নির্বাচিত কলাম
কাওরান বাজারের চিঠি
ওয়াজ মাহফিল, একটি পর্যবেক্ষণ
সাজেদুল হক
৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার
বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করছিলাম। দেশে তখন চাল এবং চালের দাম নিয়ে নানামুখী সংকট চলছিল। জুমার নামাজের পূর্বে দেখলাম খতিব সাহেব এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন। চাল সংকটের সমাধান কীভাবে হতে পারে পরামর্শ দিলেন সে ব্যাপারেও। অফিসে এসে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট লিখেছিলাম। প্রকাশও হয়েছিল গুরুত্ব দিয়ে। খুতবায় সাধারণত সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হয় কম। যদিও খুতবায় সমসাময়িক বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পক্ষে আলেমদের অনেকের মত রয়েছে। এ নিয়ে নানা সংকটও রয়েছে।
কালেমা নিয়ে গজল বা ইসলামী সংগীতটি লেখা হয়েছে মিশরের সাইয়েদ কুতুবের ঘটনার অনুসরণে। কিন্তু বাংলাদেশের একদল আলেমের মধ্যে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিবাদ।
ছোটবেলা থেকেই মসজিদে এবং মাহফিলে আলেমদের বক্তব্য শুনতাম। এখনো সুযোগ পেলে বিশেষকরে অনলাইন মাধ্যমে তাদের বক্তব্য শুনি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কিছু প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। লিখবো লিখবো করেও লিখছিলাম না। নিজের মধ্যে দ্বিধা ছিল। আমি কোনো ইসলামী স্কলার নই। বিশ্বাসী মুসলিম। হয়তো এসব প্রশ্ন অনেকের মনেই আছে। এটা অনস্বীকার্য, বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার প্রসারে আলেমদের ভূমিকা মুখ্য। ওয়াজ মাহফিলগুলোও এক্ষেত্রে বড় অবদান রেখে চলেছে। এসব মাহফিলে বক্তব্য শুনে অনেকেই নিজেকে শুধরে নিয়েছেন। কিন্তু এই লেখকের ধারণা আলেম-ওলামারা বছরের পর বছর ধরে তাদের বক্তব্যকে একটি বৃত্তের মধ্যে বন্দি করে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনের একটি বড় অংশ নিয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করছেন খুবই কম। যেমন: ঘুষ, দুর্নীতি আমাদের সমাজের একটি প্রধান সমস্যা। বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক খুব কম মানুষ আছে কোনো না কোনোভাবে ঘুষ-দুর্নীতির ভুক্তভোগী হননি। এটা জুলুমও বটে। এ জুলুম ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অপরাধগুলোর একটি। এখন এ ঘুষ নেন কারা? দুর্নীতি করেন কারা? তারা সবাই এ সমাজেরই মানুষ। আমরা তাদের বিরুদ্ধে খুব বেশি বক্তব্য পাবো না। মসজিদের খুৎবাতেও এ ইস্যুতে যত আলোচনা প্রয়োজন ততটা হচ্ছে না।

ইসলামে মানুষের প্রাণের, জীবনের উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নরহত্যা বা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করা হেতু ব্যতীত কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকে হত্যা করলো; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)। হাদিসে বলা হয়েছে ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা’ (তিরমিজি)। অপর হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কবিরা গোনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করা, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারি, মুসলিম)। আমাদের ওয়াজ মাহফিলে প্রাণের এই গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য শুনেছি কম। শুধু মানুষ নয়, ইসলামে প্রতিটা প্রাণেরই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জীবনে এবং আলোচনায় আমরা এর যথাযথ গুরুত্ব দিতে পারিনি।
ইসলাম এতিমদের সম্মানিত করেছে। এতিমদের প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোরআন শরীফে বারবার এতিমদের আলোচনা এসেছে। সূরা বনি ইসরাঈলে বলা হয়েছে, ‘এতিম পরিণত বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হইও না। তবে সদুপায়ে (সম্পত্তির উন্নতি করার লক্ষ্যে) তা ব্যবহার করা যাবে। আর প্রতিশ্রুতি পূরণ কর। কেননা (কিয়ামতের দিন) প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।’ এমনকি এতিমের সঙ্গে রূঢ় আচরণকে দ্বীন অস্বীকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তুমি কি দেখেছো তাকে, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো সে-ই, যে এতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।’ (সূরা: মাউন, আয়াত: ১-২)। ইসলাম যে এতিমকে এত গুরুত্ব দিয়েছে এ নিয়েও সম্ভবত আলোচনা কম।
উদাহরণ হয়তো অনেক দেয়া যাবে। আলেমদের সমালোচনা করাও এ লেখকের উদ্দেশ্য নয়। বরং ইসলামের বিস্তৃত জগৎ সম্পর্কে আমরা যেন আরও জানার সুযোগ পাই, সেদিকে দৃৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা মাত্র। এক শ্রেণির আলেম অন্য শ্রেণির আলেমদের যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তা যে অনুচিত তা নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। মতভেদ বজায় রেখেও কীভাবে সম্মান করা যায় পরস্পরকে সে পথও খুঁজে বের করা উচিত। প্রয়োজনে এ নিয়ে আলেমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন। এ ছাড়া, শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময়ই কেউ কেউ নানা কেচ্ছা-কাহিনীর অবতারণা করে থাকেন তাও ঠিক কিনা এটা ভেবে দেখা প্রয়োজন।
দিন-তারিখ মনে নেই। ১৫-১৬ বছর আগের কথা। বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করছিলাম। দেশে তখন চাল এবং চালের দাম নিয়ে নানামুখী সংকট চলছিল। জুমার নামাজের পূর্বে দেখলাম খতিব সাহেব এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন। চাল সংকটের সমাধান কীভাবে হতে পারে পরামর্শ দিলেন সে ব্যাপারেও। অফিসে এসে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট লিখেছিলাম। প্রকাশও হয়েছিল গুরুত্ব দিয়ে। খুতবায় সাধারণত সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হয় কম। যদিও খুতবায় সমসাময়িক বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পক্ষে আলেমদের অনেকের মত রয়েছে। এ নিয়ে নানা সংকটও রয়েছে। আমাদের দেশে খুতবা সাধারণত আরবি ভাষাতেই দেয়া হয়। এর পূর্বে বাংলায় আলোচনা করে থাকেন খতিব সাহেব। অল্প কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বাংলায় খুতবা দিতে দেখছি। এই সব আলেমদের কারও কারও স্পষ্ট মত হচ্ছে, খুতবা মাতৃভাষাতেই দেয়া উচিত। কারণ মানুষ বুঝতে পারেন কিনা সেদিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
লেখক: সাংবাদিক, বিশ্লেষক
[email protected]
পাঠকের মতামত
ধন্যবাদ। জুমার খুতবা বাংলায় না আরবিতে দিতে হবে, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আমার মতে, জুমা এবং ঈদের খুতবা নামাজের অঙ্গ, তাই খুৎবার ভাষা আরবি হওয়া জরুরি, কারন নামাজের কিরাত বাংলায় পড়লে নামাজ আদায় করা হয় না। জনগণ আরবি বুঝে না, এই সমস্যায় অনেক খতিব মুল খুতবার আগে বাংলায় একটা ভাষণ দেন, এটা গ্রহণযোগ্য। তবে মুসলিম বিশ্বের আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে সকল মুসলমানদের আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা উচিৎ। আমরা যদি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি, হিন্দি বা অন্যান্য ভাষা শিখতে পারি তাহলে আরবি শিখায় সমস্যা কোথায়? বরঞ্চ বাংলার পরেই আরবি শিক্ষায় জোর দিতে হবে, কারন মুসলমানদের জীবনের সব কিছু কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী চলে, তাই কোরআন কে জানতে বা শিখতে আরবি শেখা সকল মুসলমানের উপর "ফারদে আইন"। অবশ্য আরবি শিখার বিরুদ্ধে বহু বুদ্ধিজীবী একাট্টা, তবে উনারা ইংরেজি বা হিন্দি শিখায় আপত্তি করেন না।
খুতবার বিষয়ে আরেকটি কথা হলো, খুতবা অর্থ ভাষণ এবং জুময়ার দুই রাকা'ত ফরজ নামাজের আগে খুতবা বা ভাষণ দিতে হয় এবং সেই ভাষণ একবার দিতে হয়। কারণ, রাসূল স. একবারই খুতবা দিয়েছেন। অপরপক্ষে আমাদের দেশে কেউ কেউ বাদে বহু ইমাম দুই বার খুতবা দিয়ে থাকেন, যার কোনো প্রমাণ কুরআন হাদিসে নেই। তাঁরা একবার মাতৃভাষায় আরেকবার আরবি ভাষায় খুতবা দেন, এর কোনো প্রমাণ কুরআন হাদিসে নেই। রাসূল মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়ম অনুযায়ী যে ভাষার মুসল্লীদের সামনে খুতবা দেয়া হবে সম্পূর্ণ খুতবা একবারে সেই মুসল্লীদের ভাষায় দিতে হবে। সমসাময়িক সমস্যার সমাধান কুরআন হাদিসের নির্দেশনার আলোকে মাতৃভাষায় বিশ্লেষণ করলে মুসল্লীরা বুঝতে পারেন এবং ফায়দা হাসিল করতে পারেন। আমাদের বুঝে আসছেনা ইমামগণ দুই বার খুতবা দেয়ার বিধান কোথায় ফেলেন?
ধন্যবাদ ভাই। আপনার এই লেখাটি আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের সবচাইতে বড় সমস্যাট তুলে ধরেছেন খুবই সুন্দরভাবে গুছিয়ে। এখন আমাদের দেশের বেশিরভাগ আলেমই এখন অর্থের পিছনে ছুটছেন। আমাদের দেশের এখন ওয়াজ মাহফিলের নামে প্রথম থেকেই শুরু হয় ধান্দাবাজি.... মাহফিল করতে ১০/১৫ লক্ষ টাকা তুলতে হবে....। তারপর মাহফিলে বক্তারা আসেন... টাকা কন্ট্রাক্ট করে....। এসে ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির মতামত অনুযায়ী তারা ওয়াজ করেন...। সেখানে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে তেমন কোন কিছুই থাকে না.... হাদিস এর বয়ান করে অল্প কিছুক্ষণ....। তারপর শুরু করেন গল্পগুজব। মানুষকে হাসাতে এবং খুশি করতেই যেন তারা এসেছেন। এরপর আবার শুরু হয়... টাকার ধান্দাবাজি...। কে কতো টাকা দেবেন....। এভাবে এক সময় ঐসব নামধারী আলেমগণ ভিক্ষার শেষ প্রান্তে চলে যান। এরপর আবার আলেমগণ শুরু করেন.... আমার একটি এতিমের দোকান আছে.....। আর এখন প্রায় শহর বলেন আর গ্রাম বলেন... আলেমগণ গরীবকে মোটেও পছন্দ করেন না.... এবং তাদের দাওয়াত পর্যন্ত গ্রহণ করেন না। তারা ঘুষখোর, টাউটবাটপারদের মুনাফালোভীদের সঙ্গেই বেশি বেশি করদমর্দন করতে ব্যস্ত থাকেন। অতএব এদের এসব থেকে আমাদের নিজেদের মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হলো.... এসব চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজির ওয়াজ মাহফিলে অর্থনৈতিক হোক বা মানসিক হোক... সর্বরকম সহযোগিতা না করা। তাহলেই দেখবেন.... আস্তে আস্তে মানুষ সত্যি কথা বলতে শিখবে।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ মতবাদ। পূর্ণাঙ্গ বলতে, মানব জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছোটো বড়ো যতোগুলো বিষয়ের সঙ্গে মানুষের জীবন ও কর্ম জড়িত, প্রত্যেকটি বিষয়ের আনুগত্যের বিধান দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এতো বড়ো একটা বিশাল বিধিবিধানের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্র শক্তি ছাড়া অসম্ভব। কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলাম বিজয়ী করার জন্য। রাসূল স. তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে আজো ইসলাম বিজয়ী করার জন্য ভূমিকা পালন করা ফরজ - যদি রাষ্ট্র শক্তি হিসেবে ইসলাম বিজয়ী না থাকে। আক্ষেপের কথা হচ্ছে কোনো হুজুরকে জুমার খুতবায় সব ফরজের বড়ো ফরজ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় না। আফসোস!
আপেক্ষায় ছিলাম জুমআ নিয়ে ইসলামী জ্ঞানের কথিত একচেটিয়াদের বাইরে কোন বিজ্ঞ নিবন্ধক সাংবাদিক তার পর্যবেক্ষন দিক। তবে আগেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিনীত নিবেদন করছি যে পবিত্র কোরআনূল করীমের ইসলামী আইন বিষয়ে আমার জ্ঞান এতোই সীমিত যে রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে সকলের মত তর্ক জুড়ে দেয়ার অভিপ্রায় বর্জিত হয়ে দু' একটি পর্যবেক্ষন নিয়ে লিখলাম। জুমআর খুতবার বিষয়বস্তু এর সময়, ভাষার ব্যবহার, বক্তব্যের উসৎসের সন্দেহহীন কতৃপক্ষ সর্বোপরি সালাতের মাঝে এবাদতের বক্তব্য , তসবীহ, দোয়া শুধু মাত্র পবিত্র কোরআনূল করীমের নির্দেশ মত হওয়ার বাধ্যকতাকে ছাপিয়ে কতৃপক্ষহীন কল্প কাহিনীতে ঠাশা বয়ান করতে করতে পার্শ্বস্থিত রাস্তাগলি বন্ধ করে মানুষের দূর্ভোগ উৎপাদন করা কতটা কোরআন সন্মত।এ সমস্যাটি শহরে ও বন্দরেই লেগে আছে। একই মসজিদে ৫/৭টা ইদের জামাত হতে পারলে সেই মসজিদে একাধিক জুমআ হতে বাধা কোথায়। এটি কেবল সততাও কল্যান চিন্তা করে শুরু করার বিষয় মাত্র। তাছাড়া পবিত্র কোরআনূল করীমে জ্ঞানের সকল বিষয় নিয়ে সবিস্তারে বা নাতিদীর্ঘভাবে বিবৃত হয়েছে। সীমহীন মহাশূণ্য থেকে পাতালের অতলান্তের অদৃশ্য বিষয় নিয়ে। অথচ শিক্ষার শ্রণিকৃত বিভাজনের খপ্পরে পড়ে কেউ কথিত মাওলান (? এটি ব্যবহার করা মহা অন্যায়) কেহ আধুনিক শিক্ষায় পন্ডিত । কিন্তু শেষাক্ত দল যে মহান আল্লাহর প্রদত্ত জ্ঞান দিয়ে বিশ্ব সংসারের নিরন্তর কল্যান করে আল্লাহর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে তার ধর্মিয় স্বীকৃতি নাই বলেই এই সব রাতের কল্পকাহিনী শুনে দুধের স্বাধ ঘোলে মিঠাচ্ছে। শেষ করি পবিত্র কোরআনূল করীমের সূরা ফুরকানের ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহর নিকট রসুলের ফরিয়াদ -" রসুল বলিল, "হে আমার প্রতিপালক! আমর সম্প্রদায়তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে"।২৫ঃ৩০। ধন্যবাদ।
প্রশংসনীয় আলোচনা । ভাল লেগেছে ।
We call you to Islam, the teachings of Islam, the rules of Islam and the Guidance of Islam, if this means politics to you then this is our politics. Islam is tolley a political movement. But we can’t understand it.
ভাল লিখেছেন। আমারও মনে হয় জুমার খুতবা বাংলায় এবং তাতে মানুষের পরকালীন বিষয়ের সাথে সাথে দৈনন্দিন পারিবারিক/সামাজিক/রাষ্ট্রীয়/আর্ন্তজাতিক সমস্যা এবং এর সমাধানগুলোর কোরআন হাদীসের আলোকে আলোচনা হওয়া দরকার। আর কেন যে ঐ গজলটি কুয়াকাটার হুজুর নিজেদের উপর নিলেন এটা বুঝতে পারলাম না। এটা স্পষ্ট যে, একজন ভিক্ষুক যখন ভিক্ষা পাবার আশায় জিকির করে তার জিকির আর আল্লাহকে পাবার জন্য যে জিকির করে উভয়েরটা সমান নয় যেমনটা কালিমার এই গজলের ক্ষেত্রেও