বাংলারজমিন
রাজনগরে বাঁধের স্লোব কেটে উপরে দেয়া হচ্ছে মাটি, বন্যায় ভাঙনের আশঙ্কা
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
মৌলভীবাজারের রাজনগরে বন্যাপ্রতিরক্ষা বাঁধের স্লোব কেটে একই সড়ক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এতে সড়কটি খাঁড়া হয়ে যাবে এবং বন্যা বা অতিবৃষ্টির সময় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। ফলে ভাঙন দেখা দিলে উত্তরভাগ, মুন্সিবাজার ও ফতেহপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, ভরা মৌসুমে সড়কের মধ্যে থাকা ছোট গর্ত দিয়ে পানি লিক করে। এগুলো বন্ধ করার জন্য স্ল্লোব কেটে আবার মাটি দিয়ে ভরে ফেলা হবে। এতে বাঁধ ভাঙনের কোনো আশঙ্কা থাকবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেহপুর ইউনিয়নের বন্যাপ্রতিরক্ষা বাঁধের ১ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার করা হয়। ১৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয় উত্তরভাগের হলদিগুল এলাকায় ৪০০ মিটার, পশ্চিম বেড়কুড়ি এলাকায় ৩০০ মিটার ও জাহিদপুর এলাকায় ৩০০ মিটার মেরামতের কাজ পায় মেসার্স জীবন এন্টারপ্রাইজ।
সম্প্রতি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উত্তরভাগের হলদিগুলো কাজ ধরে। এতে দেখা যায় বাঁধের স্লোব কেটে মাটি উপরে তোলা হচ্ছে।
অতিবৃষ্টির সময় নদীর পানি উপচে বাঁধে চাপ সৃষ্টি হলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মখলু মিয়া বলেন, আমি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি দেখেছি। এভাবে মাটি কাটা হলে বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জীবন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার তাজুল নোমানের মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। মৌলভীবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, সিডিউলে এখানে মাটি বাইরে থেকে কিনে নিয়ে দেয়া ধরা নেই। পাশের জমি থেকেই দিতে হবে। কিন্তু এখানে বাঁধের বিভন্নস্থানে পানি লিক করে। এতে বাঁধে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দেয় তাই বাঁধের স্লোব কেটে দেয়া হচ্ছে। সেখানে আবারো মাটি ফেলে ভরেও দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে ইউএনও মহোদয় ফোন করেছিলেন আমি তাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। সাধারণ মানুষ বিষয়টি বুঝতেছে না। তাই অভিযোগ করছে।