বাংলারজমিন
স্থানীয়দের প্রশ্ন কার জন্য এই সেতু
সেতু আছে, রাস্তা নেই
মতিউল আলম, ময়মনসিংহ ও এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া থেকে
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সরস্বতী নদীর উপর ব্রিজটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না। ব্রিজটির উভয়পাশে রাস্তা না থাকায় ব্রিজের উপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ৪ বছর ধরে। স্থানীয়দের প্রশ্ন কার জন্য এই ব্রিজ। ব্রিজের দু’পাশে পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর ইউনিয়নে কাকড়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরস্বতী নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ব্রিজটি নির্মাণ করে। রাস্তা তৈরি না করেই সেতু নির্মাণ করায় ৪ বছর ধরে অসহায় ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। উভয়পাশে রাস্তা না থাকায় হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জবান আলী সরকার বলেন, ‘আমি ওই রাস্তার কর্মসূচি কর্মসৃজনের প্রকল্প দিয়েছি কাজ হয়েছে, পিআইও রাস্তা দেখে বিল ছাড় করেছে। আপনাকে কে কি বলছে সেটা ঠিক নয়, আমি ফুলবাড়ীয়া আসতেছি দেখা হবে।’ জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা তাইজ উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না।
আমরা ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারকে অনেক বলেছি ব্রিজের দু’পাশে মাটির রাস্তা করে দিতে, কে শুনে কার কথা। রাস্তা না হলে আমরা ব্রিজ দিয়ে কি করবো। কাকরারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানিয়া ইসলাম জানান, আমাদের স্কুলের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এদিক দিয়ে চলাচল করে। রাস্তার অভাবে ছাত্রছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। ব্রিজটি কেন বা কার স্বার্থে নির্মাণ করা হলো এটা বুঝে আসছে না। রাস্তা ছাড়া ব্রিজ দিয়ে কি হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলায় আসার আগে সেতুটি হয়েছে কিন্তু চলাচলে রাস্তা নেই এইটা ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ আমাকে বলেননি। এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদুল করিম জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে আগামী বরাদ্দে রাস্তার কাজ হবে।