নির্বাচিত কলাম
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি, সরকারের নীরবতা, অ্যাকশনে অন্যরাও?
তারিক চয়ন
২৭ মে ২০২৩, শনিবার‘ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা একটি মূল চ্যালেঞ্জ হবে’- স্বীকার করে নিয়ে জন লিখেছেন, ওদের নামকরণে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন উৎসাহিত করতে ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়ে অ্যান্টনি ব্লিনকেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেখানে বলা হয়েছে- গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ‘বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।’ অর্থাৎ, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে।
বুধবার সারাদিনের কাজ শেষে রাতে দেরি করে বাসায় ফিরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অভ্যাসবশত শেষবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে চোখ বুলাতেই দেখি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের টুইট। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র স্বতন্ত্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তার টুইটের বার্তা মূলতঃ বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে দায়ীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধ। খুব সম্ভবত মানবজমিন অনলাইনেই সংবাদটি সর্বপ্রথম প্রচারিত হয়। এর কাছাকাছি সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্লিনকেনের বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়, যেখানে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। সব মিলিয়ে খবরটি সব জায়গায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরই মাঝে শোনা যায় চ্যানেল আইতে জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সরাসরি হাজির হবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই কর্মকর্তার কথা শুনতে সবাই নড়েচড়ে বসেন। কারণ, সচেতন মহলের এটা অজানা নয় যে- পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যেই তার ক্ষমতচ্যুতির প্লট তৈরির জন্য ডোনাল্ড লু’কে দায়ী করেছিলেন। যাই হোক, এক প্রশ্নের জবাবে লু জানান, নতুন নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সেইসব ব্যক্তিদের ভিসা সুবিধায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে, যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যে কেউ এর আওতায় পড়তে পারেন, সরকারের লোকজন, বিচার বিভাগের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বিরোধী দলের কেউ। দক্ষিণ এশিয়া এবং সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্র রক্ষার বিষয়টি একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গত মাসে পররষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিনকেনও একই সুরে বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। অবশ্য আমরাও তাকিয়ে আছি, যাতে বাংলাদেশ এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শক্তিশালী উদাহরণ তৈরি করতে পারে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে, ডোনাল্ড লু এটাও খোলাসা করেন যে গত ৩রা মে অর্থাৎ ঠিক তিন সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সরকারকে নতুন এই নীতির বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। অথচ, বাংলাদেশ সরকার বা সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছেন বা পড়েছেন বলে বাজারে জোর গুজব থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি! বরং, এ নিয়ে রকমারি আর চটকদার সব কথা শোনা গেছে। দুদিন আগেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ‘বাংলাদেশের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসবে কিনা, তা জানেন না’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। নতুন ভিসা নীতির পর সরকারের দায়িত্বশীল এবং সরকারদলীয় অনেক নেতাকর্মী অবশ্য বলছেন, এটাতো নিষেধাজ্ঞা নয়। তবে, নিষেধাজ্ঞাই হোক কিংবা বিশেষ ভিসা নীতিই হোক তা জানার পরও কেন দেশের মালিক সাধারণ জনগণকে জানানো হলো না বা লুকোছাপা করা হলো- সে প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব তারা দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই’ বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিবিসি বাংলা’র সংবাদে বলা হয়েছে ‘এতে প্রতীয়মান হয় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সাক্ষাৎকারটি দেবার কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের সরকার এই মার্কিন সিদ্ধান্তের কথা জেনেছিল।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দেয়া সরকারের নানা মহলের বক্তব্য, অতি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সবকিছুকে এখন অনেকেই এক পাল্লায় মাপছেন।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সম্পর্কে জেনেও তা জনগণকে সরকার না জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বিষয়টি প্রকাশ করার পর সরকারি মহল প্রকারান্তরে বিষয়টিকে এখন স্বাগতই জানাচ্ছে! আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়। আমাদেরও এটা কথা, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের অবশ্যই প্রতিহত করবো।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, “আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর না, অপজিশনের লোকজনেরও ওপর বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাআল্লাহ একটু সচেতন হবে।” এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রায় একই সুরে বলেছেন, ‘এটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। এতে সরকার বিচলিত নয়, যেহেতু আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এটা বিএনপির জন্যই দুশ্চিন্তার দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিকে দুশ্চিন্তা করা উচিত, কেননা নির্বাচনের আগে বা পরে সংঘাতে রয়েছে ভিসা বিধিনিষেধের আরেকটি মানদণ্ড হিসাবে।’
তবে, লক্ষণীয় যে মন্ত্রীদের কথামতো বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পদক্ষেপে বিচলিততো ননই, বরং তাদের মাঝে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যক্তিগত আলাপচারিতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘাটলে সেটি বুঝতে কারওই অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এটাকে ‘নিষেধাজ্ঞা’ বলতে নারাজ হলেও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী একে ‘বড় নিষেধাজ্ঞা’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনকে যারা নষ্ট করেছে, এটা তাদের জন্য বড় নিষেধাজ্ঞা। দেশের বাইরে-ভেতরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বহির্বিশ্ব থেকে সরকারকে সতর্ক করেছে। কিন্তু সরকারতো কারও কথা শুনছে না। তারা তাদের দৌরাত্ম্য ও লম্ফঝম্প অব্যাহত রেখেছে। সুতরাং যে জিনিসটা এসেছে, সেটা তাদের শেষ পরিণতির পূর্বমুহূর্ত বা লক্ষণ।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মার্কিন ভিসা সীমাবদ্ধতার বিষয়ে বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মার্কিন এই পদক্ষেপ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। ভোট চুরি এখন থেকেই চলছে। তাই এত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এই বিষয়ে ৩রা মে জানানো হলেও কেন এতবড় ঘটনা দেশের জনগণকে জানানো হলো না তা সরকারকেই জবাব দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার ১২ ঘণ্টা না যেতেই দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে মূলত স্বাগতই জানান। অর্থাৎ দেশের তিনটি প্রধান বড় দলের পক্ষ থেকেই (মনে যাই থাকুক) মুখে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। স্বাগত জানিয়েছে অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলও।
‘যুক্তরাষ্ট্রের এ ভূমিকাকে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখি’ মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সকল বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার পাশে থাকার অনুরোধ জানাই। একইসঙ্গে গণতন্ত্র বিরোধী, ভোট ডাকাত, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে এরকম কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।’ ভিপি নুরের ন্যায় এমন আহ্বান এসেছে মার্কিন মুলুক থেকেও।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংগঠন রাইট টু ফ্রিডম এক বিবৃতিতে বলেছেঃ যুক্তরাষ্ট্র এবং সমমনা অংশীদারদের জন্য এটি প্রদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ হবে যে তারা বাংলাদেশে বিগত দুটি গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন চক্রের পুনরাবৃত্তি এড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডেপুটি চিফ অফ মিশন জন এফ ড্যানিলোভিজও টুইটারে আশা প্রকাশ করেছেন যে, অন্যান্য সমমনা দেশগুলোও একই ধরনের পন্থা অনুসরণ করে অনুরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করবে।
পাশাপাশি জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন যেটি নিয়ে কেউই কথা বলছেন না। ‘ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা একটি মূল চ্যালেঞ্জ হবে’ স্বীকার করে নিয়ে জন লিখেছেন, ওদের নামকরণে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন উৎসাহিত করতে ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়ে অ্যান্টনি ব্লিনকেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেখানে বলা হয়েছে- গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ‘বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।’ অর্থাৎ, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে।
ওদিকে, বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা অবাধ নির্বাচনের পক্ষে আছি, আমরা অ্যাকশন নিতে প্রস্তুত।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি, তবে আমরা যদি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো কিছু দেখতে পাই তাহলে আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবো।’ বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যারা এই পথে বাধা হবে তাদেরকে দায়বদ্ধ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এটি সব সংস্থার জন্যও একটি সংকেত যে আমরা কিন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখছি।’ সমমনা বা বন্ধুপ্রতিম অন্য দেশগুলোও এখন বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা সেটিই এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।