ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

বেহুদা প্যাঁচাল

অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

শামীমুল হক
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার
mzamin

বাজেট ঘোষণার আগেই সিমেন্ট কোম্পানিগুলো হু হু করে বাড়িয়েছে সিমেন্টের দাম। তার উপর প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী সিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকারের আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ক্লিংকারে শুল্ক একই হারে বেড়ে ৯৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এতে করে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো আরেক দফা দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি সাধারণ ইটে ভ্যাট প্রতি হাজারে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। দেশে সাধারণ ইটভাটার সংখ্যাই বেশি। এমনিতেই ইটের বাজারে আগুন। তার উপর ভ্যাট বাড়ানোর ফলে ইটভাটা মালিকরা এর সুযোগ নেবে। ক্রেতাদের ঘাড়ে চাপাবে বাড়তি মূল্য।

 

সত্যিই দারুণ বুদ্ধি অর্থমন্ত্রীর। সব কিছু ছাপিয়ে এবার মন্ত্রীর নজর পড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর।

বিজ্ঞাপন
তাই তিনি এবার কলমকে টার্গেট করেছেন। গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি কলমের ওপর মূল্য সংযোজন কর আরোপের কথা বলেছেন। এতে করে কলমের দাম বাড়বে। ওদিকে সানগ্লাসের ওপর থেকেও দৃষ্টি সরাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। সেখানেও করারোপ করেছেন। সানগ্লাসের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করায় এরও দাম বাড়বে।  এ ছাড়া গরিবের রান্নাঘরও এড়ায়নি অর্থমন্ত্রীর চোখে। প্লাস্টিকের থালা, বাটি ও অন্যান্য পণ্যের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। অ্যালুমিনিয়ামের থালাবাসন ও রান্নাঘরের সরঞ্জামের ভ্যাট একই হারে বাড়ানো হয়েছে। এসবই ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ। তবে সিগারেট ও ভ্যাপের দাম বাড়ানোতে অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এক্ষেত্রে বিড়িকে তিনি কেন বাদ রাখলেন তা বোধগম্য হলো না। প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের সবক’টির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে  ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়বে। তবে বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে বিড়ির দাম বৃদ্ধির তালিকা থেকে বাদ যাবে। ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে মন্ত্রীর সিগারেটের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব কাজে আসবে বলে মনে হয়। 

 

 

এ ছাড়া তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে এ বাজেট। সিলিন্ডার তৈরির দুটি কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) এবং ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেয়া হয়েছে। এতে এলপিজির দাম বাড়ছে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এলপিজি সিলিন্ডারের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ঘাত বাড়বে। 

তবে আলোচনায় শিক্ষার্থীদের কলম। এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর বুদ্ধির তারিফ করতেই হয়। এমনিতেই শিক্ষাসামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়ছে। বলা নেই, কওয়া নেই, কাগজের দাম আকাশচুম্বী। আর শিক্ষার্থীরা যে কলম দিয়ে লিখে সে কলমের ওপর দৃষ্টি পড়া অর্থমন্ত্রীর বুদ্ধিরই অংশ।  আমরা সবাই জানি, শিক্ষাসামগ্রীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে কলম। শিক্ষার্থী ছাড়াও অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যেও কলমের ব্যবহার ব্যাপক। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে বলপয়েন্ট কলমের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, কারখানা থেকে বাজারে কলম সরবরাহের সময় এই কর আরোপ করা হবে। এখন ম্যাটাডর, অলিম্পিক, ইকোনো, আরএফএল, মেঘনাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি কলম উৎপাদন করে। সাম্প্রতিক সময়ে কলমসহ সব ধরনের শিক্ষাসামগ্রীর দাম এমনিতেই বেড়েছে। এর ওপর আবার নতুন কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে কলমের দাম বাড়বে। কলম কিনতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। বর্তমান সময়ে অফিস-আদালতে কম্পিউটার সংযুক্ত হওয়ায় কলমের ব্যবহার কমে এসেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে কলমের ব্যবহার অবশ্য আগের মতোই আছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর চাপ বাড়বে নিঃসন্দেহে।

এবার অন্যান্য বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। বাজেটে কর প্রস্তাবের কারণে সানগ্লাসের দাম বাড়বে। বর্তমানে উৎপাদন ও সেবা পর্যায়ে প্লাস্টিক ও মেটাল সানগ্লাসের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ করা হয় ৫ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,  দেশে বছরে প্রায় ১৫ লাখ পিস আমদানি করা সানগ্লাস বিক্রি হয়। প্রতিটির দাম গড়ে ২৫০ টাকা ধরলে প্রায় ৩৭ কোটি টাকার সানগ্লাস বিক্রি হয়। এ ছাড়া চশমার আনুষঙ্গিক উপকরণ বিক্রি হয় প্রায় ৮ কোটি টাকার। চশমার ফ্রেম বা গগলসের আনুষঙ্গিক সামগ্রী এবং মূল পণ্যের গঠন প্রায় একই রকম। বর্তমান চশমা ও গগলসের সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা রয়েছে। আর তৈরি গগলসের আমদানি শুল্কহার ২৫ শতাংশ। তাই শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে অনেকেই গগলস আমদানি না করে কেবল ফ্রেম আমদানি করে। শুল্ক ফাঁকি রোধে গগলসের সামগ্রীও ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করতে হয় সিগারেটের সবক’টির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে। পাশাপাশি মন্ত্রী একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। 

এতে সিগারেটের দাম বাড়বে। আগেই বলেছি- সিগারেটের দাম বাড়ায় ধূমপানমুক্ত দেশের পথে একধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। অর্থমন্ত্রী সিগারেটে কর বাড়িয়ে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি। নিম্ন স্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে শুধু নিম্ন স্তরে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে। যা বাড়ানো প্রয়োজন। অবশ্য বিড়ির দাম না বাড়ানোর ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট বক্তৃতায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ওদিকে তরল নিকোটিনের দামও বাড়বে। তামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান ২১২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস সাধারণভাবে ভ্যাপ নামে পরিচিত। এই পণ্য অনেকে ব্যবহার করেন। তবে এটি ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এতে অতিরিক্ত করারোপ করা হয়। প্রতিবছরই বাজেটে তামাকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। আর এ জন্য করারোপও আগের বছরের চেয়ে বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয়। ধূমপানবিরোধী সংগঠনগুলো সিগারেটের মূল্য আরও অনেক বেশি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে বহু আগে থেকেই। কিন্তু সিগারেট কোম্পানি ও আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে এ দিকটির দিকে কোনো অর্থমন্ত্রীই জোর নজর দেন না। কেন দেন না সেটা মন্ত্রীরাই ভালো জানেন। বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী খেজুরের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। বলেছেন, শুকনা খেজুরের ওপর এখন ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। 

তবে সাধারণ খেজুরের ওপর নেই। তাই দুই ক্ষেত্রেই ২৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। সঙ্গে থাকবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, খেজুর কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়। প্রশ্ন হলো-একই পণ্যের উপর শুল্ক ও ভ্যাট বসানো কতোটুকু যৌক্তিক? এ ছাড়া কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু, পেপার টাওয়েল ইত্যাদির ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসবের দামও বাড়বে।  দেশে মুঠোফোন উৎপাদনে বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাটের হার দুই থেকে আড়াই শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে মুঠোফোনের দামও বাড়বে। সাধারণ বাসমতী চালে এখন ভ্যাট নেই। তবে ফর্টিফায়েড বাসমতী চালে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। ফাঁকি রোধে সাধারণ বাসমতী চালেও ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যদিও বাসমতী চাল সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার নয়। কোনো অনুষ্ঠানে এ চালের দিকে নজর দেয় সাধারণ মানুষ। আর কাজুবাদাম ইদানীং মানুষ শরীরের নানা উপকারের জন্য ক্রয় করেন। বিদেশি এ কাজুবাদামের মোট করভার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও বলা হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত কাজুবাদামকে সুরক্ষা দিতে এই উদ্যোগ।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাইসাইকেলে চলাচল করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। এতে যানজট এড়িয়ে দ্রুত অফিস আদালত কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায়। প্রস্তাবিত বাজেটে বাইসাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারী বাইসাইকেলের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। কিনতে গেলে সাধারণ মানুষকে তা উচ্চ মূল্যেই কিনতে হবে। বাজেট ঘোষণার আগেই সিমেন্ট কোম্পানিগুলো হু হু করে বাড়িয়েছে সিমেন্টের দাম। তার উপর প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী সিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকারের আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ক্লিংকারে শুল্ক একই হারে বেড়ে ৯৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এতে করে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো আরেক দফা দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি সাধারণ ইটে ভ্যাট প্রতি হাজারে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। 

দেশে সাধারণ ইটভাটার সংখ্যাই বেশি। এমনিতেই ইটের বাজারে আগুন। তার উপর ভ্যাট বাড়ানোর ফলে ইটভাটা মালিকরা এর সুযোগ নেবে। ক্রেতাদের ঘাড়ে চাপাবে বাড়তি মূল্য। বাজেটে একবার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সেটি কমানোর নজির খুবই কম। প্রস্তাবিত বাজেটে বলপয়েন্ট কলম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা তুলে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কলম উৎপাদনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে। কোম্পানিগুলো এর সবটুকুই আদায় করবে তাদের গ্রাহক থেকে। আর এই কলমের গ্রাহকের মধ্যে দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী জড়িত। তাদের ওপর এ দায় চাপানো কতোটা সঠিক? এর প্রভাব তো তাদের অভিভাবকের ওপরই পড়বে। শিক্ষার্থীদের এমন টার্গেট করা অর্থমন্ত্রীর বুদ্ধিরই তারিফ করতে হয়। বলতে হয় অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status