নির্বাচিত কলাম
বেহুদা প্যাঁচাল
জেসমিনকে নিয়ে যত প্রশ্ন শামসুজ্জামানও আছে লাইনে
শামীমুল হক
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইন নিজস্বগতিতে চলে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রসহ সবই চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, কিংবা সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করে, সেই অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর দিনব্যাপী যে আলোচনা শামসুজ্জামান কোথায়? বিষয়টি খোলাসা হয়েছে। আচ্ছা প্রথম আলো কি ছেপেছিল? একটি ছবি। যে ছবিতে এক শিশু একটি ফুল হাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দিকে তাকিয়ে আছে। আর ক্যাপশন যা দেয়া হয়েছিল তা ছবির ওই শিশুর বক্তব্য নয়।
অন্য আরেকজনের। ছবিটি কিছুক্ষণ পরেই সরিয়ে নেয়া হয়। ব্যাখ্যাও দেয়া হয়। অথচ ক্যাপশনে দেয়া অন্য আরেকজনের বক্তব্য ওই শিশুর মনে করে শিশুটির পেছনে দৌড়ায় একটি টিভি চ্যানেল। যদিও ক্যাপশনে কারও নামই দেয়া হয়নি। এর সঙ্গে ছাপা রিপোর্ট পড়লে ওই বক্তব্য কার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেবিজ্ঞাপন
বিষয়টি যুৎসই মনে হচ্ছে না। একজন যুগ্ম সচিব এলেন। র্যাবের টহল দলকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালেন। সঙ্গে সঙ্গে র্যাব সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠলেন। ভাগ্য কি সুপ্রসন্ন! যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুলতানা জেসমিনকে র্যাব সামনে পেয়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে নিয়ে গেলেন। বর্ণনা অনুযায়ী ওই যুগ্ম সচিবের সামনেই সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সুলতানা তোতা পাখির মতো সব সত্য স্বীকার করে নেন। র্যাব সদস্যরাও কতো তৎপর! পাশের একটি কম্পিউটার দোকান থেকে সুলতানার মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য প্রমাণ প্রিন্ট করে সংগ্রহে রাখেন। আর জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই সুলতানা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তখনই হুঁশ ফেরে র্যাব সদস্যদের। পরদিন তড়িঘড়ি করে যুগ্ম সচিব এনামুল মামলা করেন। উপরে উল্লিখিত তথ্য মামলার বর্ণনার সারাংশ। কিন্তু যুগ্ম সচিব ও র্যাবের দেয়া তথ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রশ্ন আর প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন- র্যাবের টহল দলকে দেখে যে কেউ অভিযোগ করলেই কি র্যাব তৎপর হয়ে উঠে? বিশেষ করে এভাবে কি অভিযোগ করা যায়? থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এর একটি কপি কখনো কখনো র্যাব অভিযোগকারীর কাছে চায়। সেই অভিযোগ নিয়ে আগে তদন্ত করে। তারপর তারা তাদের করণীয় ঠিক করে। এমনটাই জেনে আসছিলাম এতদিন। কিংবা কোনো বিশেষ ঘটনার ছায়া তদন্ত র্যাব করে থাকে। এমন ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে তাদের অনেক সাফল্যও রয়েছে। যা দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। কিন্তু সুলতানার ক্ষেত্রে এর কোনোটিই ঘটেনি।

এখানে প্রশ্ন জাগে-টহল দল কি সরাসরি মৌখিকভাবে অভিযোগ শুনেই অ্যাকশনে যেতে পারে? তাও একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে? স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের করা রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার অভিযোগে কি বলেছেন? তার ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করার অভিযোগ আনা হয় সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় যুগ্ম সচিবের পরিচয় এবং পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণামূলকভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ মামলা করা হয় পরে। এর আগেই নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনকে তুলে এনেছিল র্যাব। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানাকে র্যাব সদস্যরা তুলে আনে। পরদিন ২৩শে মার্চ জেসমিনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হক। র্যাবের ভাষ্য ২২শে মার্চ বুধবার আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাঝখানে বৃহস্পতিবার মামলা করা হয়। শুক্রবার জেসমিনের মৃত্যু হয়। জেসমিনের লাশ দাফন করা হয় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায়। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব জানিয়েছে, পুরনো অভিযোগের ভিত্তিতে জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। যদিও স্থানীয় থানা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা ছাড়া আর কোনো লিখিত অভিযোগের তথ্য জানাতে পারেনি। এমনকি পুলিশ সুলতানা জেসমিনের প্রতারণা সম্পর্কেও তেমন কিছু জানেন না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে। এ ছাড়া সুলতানাকে র্যাব কখন, কীভাবে তুলে নিয়ে গেছে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মামলা হলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। সেখানে র্যাব তাকে তুলে নেয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছেও সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত জেসমিনের মামা নাজমুল হক মন্টু বলেছেন, প্রতারণার মামলার বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত অন্ধকারে। আমরা মামলার কোনো তথ্য বা কপি পাইনি। তিনি সুলতানার মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন। সুলতানার মৃত্যুর বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেছেন, হাসপাতালে র্যাবের সদস্যরা সুলতানাকে নিয়ে আসেন। এ সময় সুলতানার মাথার ডান পাশে কানের উপরে হালকা আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ সময় তিনি সংজ্ঞাহীন ছিলেন। আমরা তাকে নিউরো সার্জারিতে পাঠাই। সেখানে একটি সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে। যেটা আঘাতজনিত কারণ এবং স্ট্রোক করলে হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে পাঠানোর পর ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ২৪শে মার্চ মারা যান। র্যাব সদস্যরা জানান, র্যাব যখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন সুলতানা জেসমিন একপর্যায়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এখানেও প্রশ্ন জাগে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পড়ে যাওয়া শব্দটি আসলে রহস্যজনক কিনা? স্বাভাবিক নিয়মে হলে ঘটনাটি হতো এরকম। থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করবে। তারপর আদালতে তুলবে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইবে। কিন্তু সুলতানার ক্ষেত্রে ঘটলো কি? উল্টোটা। আগে ধরা, পরে মামলা।
আবার প্রশ্ন জাগে- সুলতানা স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের সঙ্গে চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের কিছু একটা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। যা তিনি র্যাবকে ব্যবহার করে শায়েস্তা করতে চেয়েছিলেন। এমন শায়েস্তা করা হলো যে, সুলতানা জেসমিন আর পৃথিবীর আলোই দেখলো না। আর সুলতানা সম্পর্কে যে খবর পাওয়া গেছে তাতে সুলতানা প্রতারণা করতে পারেন না। যুগ্ম সচিবের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সুলতানা যখন হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে তখনকার। টহলরত র্যাব সদস্যদের আসলে এনামুল কি বলেছিলেন? এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। অবশ্য এ ব্যাপারে র্যাব সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্ত কমিটি নিশ্চয় আসল রহস্য ভেদ করে তুলে আনবেন। এবং তা জনগণকে জানাবেন। সুলতানার ঘটনা যখন দেশজুড়ে আলোচনায় তখনই প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। সিআইডি পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার আমবাগানের ভাড়া বাসা থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়। বাসাটির নিচতলায় তার মাকে নিয়ে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকছেন। শামসুজ্জামান হলি আর্টিজান হামলায় নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রবিউল করিমের ছোট ভাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোর চারটার দিকে তিনটি গাড়িতে ১৬ জন ব্যক্তি শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তাদের মধ্যে ৭-৮ জন বাসায় ঢোকেন। একজন শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইলফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। বাসায় ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তাকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় যান তারা। বটতলার নুরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহেরির খাবার খান। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান। সিআইডি’র ব্যবহৃত দুইটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল (ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-২৭৪৭ এবং ঢাকা মেট্রো জ ৭৪-০৩৩১) আরেকটিতে কোনো নম্বর প্লেট দেখা যায়নি। দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) রাজু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাসায় এসে তারা জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান। তুলে নেয়ার সময় ওই বাসার মালিককে ডাকেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। পুলিশ তাকে জানায়, শামসুজ্জামানের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নেয়া হচ্ছে।
সিআইডি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসকে সিআইডি’র কোন টিম এনেছেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই। মামলার বিষয়টিও তিনি জানেন না বলে সংবাদমাধ্যমে জানান। ওদিকে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইন নিজস্বগতিতে চলে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রসহ সবই চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, কিংবা সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করে, সেই অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর দিনব্যাপী যে আলোচনা শামসুজ্জামান কোথায়? বিষয়টি খোলাসা হয়েছে। আচ্ছা প্রথম আলো কি ছেপেছিল? একটি ছবি। যে ছবিতে এক শিশু একটি ফুল হাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দিকে তাকিয়ে আছে। আর ক্যাপশন যা দেয়া হয়েছিল তা ছবির ওই শিশুর বক্তব্য নয়। অন্য আরেকজনের। ছবিটি কিছুক্ষণ পরেই সরিয়ে নেয়া হয়। ব্যাখ্যাও দেয়া হয়। অথচ ক্যাপশনে দেয়া অন্য আরেকজনের বক্তব্য ওই শিশুর মনে করে শিশুটির পেছনে দৌড়ায় একটি টিভি চ্যানেল। যদিও ক্যাপশনে কারও নামই দেয়া হয়নি। এর সঙ্গে ছাপা রিপোর্ট পড়লে ওই বক্তব্য কার তা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
পাঠকের মতামত
আপনাদের মত দায়িত্বশীল মানুষদের কাছ থেকে এইরকম একপেশে দায়িত্বহীন লেখা আমরা আশা করি না। রিপোর্ট টি যে ভুল ছিল, তা প্রথম আলো কত্রপক্ষ স্বীকার করেছেন সেখানে আপনারা এটাকে স্বাধীন সাংবাদিকতা কিভাবে বলছেন? সাংবাদিকতা মিথ্যা বলার স্বাধীনতা হতে পারে না। অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক নয়।