ন

মার্কিন ভিসা রেস্ট্রিকশনে দু:সংবাদ বাংলাদেশের জন্য। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক খেলার বলি বানানো হচ্ছে বাংলাদেশকে। অসুখটা বাংলাদেশের। সরকারের জন্য বিপদ সাময়িক। তারা দেশের ক্ষতি যা যা করার করে দিয়ে কেটে পড়বে অথবা কেটে পড়তে বাধ্য হবে। অথবা ভূরাজনীতির খেলায় দেশের স্বার্থ আরো বিকিয়ে দিয়ে বহাল তবিয়তে যে থাকবেনা তাও বলা যায়না। কারণ, আমেরিকার স্বার্থ যেখানে, সেখানে গনতন্ত্র বা গনতন্ত্রহীনতা একটা অজুহাত মাত্র। এরকম ভুরি ভুরি নজির আছে। তবে, চীন ও রাশিয়ার বলয় থেকে বর্তমান সরকার বেরিয়ে এসেছে যতক্ষণ পর্যন্ত স্পষ্ট বুঝা না যাবে ততোদিন তাদের সাথে মার্কিনীদের টানাপোড়েন শেষ হবেনা। যেকোনো পরাশক্তির অন্যায় চাপ মোকাবিলা করা তখনই সম্ভব যখন প্রমাণিত হবে চাপটা আসলেই অন্যায্য এবং দেশের সিংহভাগ জনগণ সরকারের সাথে থাকতে হবে। যেমন, তুরস্ক। আমাদের বর্তমান সরকার জনগণকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। সুবিধাবাদী চাটুকাররা যাদের গণভিত্তি বলতেই নেই সেই ডুগডুগিওয়ালারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বসে পড়েছে। এক এগারোর সময় বন্দী থাকার সময় এরা সুযোগ বুঝে সহমর্মিতার ডালি সাজিয়ে একেবারে কাছে চলে যায়। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাদের বিশেষ এজেণ্ডা বাস্তবায়নের নামে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো জনপ্রিয় দলটিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে করতে এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করায় যেখান থেকে পিছনে ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই জনরোষ ফুটে ওঠে, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই সংবিধান পরিবর্তন করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে হয়। এরপরের বার দিনের ভোট রাতে করতে হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের কয়েকদিন পরে একদিন হাইকোর্টে গেলাম পরিচিত আইনজীবীর কাছে। ওই কক্ষের সকল আইনজীবী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কক্ষে প্রবেশ করেই শুনতে পাই নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ। সবাই একযোগে বলেছেন আওয়ামী লীগ জনগণকে ভোট দিতে দেয়নি, বিপদে এই জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনোদিন দাঁড়াবেনা। তাঁরা সবাই বললেন আওয়ামী লীগ এবার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। এটা খুবই খারাপ হয়েছে। সেটাই এখন দেখা যায়, আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি কিভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদীরা ছাড়া সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। পথে ঘাটে মানুষের মুখের ভাষা থেকে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। অন্যদিকে এরদোয়ান আমেরিকার চাপ মোকাবিলা করছেন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার হাইজ্যাক এরদোয়ান করেননি। ইসলামি ঐতিহ্যের ওপর ভর করে যে দেশের সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে আছে এবং ইসলামি সংস্কৃতি যে দেশের জনগণের মনে সকালে, দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায় ও রাতে দিনে-রাতে অন্তত: পাঁচবার দোলা দেয় সে দেশের মানুষ বাম-রাম ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে নিতে পারেনা। এদেশের মাটিতে শুয়ে আছে ৩৬০ আল্লাহর অলী। তাই এই অমর্যাদা করে পাকিস্তানিরা রেহাই পায়নি। বহু বছর ধরে এদেশের মাটি যাদের রস দেয়নি, বাতাস অক্সিজেন দিতে নারাজ। নিবুনিবু মোমের আলোয় যারা কোনোমতে পথ চলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রথমে কোলে, এরপর কাঁধে, তারপর মাথায় তুলে নিয়েছে। লেজকাটা শেয়াল লেজওয়ালা শেয়ালের লেজ কেটে দিয়ে শান্তি পায়। আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচনে ভরাডুবির ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে ওই লেজকাটারা। যার ফলে রাতে ভোট। পরিণামে মার্কিন ভিসা নীতি। ভোট সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক নির্বাচনে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়, নির্বাচনী সমাবেশে যারা বাধা দেবে তাদের জন্য মার্কিন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ যদি জনগণের ঐক্যের শক্তি সরকার সঙ্গে পেতো মার্কিনীরা ভেসে যেতো একাত্তরের মতো। -যেমন কর্ম তেমন ফল।  

আবুল কাসেম
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

First job first. We need to get back the democracy in the country. Free and fair election is the first step. We must get back our voting right. Then other things will come automatically.

mamun
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

অসাধারণ লেখা, জনগণের মনের কথা গুলো তুলে এনেছেন।

আবদুল ওয়াজেদ মুন্সী
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৩১ অপরাহ্ন

একটি অসাধারণ বিশ্লেষণ। আমাদের মনে থাকার কথা, RAB এর উপর নিষেধাজ্ঞা আসার এক বছর আগে আমেরিকার সিনেট থেকে এই মর্মে একটি চিঠি প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছিল যাতে RAB এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এক বছর পর তা কার্যকর হয়েছিল। এখন কংগ্রেসম্যানদের চিঠি যথেষ্ট ভয়ের কারণ আছে বলে প্রতীয়মান হয়।

হারুন রশিদ মোল্লা
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন

After 15 years of militant politics, Awami League should not be allowed to leave in peace. Justice must be done by not allowing to leave the country, I mean No One!!

Syed Rahman
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ৯:২৬ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status