বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে তিন মাস পর নতুন বই পাচ্ছে প্রথম, দ্বিতীয় ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবারনতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। অথচ বছরের প্রথম দিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বইরের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হওয়ার কথা। অথচ মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির এবং ৭ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ধর্ম শিক্ষা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বই অর্থনীতি, পৌরনীতি, হিসাব বিজ্ঞান এখনো হাতে পায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের ললাটে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে এ সপ্তাহেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ। মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় সকল শ্রেণির শতভাগ বই প্রদান সম্ভব হয়েছিল। আর মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বই বিতরণ করা হলেও শতভাগ বাকি ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই। চট্টগ্রাম থেকে বই আসতেছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা ও রাজনগর উপজেলায় শতভাগ বই চলে এসেছে। কমলগঞ্জ উপজেলার ৬০ শতাংশ, কুলাউড়া উপজেলার ৮০ শতাংশ এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯০ শতাংশ বই এসেছে। দ্রুত তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। আশা করছি এই মাসের মধ্যে বাকি বইগুলোও আসবে।’ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে মৌলভীবাজার জেলার জন্য মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ১৩২টি। কিন্তু আমাদের সরবরাহ করা হয়েছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৯টি বই। মাদ্রাসা শিক্ষায় বইয়ের চাহিদা ছিল ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০টি। সরবরাহ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৯টি। অবশেষে দেরিতে হলেও শূন্যতা পূরণ হয়েছে। চাহিদা মাফিক বই আমরা সরবরাহ পেয়েছি। ২-১ দিনের মধ্যে তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।’ এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গতকাল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণির শতভাগ বই তুলে দেয়া হয়েছে। আঐ আ: ছত্তার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।