খেলা
ভিন্ন চ্যালেঞ্জের শুরু দেখছেন বালবার্নি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার
২০১৮ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত স্রেফ ৩টি টেস্ট খেলেছে আয়ারল্যান্ড। সাদা পোশাকের ক্রিকেটের পাশাপাশি এক সফরে তিন সংস্করণে খেলাও তাদের জন্য নতুন একটি বিষয়। বাংলাদেশ সফরে দু’টি স্বাদই পেতে চলেছে তারা। এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ভালো খেলার আশা অ্যান্ডি বালবার্নির।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে আইরিশদের এবারের বাংলাদেশ সফর। এরপর চট্টগ্রামে তিন টি-টোয়েন্টি ও ঢাকায় একমাত্র টেস্ট খেলবে তারা। এর আগে ভারতের দেরাদুনে গিয়ে ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই সফরে তিন সংস্করণের ক্রিকেট খেলেছিল আইরিশরা। তবে সেবার সব ম্যাচ হয়েছে একই মাঠে। এবার তিন সংস্করণের দ্বিতীয় সফর হলেও, প্রথমবারের মতো ভিন্ন ভিন্ন মাঠে ম্যাচগুলি খেলবে তারা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নতুন স্বাদের এই সফরের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক বালবার্নি। তিনি বলেন, অবশ্যই এটি আমাদের জন্য ভিন্ন রকম একটি সফর। কিট ব্যাগে (টেস্টের) সাদা প্যাড রাখা আমাদের জন্য ভিন্ন বিষয়। তবে একইভাবে এটি রোমাঞ্চকর। আপনি সবসময়ই বাংলাদেশে আসতে চাইবেন এবং ভালো ক্রিকেটারদের বিপক্ষে নিজেকে পরীক্ষা করতে চাইবেন। ’ বাংলাদেশ সফরে প্রথমে ওয়ানটে তারপর টি-টোয়েন্টি শেষে একমাত্র টেস্ট খেলবে আইরিশরা। তিনি ফরম্যাটে আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইরিশ অধিনায়ক বলেন, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি তারপর টেস্ট, আমাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার এটি করতে হবে। বিশ্বের সব দলই এটি করে আসছে এবং খুব ভালোভাবে করছে। আমাদের এটি দ্রুত শিখতে হবে। এখান থেকে পেছনে হাঁটার কোনো পথ নেই। সংস্করণ যেটাই হোক, আমাদের যত সম্ভব একে অন্যের সামর্থ্যে আস্থা রাখতে হবে। আমি আশাবাদী, সামনের দিনগুলোতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।’ আইরিশদের নতুন চ্যালেঞ্জের প্রথম সিরিজের ভেন্যু সিলেটের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে খেলা হয়েছে ২০২০ সালে। এরপর এই মাঠে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। তবে সিলেটে নিয়মিতই হয় বিপিএলের খেলা। যার সৌজন্যে গত জানুয়ারিতে খুলনা টাইগার্সের হয়ে এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে বালবার্নির। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলে ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্পার। এছাড়া চলতি সফরের দলে থাকা পল স্টার্লিং, জর্জ ডকরেল ও অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিলেটের মাঠে খেলেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা এবারের সফরে কাজে লাগবে বলে জানিয়ে আইরিশ অধিনায়ক বলেন, সামপ্রতিক সময়ে এখানে (সিলেট) খুব বেশি ওয়ানডে খেলা হয়নি। বিপিএলের সময় আমার এখানে খেলার ভাগ্য হয়েছিল। আমার মনে হয় কার্টিসও খেলেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। এই মাঠ সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা আছে। এমন জায়গায় খেলতে এলে এসব অনেক সাহায্য করে।’ তবে ওয়ানডে ক্রিকেট ভিন্ন জানিয়ে বালবার্নি বলেন,ওয়ানডে ক্রিকেটে বিষয়টা কিছুটা ভিন্ন। তবে ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করার জন্য ভালো সময়। শিশিরের প্রভাবসহ আরও কিছু বিষয় থাকবে। দেশের বাইরে খেলতে এলে এগুলো নিত্য ব্যাপার। এমন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং দলের বাকিদের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এসব তথ্য শেয়ার করা নিশ্চিত করতে হবে।’ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ১৫ বছর ও সব মিলিয়ে প্রায় ৯ বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলেছে আয়ারল্যান্ড। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ২৫৫ রান করে তারা। পরে ডিএলএস মেথডে ৭৭ রানে জেতে সফরকারীরা।