বিশ্বজমিন
ইমরানের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার কার্ড খেলছে সরকারি জোট: যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ১৭ মে ২০২৩, বুধবার, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঠেকাতে ইসলাম অবমাননার কার্ড খেলছে দেশটির সরকারি জোট ‘পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ (পিডিএম)। যুক্তরাষ্ট্রের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে পাক সরকারের এমন আচরণের সমালোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সোমবার। এতে অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালে একাধিকবার ধর্ম অবমাননার জন্য ইমরান খানের দিকে আঙুল তুলেছে সরকারি জোটের নেতারা।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বছরের ১৩ই সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ’ (পিএমএলএন) নেতা জাভেদ লতিফ এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খানকে ধর্মবিরোধী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ইমরান খান আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে সমর্থন দিয়ে ইসলাম ধর্মের মূলত ভিত্তিকে আঘাত করেছেন। এক বিদেশি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারের সময় ইমরান খান বলেছিলেন যে, কাদিয়ানি বা আহমাদিয়াদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। এ জন্যেই তার বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনেন লতিফ।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে, সরকারের সঙ্গে থাকা জেইউআই-এফ দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ইমরান খানকে ইহুদীদের এজেন্ট বলে ঘোষণা করেছেন। গত ৭ই সেপ্টেম্বর এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইমরান একজন কাদিয়ানীপন্থী এবং ইহুদীদের দালাল। এর জবাবে ইমরান খান তখন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ করেছিলেন।
মার্কিন রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে এখনও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য হুমকিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে। শেহবাজ শরীফের সরকার গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতায় আসে।
মার্কিন রিপোর্টটি বর্তমানে কংগ্রেসের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধর্মাবমাননা মামলাগুলো পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বেশ কয়েকটি দাঙ্গার পেছনে প্রভাব রেখেছে। ওই রিপোর্টে পাকিস্তানকে ব্ল্যাসফেমি আইন বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। এ ধরণের মামলায় অভিযুক্তদের জামিন নিশ্চিতের কথাও বলা হয় ওই রিপোর্টে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে পুলিশ প্রায়ই দেশটির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়। দেশটির আদালতে ব্ল্যাসফেমি আইন প্রয়োগ অব্যাহত আছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সরকার অবশ্য ব্ল্যাসফেমির জন্য কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়নি বলেও প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে।