খেলা
আর্জেন্টিনা ৭-০ কিউরাসাও
সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ মেসির
স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
বিশ্বচ্যাম্পিয়নের আবহ নিয়েই কখনো বিশ্বকাপ না খেলা দল কিউরাসাওর মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপদেশটিকে বল পায়ে ছেলেখেলাই করলো মেসিরা। গতকাল প্রীতি ম্যাচে কিউরাসাওয়ের বিপক্ষে ৭-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সান্তিয়াগো দেল এস্তেরোর মাদ্রে দে সিউদাদেস স্টেডিয়ামে সুপার স্টার লিওনেল মেসি করেন হ্যাটট্রিক। এতে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারে ১০০ গোলের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেন এ ফুটবল জাদুকর। ম্যাচে অন্য চার গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেস, এনজো ফার্নান্দেজ, আনহেল ডি মারিয়া ও গঞ্জালো মন্তিয়েল। র্যাঙ্কিংয়ের ৮৬তম দল হলেও আর্জেন্টানই কোচ লিওনেল স্কালোনি প্রতিপক্ষকে মোটেও হালকাভাবে নেননি। বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ৫ জনকে একাদশে নিয়ে দল সাজান তিনি । মাঠে শুরু থেকেই দাপট দেখানো আর্জেন্টিনাকে ২০তম মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন মেসি। এতে জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার। আগের ম্যাচে পানামার বিপক্ষে দারুণ ফ্রিকিকে নিজের ৯৯তম গোল আদায় করেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৩৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। চার মিনিট পর পূরণ করেন জাতীয় দলের হয়ে নবম হ্যাটট্রিক। এর আগে ২৩ ও ৩৫ মিনিটে যথাক্রমে দুটি গোলকরেন নিকোলাস গঞ্জালেস ও এনজো ফার্নান্দেস। প্রথমার্ধে আক্রমণের তেজ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেটি সীমিত হয়ে পড়েছিল। বল দখলের পরিমাণ বাড়ে যদিও। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ২৭টি শট নেয় আর্জেন্টাইনরা। যার ১৭টিই ছিল অনটার্গেটে। পক্ষান্তরে ছয়টি শট নিয়ে কোনটিই অনটার্গেটে রাখতে ব্যর্থ হয় কিউরাসাও তারকারা। ৭৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিকে স্কোর ৬-০ করেন বদলি মাঠে নামা আনহেল ডি মারিয়া। পরে স্কোর লাইন ৭-০ করেন বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে শেষ শট নেয়া মন্তিয়েল। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে বাম প্রান্ত থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল মুখে বল দেন দিবালা। এতে মন্তিয়েল সহজেই বল জালে জড়ান। ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মেসি। তার আগে এমন কৃতিত্ব দেখান ইরানের আলী দাই এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ১২২ গোলের রেকর্ড রোনালদোর। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮ ম্যাচ খেলেছেন সিআর সেভেন খ্যাত স্ট্রাইকার। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ১৪৯ ম্যাচে ১০৯ গোল করেন আলী দাই। আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৪ ম্যাচে মেসির গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০২-এ। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির প্রথম গোল এসেছিল ২০০৬ সালের মার্চে। ১৭ বছর আগে হওয়া ওই ম্যাচে অবশ্য হার দেখেছিল আলবিসেলেস্তেরা। প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ক্রোয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেসির সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। লাতিন আমেরিকান সতীর্থদের বিপক্ষে ৮ গোল রয়েছে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারের। পরের অবস্থানে যৌথভাবে আছে ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের বিপক্ষে ছয়বার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন মেসি। সবশেষ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার হলো একমাত্র প্রতিপক্ষ যাদের বিপক্ষে একাধিকবার (দুই ম্যাচ) খেলেও গোল পাননি তিনি। প্রীতি ম্যাচের বাইরে মেসির গোলের সংখ্যা ৫৪। যার মধ্যে ২৮ গোল এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ফুটবল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় মেসির রয়েছে সমান ১৩ গোল।