বাংলারজমিন
ফিলিং স্টেশনের পরিচালক-ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা
২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
২৯ মে ২০২৩, সোমবার
বিনিয়োগকারী এবং ম্যানেজার মিলে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। ঘটনা বগুড়ার চারমাথা এলাকার ‘চারমাথা ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন বিক্রয়কারী ফিলিং স্টেশনকে কেন্দ্র করে। যাদের নামে অভিযোগ তারা হলেন- ওই ফিলিং স্টেশনের একজন বিনিয়োগকারী ও সাবেক পরিচালক সাইদুল ইসলাম এবং সাবেক ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে ২২ কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। বগুড়া জেলা ট্রাক বন্দোবস্তকারী (রেজি: নং-৪০৩,১৯৮২) সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছামছুল হক। সাবেক ওই পরিচালক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই দুজনের বিরুদ্ধে বগুড়ার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ছামছুল হক। তবে বিষয়টিকে আসামি পক্ষ কাল্পনিক হিসেবে বলেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, ১৯৯৯ সালে বগুড়া জেলা ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির সদস্যরা ফিলিং স্টেশনটি আইনসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর অর্থের সংস্থানের প্রয়োজনে অভিযুক্ত সাইদুলসহ বেশকয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করে তাদের পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়। ট্রাক বন্দোবস্তকারী ও এর সকল পরিচালকরা যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ করে।
অতি সম্প্রতি তার দুর্নীতি ও আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হলে তাদের হেফাজতে থাকা ফিলিং স্টেশনটি মুক্ত করা হয়। পাশাপাশি প্রথমে হিসাব-নিকাশ চাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার ধাপ অতিক্রম করে ০৩-০৫-২৩ ইং তারিখে মামলা দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের নোটিশ করলে বিবাদী দুজন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য সময় প্রার্থনা করেছেন। মামলায় বাদী পক্ষ কী প্রতিকার চেয়েছেন, জানতে চাইলে মামলার বাদী ছামছুল হক বলেন, সাইদুল ও শাহাদাত গং এর আত্মসাৎ করা অর্থ প্রতিষ্ঠানটির সকল পরিচালককে যেন আইনত বুঝিয়ে দেয়া হয়, এটাই আদালতের কাছে চেয়েছেন তাদের আইনজীবী। এই মামলার বাদী/বিবাদী/মোকাবিলা বিবাদী সকলেই বগুড়ার রাজনীতি, ব্যবসায়ী, শ্রমিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ হওয়ায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার আসামি চারমাথা ফিলিং স্টেশনের সাবেক পরিচালক সাইদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অসুস্থতার জন্য কথা বলতে পারেননি। তবে তার ছেলে ফায়াজুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, অভিযোগটি সত্য নয়। তারা কাল্পনিক একটা হিসাব আমাদের সামনে দাঁড় করিয়েছেন। মূলত আমরা প্রতিবছরই হিসাব দিয়েছি। সেই হিসাব কোনো রেজুলেশন আকারে না করার কারণে এতদিন পর এসে আবার হিসাব চাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন
বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]