খেলা
দুর্দান্ত শান্ত-লিটন-তাওহীদ তবুও যে ‘আক্ষেপ’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
সাকিব আল হাসান ৯৩, তাওহীদ হৃদয় ৯২ রানে আউট। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ড গড়ে ১৮৩ রানের জয় পেলেও স্কোর বোর্ডে তাকালে দু’জনের সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপ ও হতাশার গল্পটা আলাদা করেই লেখা যায়। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন হতাশা এ আর নতুন কি! সাকিব নিজেই নার্ভাস নাইনটিনে আউট হয়েছেন ৪ বার। তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছেন দেশের আরেক ব্যাটার মুশফিকুর রহীমও। তামিম ইকবাল ৯০ ছুঁয়ে আউট হয়েছেন আরও ৩ বার। শুধুকি তাই ৫০ পেরিয়ে তিনি আউট হয়েছেন সর্বাধিক ৬০ ম্যাচে ৪৯ বার। ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হওয়ার তালিকাতে সাকিব ও মুশফিকও পিছিয়ে নেই। তবেকি সেই পথেই হাঁটছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহীদ হৃদয়রা! গতকাল আইরিশদের বিপক্ষে লিটন আউট হলেন ৭০ রান করে। আর শান্ত ফিরলেন ৭৩ এ। প্রথম ম্যাচে অভিষেকেই সেঞ্চুরি সুযোগ হারানো হৃদয় এই আক্ষেপে পুড়লেন এই ম্যাচেও।
তামিম ইকবাল দেশের হয়ে ২৩৫ ওয়ানডে ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ৫৫টি। কিন্তু এরমধ্যে ৬০ ম্যাচে তিনি ফিফটির পর আউট হয়েছেন ৪৯ ইনিংসে। সাকিবের ২২৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ফিফটির সংখ্যা ৫৩ বার। এরমধ্যে ৫০ ম্যাচে ফিফটি করার পর আউট হয়েছেন ৪৪ বার। মুশফিকুর রহীম আউট হয়েছেন ৩৬ বার। তাদের পরেই আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ইমরুল কায়েসরা। এবার নতুন প্রজন্মেও সেই ভূত চেপে বসেছে। লিটন দাস ১০ ম্যাচে ৬ বার ফিফটি করার পর আউট হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ৫ বার আর ফিফটির সংখ্যা ৮টি। তার ২০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে গতকাল সহ ৩ বারই ফিফটির পর আউট হয়েছেন। এতো ছিল ওয়ানডে পরিসংখ্যান। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের নামের পাশে ফিফটিম্যান যুক্ত হয়ে আছে এখনো।
গতকাল পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে দলীয় ৪২ রানে রান আউট হয়ে থামেন তামিম। ৪টি চারে ৩১ বলে ২৩ রান করেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলের রানের চাকা ঘোরান লিটন। এই ওপেনার ছক্কায় ওয়ানডেতে অষ্টম ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে বিদায় নেন। ৭১ বলের ইনিংসে ৩টি করে চার-ছয় হাঁকান লিটন। এই ইনিংসেই ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। এরপর সাকিবের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ার পথে ৫৯ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন শান্ত। কিন্তু ৭৩ রানেই থেমে যান তিনি। ৩৪তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানে শান্তর আউটের পর জুটি বাঁধেন তাওহীদ ও মুশফিক। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে মারমুখী ব্যাট করতে থাকেন তারা। ৪৩তম ওভারে ছক্কায় ৩৪ বলে ওয়ানডেতে ৪৪তম ফিফটি পান মুশফিক। কিন্তু তার সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা হৃদয় ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৪৯ রানে আউট হন।
প্রথম ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে ৩৩৮ ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের ছিল সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পরের ম্যাচেই সেই রেকর্ড ভেঙে ৩৪৯ করে দল। তাও ৪ উইকেট হাতে রেখে। কিন্তু দু’টি ম্যাচের স্কোর কার্ডেই সাকিব, হৃদয়, শান্ত, লিটনরা হয়ে আছেন আপের নাম। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিক ছিলেন ব্যতিক্রম। ৬০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিজের নাম ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে যোগ করেছেন নতুনভাবে।