বিশ্বজমিন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, ফের জয়ের পথে এরদোগান!
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৮ মে ২০২৩, রবিবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২০ অপরাহ্ন

তুরস্কে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গত ১৪ই মের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এর দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে লড়বেন প্রথম দফায় সবথেকে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান এবং কামাল কিলিচদারোগ্লু। এ খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
খবরে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে কামালের থেকে স্পষ্টতই এগিয়ে আছেন এরদোগান। এই ভোট এখন অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা। ছয় কোটি মানুষ এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এরমধ্যে ৪৯ লাখ আছেন যারা প্রথমবার ভোট দেবেন। ভোটের জন্য দেশজুড়ে এক লাখ ৯২ হাজার ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া যেসব তুর্কি নাগরিক বিদেশে রয়েছে, তারা এরইমধ্যে ভোট পাঠিয়েছে। প্রায় ১৯ লাখ তুর্কি নাগরিক এবার বিদেশ থেকে ভোট দিয়েছেন। রোববারের নির্বাচনের ফলাফল গণনার সময় একইসঙ্গে বিদেশীদের ভোটও গোনা হবে। রাত ১২টার আগেই ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের প্রথম দফা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। অল্পের জন্য ঝুলে যায় তার ভাগ্য। অন্যদিকে, ওই নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কামাল পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী রোববার ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ওই একই ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ২০ ভাগ ভোট।
গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোগানকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রথম পর্বের ভোটে এরদোগানের দলও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ওগানের বক্তব্য, তার দল মনে করে, পার্লামেন্টে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, প্রেসিডেন্টও সেই দল থেকেই হওয়া উচিত। আর তাই এরদোগানকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সিনান ওগান বলেন, রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আর সে কারণেই আমি এরদোগানকে সমর্থন করছি। তার যুক্তি, এরদোগানের প্রধান প্রতিপক্ষ কামালের জোটকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।
এই সমর্থনের কারণে এরদোগানের জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, প্রথম দফাতেই কামালের থেকে ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিলেন এরদোগান। এরপর এবার তিনি পাচ্ছেন সিনান ওগানের সমর্থনও। ফলে কামালের জয়ের সম্ভাবনা আসলে খুব একটি আর নেই। তবে অনেকেই শেষ পর্যন্ত দেখতে চাচ্ছেন।