ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

খোলা চোখে

প্রতিমন্ত্রীর সত্য ভাষণ মানুষের কান্না এবং সিন্ডিকেটের ডুগডুগি

লুৎফর রহমান
২৩ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
mzamin

শেষ করতে চাই কামাল মজুমদারের বক্তব্য দিয়েই। তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতি ও বাজার এই দুই জায়গাতেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যার কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঝরে পড়ছেন এবং পণ্যের মূল্য বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই সিন্ডিকেট যদি আমরা ধরতে না পারি, এই সিন্ডিকেট যদি আমরা ভাঙতে না পারি, দেশের ১৭ কোটি মানুষের যে দুঃখ-কষ্ট তা যদি লাঘব না করতে পারি, তবে আমার মনে হয়, আমাদের মতো লোকের মন্ত্রী থাকা উচিত না।’ একজন কামাল মজুমদারের এই বোধোদয় যদি মন্ত্রিসভার অন্য ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের হতো। তারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে মানুষের কষ্টের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারতেন। বাজারে যাওয়া মানুষের কান্না শুনতে পেতেন, তাহলে বাজারে থাকা এই সিন্ডিকেট, অর্থনীতির সিন্ডিকেট এতদূর শেকড় গাড়তে পারতো না।

‘মানুষ বাজার করতে গিয়ে এখন কাঁদছে। কারণ বাজারের যে অবস্থা তার পকেটে সেই পরিমাণ টাকা নেই। এর একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট। দেশে চাল, ডাল তরকারির অভাব নেই, তারপরও এই সিন্ডিকেটের কারণে দেশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে’ 

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অকপটে এই বাস্তবতা স্বীকার করে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন। তার বক্তব্যে ছিল  ক্ষোভ, আক্ষেপ আর অসহায়ত্বের সুর।

বিজ্ঞাপন
সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর এমন সত্য ভাষণ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার পর কামাল আহমেদ মজুমদার একটি দৈনিক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারেও পরিস্থিতির বিষদ বর্ণনা দিয়েছেন। নানা অভিযোগ তুলেছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিজের আক্ষেপ আর অভিযোগ খোলাসা করেছেন। তিনি এও বলেছেন, মন্ত্রিসভার ভেতরেও সিন্ডিকেট আছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে একটা অসহায় অবস্থা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। 

প্রতিমন্ত্রীর এই সত্য ভাষণে অনেকে খুশি হয়েছেন। তাকে বাহ্বা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ সমালোচনাও করেছেন। এমন অসন্তোষ বুকে পুষে মন্ত্রিসভায় থাকছেন কেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছিল প্রতিমন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে সম্মান দিয়েছেন। স্নেহ করেন। এজন্য তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দলের অনেকে নাখোশ হয়েছেন। দলের উচচ পর্যায়ের একজন নেতা তাকে এ ধরনের বক্তব্য দিতে বারণও করেছেন। প্রবীণ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে কামাল মজুমদার যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এটি এখন অনেকের মনের কথা। পরিস্থিতিও আদতে তাই। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যে প্রতিবাদী কণ্ঠ থাকার দরকার ছিল তাও দেখা যাচ্ছে না। তারা কথা বললেও সরকার নিছক বিরোধী কণ্ঠ বলেই হয়তো কানে তুলছে না। 

প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় বাজারে যাওয়া মানুষের কান্না শুনতে বা অনুধাবন করতে বাজার ব্যবস্থায়ও কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, সংগঠন নেই, নেতৃত্ব নেই। যারা বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেবে। নেই বললে আসলে ভুল হবে। যেসব সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করার কথা তারাও কোনো না কোনো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এ কারণে বাজার এবং সিন্ডিকেট একাকার হয়ে পড়েছে। কে কাকে নিয়ন্ত্রণ করবে এটিও হয়তো বুঝতে পারছে নিয়ন্ত্রণক সংস্থাগুলো। 

সরল চোখে প্রতিমন্ত্রী যা বলতে চেয়েছেন এই মুহূর্তে তার বিষদ বর্ণনা দেয়াটাও একটা কঠিন কাজ। বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব কতটা বিস্তৃত হয়েছে তা সামনে আনতে হলে প্রতিটি পণ্য ধরে আলোচনা করতে হবে। কারণ প্রতিটি পণ্যের বাজার ঘিরে আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা এর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে যখন তখন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে ক্রেতার চোখে জল এলে বা তার পকেট পুড়লেও কারো কোনো গরজ হচ্ছে না। 

এই যে ধরেন, এক মাস আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় এক কেজি পিয়াজ কেনা যেতো বাজার থেকে। এক মাসের ব্যবধানে তা কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকায়। দ্বিগুণের বেশি দাম বেড়ে গেছে এক মাসের মধ্যে। পিয়াজের মাত্র মওসুম শেষ হয়েছে। এখনই এভাবে উচ্চমূল্য হওয়ার কথা নয়। সাধারণত মওসুম শুরুর আগে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে পিয়াজের দাম বাড়ে। কিন্তু ভর মওসুমে এভাবে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার বড় কারণ সিন্ডিকেট। বাজারে অবৈধ সিন্ডিকেট পণ্য মজুত করে রাখে। পরে ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে তা বিক্রি করে। 

শুধু কি পিয়াজ?  এর আগে আগে বাজারে পোল্ট্রি মুরগির বাজার অস্থির করে তুলেছিল সিন্ডিকেট। ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ’ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে এই দাম বাড়ার বড় কোনো কারণ ছিল না। কারণ ছিল শুধু সিন্ডিকেটের কারসাজি। দেড়শ’ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি করে সিন্ডিকেট মানুষের গলা এবং পকেট দু’টিই কেটেছে। সাধারণ পোল্ট্রি মালিকদের সংগঠন পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের দাবি এই সিন্ডিকেট মাত্র ৪৫ থেকে ৫০ দিনে প্রায় হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, ডিম এবং মুরগির দাম ইচ্ছামতো বাড়ায় এবং কমায়। এতে সাধারণ ক্রেতারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনি সাধারণ পোল্ট্রি মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। অর্থাৎ এই সিন্ডিকেট বাজারে যেমন মানুষের পকেট কাটছে তেমনি শিল্পের জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। 
বেশ কিছুদিন ধরেই চিনির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতার পেছনেও আছে সিন্ডিকেট। দেশের বাজারে চিনির সর্বোচ্চ দাম উঠে দেড়শ’ টাকায়। এই বাড়তি দাম নেয়া হয় সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না। খোলা চিনি ১৪০ বা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। অস্থিরতার মধ্যেই সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে খোলা চিনির কেজি ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এ দামে চিনি মিলছে না এখনও। ১৩০ বা ১৪০ টাকা নেয়া হচ্ছে কেজিতে। এই যে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরও বাড়তি দাম নেয়া এটি কিন্তু নতুন কিছু না। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণের পর প্রতিবারই এমনটি হয়। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণের পর এভাবে বাড়তি দাম নেয়া বা সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার আগে ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা এটা কিন্তু সাধারণ ব্যবসায়ীরা করতে পারেন না। কারণ প্রতিযোগিতার বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা অল্প লাভেই পণ্য বিক্রি করে থাকেন। বাজার অস্থির করার নেপথ্যে কাজ করে সিন্ডিকেট। তারা অল্প কয় দিনেই শত কোটি বা হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে তুলে নেয় বাজার থেকে। 

অতি প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের বাজারেও এই সিন্ডিকেট আছে। চালের বাজারে সিন্ডিকেট আছে। ডালের বাজারে সিন্ডিকেট আছে। মসলার বাজারে সিন্ডিকেট আছে। বলতে গেলে এখন পুরো বাজার নিয়েই ডুগডুগি বাজাচ্ছে সিন্ডিকেট। কারণ দাম বাড়ানো, লুটপাট তারা খেয়াল-খুশিমতো করতে পারছে। তাদের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের কেউ চাপে ফেলতে পারছে না। তাদের মুনাফার হার কেউ কমাতে পারছে না। তাদের হাজার কোটি টাকার ব্যবসা সময়ের ব্যবধানে লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হচ্ছে। এর বিপরীতে বাজারে মানুষের চাপা কান্না এখন আহাজারিতে রূপ নিচ্ছে। এক সময় এক কেজি মাংস কিনতে পারে ক্রেতাদের কেউ কেউ আধা কেজি মাংসও কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে মানুষ খাবারের তালিকা ছোট করছে। ফল খাওয়াকে বিলাসিতা মনে করছেন কেউ কেউ। নিত্যপণ্যের দামে পিষ্ট হয়ে সন্তানের পড়াশোনা নিয়েও ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে দোহাই দেয়া হচ্ছে যুদ্ধের। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে এটা সবাই জানে। কিন্তু যে পণ্যের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই সেই পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে কী কারণে? এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু কারো কাছে নেই। এছাড়া যুদ্ধের প্রভাবে দাম বেড়েছে সারা দুনিয়াজুড়েই। প্রতিবেশী ভারতে যে পণ্য একশ’ টাকা কেজি’র নিচে বিক্রি হচ্ছে- বাংলাদেশে কেন তা দেড়শ’ টাকায় বিক্রি হবে? অনেক উন্নত দেশের চেয়েও দেশে অনেক পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র বাজার সিন্ডিকেটের কারণে। 

এমন বাস্তবতায় বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙাটি এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কে ভাঙবে এই সিন্ডিকেট? শিল্প প্রতিমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বলেছেন, মন্ত্রিসভার ভেতরেই সিন্ডিকেট আছে। খাদ্যমন্ত্রী নিজেই চালকলের ব্যবসায়ী। বাণিজ্যমন্ত্রী বড় ব্যবসায়ী। এমন ব্যবসায়ী মন্ত্রিসভায় আরও অনেকে আছেন। এই ব্যবসায়ী মন্ত্রীরা কখনও সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কথা বলেছেন? তারা কি জানেন না কোথায় কোন সিন্ডিকেট কাজ করছে। কীভাবে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
অথচ নিত্যপণ্যের দামের কারণে মানুষের নাভিশ্বাসতো তাদেরই আগে অনুধাবন করার কথা ছিল। কারণ তারা প্রত্যেকে জনপ্রতিনিধি। উল্টো অভিযোগের তীর যাচ্ছে তাদের দিকেই। 
শেষ করতে চাই কামাল মজুমদারের বক্তব্য দিয়েই। তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতি ও বাজার এই দুই জায়গাতেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যার কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঝরে পড়ছেন এবং পণ্যের মূল্য বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই সিন্ডিকেট যদি আমরা ধরতে না পারি, এই সিন্ডিকেট যদি আমরা ভাঙতে না পারি, দেশের ১৭ কোটি মানুষের যে দুঃখ-কষ্ট তা যদি লাঘব না করতে পারি, তবে আমার মনে হয়, আমাদের মতো লোকের মন্ত্রী থাকা উচিত না।’

একজন কামাল মজুমদারের এই বোধোদয় যদি মন্ত্রিসভার অন্য ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের হতো। তারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে মানুষের কষ্টের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারতেন। বাজারে যাওয়া মানুষের কান্না শুনতে পেতেন, তাহলে বাজারে থাকা এই সিন্ডিকেট, অর্থনীতির সিন্ডিকেট এতোদূর শেকড় গাড়তে পারতো না। অনেকে বলে থাকেন এই ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সিন্ডিকেট অনেক ডালপালা গজিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। অর্থনীতির সর্বত্র শিকড় গেড়েছে। 

সামনে জাতীয় নির্বাচন আসছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে দলগুলোর মধ্যে। সামনের এই নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে নিত্যপণ্যের দামের ইস্যুটি। আপাত দৃশ্যে যা মনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সিন্ডিকেটকে থামানো বা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে না। তবে ভবিষ্যতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে, সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করতে চাইলে বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা যাতে আবারো দলীয় মনোনয়ন না পান, অতিলোভী, নীতিহীন ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো দলের মনোনয়ন কিনে এমপি-মন্ত্রী না হতে পারেন দলগুলো চাইলে তা নিশ্চিত করতে পারে।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status