ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার নির্মাণের শিল্প ভাবনা

মনিরা আক্তার
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার
mzamin

বিশ্বে এ পর্যন্ত যে ভাস্কর্যটি সবচেয়ে বেশি নির্মিত হয়েছে সম্ভবত তা হলো আমাদের শহীদ মিনার। এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি- যখন যেখানেই (দেশে-বিদেশে) শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে তার জন্য একটা নির্দিষ্ট নির্মাণ কাঠামো বিধিমালা করার, যাতে সবাই এই কাঠামো অনুসরণ করে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারে। জাতিসংঘ যেমন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা করেছে, তেমনি মাতৃভাষা রক্ষায় জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে ভাষার ওপর নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি সারা বিশ্বে নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বের সব ভাষা সংগ্রাম এবং ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে একই দিনে একই রকমের শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এতে সমগ্র বিশ্বে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভটি শুধুই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।


শিল্প শব্দটি কোনো এক বিশেষ মাধ্যম নয়। শিল্প একটি ব্যাপক বিষয়। আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই শিল্পরুচি ও শিল্পবোধের বিষয়টি উপস্থিত। সৃজনী শক্তির মাধ্যমে শিল্পের জন্ম। যা সবকিছুর মধ্যেই আমরা দেখতে পাই। যেমন, আমরা যে পোশাক পরিচ্ছদ পরি, রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলি, দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের মাধবীলতার নুয়ে পড়া দেখি, কিংবা ড্রয়িংরুমের কোণায় সাজানো ফুল গাছ সব কিছুতেই একটা ছন্দ রয়েছে ও শিল্প রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
শুধু ব্যক্তি বিশেষের প্রকাশের ধরন ভিন্ন।  আমরা শিল্পের আনন্দটুকু গ্রহণ করি এবং কখনো কখনো নিজের অজান্তেই উচ্ছ্বসিত স্বরে বলে উঠি - বাঃ! সত্যিকারের শিল্পবোধ সহজাত। যেকোনো সৃজনশীল সৃষ্টির মাধ্যমেই মানুষ তার মেধা মননের প্রকাশ ঘটায়। যেকোনো শিল্প মানুষের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিভা ও দক্ষতারই প্রকাশ। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বদ্ধভূমি, অপরাজেয় বাংলাসহ নানা স্থাপনা শিল্প মননের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে জাগিয়ে তোলে। সৃষ্টির পেছনে শিল্পীর এই বোধ বা প্রতিভার এক বিশাল স্বাক্ষর ভাষা শহীদের সম্মানে নির্মিত শহীদ মিনারের নকশা। যার ভাব, সর্বজনীনতা, নান্দনিকতা এবং বক্তব্য প্রকাশের ভাষা অত্যন্ত সাবলীল এবং অর্থবহ। জাতীয় শহীদ মিনার বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সাক্ষী। এই শিল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বাঙালির ভাবাদর্শগত সামাজিক চেতনার বিষয়। 

বাঙালির ভাষার জন্য এ আন্দোলন ছিল একটি সংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্তরূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপণ হয়েছিল বহু আগেই। ১৯২৬ সালে পশ্চাৎপদ বাঙালি মুসলিম সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণ এবং শিক্ষিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতর যুক্তিশীল চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অধ্যাপক সৈয়দ আবুল হোসেন, ঢকা কলেজের ছাত্র আব্দুল কাদির ও অধ্যাপক কাজী আব্দুল ওদুদ এর অগ্রণী ভূমিকায় ‘সাহিত্য সমাজ’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ ঘটে। তাদের লক্ষ্য ছিল সৃজনশীল সাহিত্য সৃষ্টি এবং পশ্চাৎপদ বাঙালি মুসলিম সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণ এবং শিক্ষিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতর যুক্তিশীল চিন্তা-ভাবনার প্রসার ঘটানো। সুধীমহলে এ প্রতিষ্ঠানের নেতৃবর্গ ‘শিখ গোষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিল। বাংলা ভাষায় মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী ধ্যান-ধারণা প্রচারের জন্য ‘শিখা’ নামে তাদের এটা মাসিক পত্রিকা ছিল। তিরিশের দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মোতাহার হোসেন ও সু-সাহিত্যিক আবুল ফজল, সলিমুল্লাহ হলের তৎকালীন প্রাধ্যক্ষ স্যার. এ এফ রহমান ও ইতিহাসের অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সে সময়ের ঢাকার গোঁড়া সামাজিক পরিবেশে প্রগতিবাদী অধ্যাপক আবুল হোসেন ও অধ্যাপক কাজী আব্দুল ওদুদ ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারেননি। 

কারণ তাদের নিগৃহীত হতে হয়েছিল এমনকি চাকরি ছেড়ে দেশত্যাগ করতে হয়েছিল। তবে বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টিতে বাঙালি মুসলমানদের মনে ‘শিখ গোষ্ঠী’ যে আগুন জ্বেলে রেখে গিয়েছে তা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ভাষার অধিকার আন্দোলনে রূপ নেয়।  ১৯৪৮ সালের সময়কালে ভাষা আন্দোলন ছাত্র শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন সেই ভাবে সীমাবদ্ধ থাকেনি তা ছিল ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক মজুর শিল্পী সাহিত্যিকসহ দেশের আপামর জনসাধারণের এক ব্যাপক গণ প্রতিরোধ আন্দোলন। এ আন্দোলনের মাধ্যমে শোষক শ্রেণির নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের সংগ্রামের সূচনা হয়। সে অর্থে ভাষা আন্দোলন একটি সার্থক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন দুটি পর্যায়ে সংগঠিত হয়। প্রথমটি ১৯৪৮ সালে, আর দ্বিতীয়টি ১৯৫২ সালে। ৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির সংগঠিত চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনই ভাষা আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পায়। ১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিনের ভাষণ আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ধাবিত করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৫শে জানুয়ারি ঢাকায় আসেন এবং ২৭শে জানুয়ারি পল্টন ময়দানের এক জনসভায় দীর্ঘ ভাষণে তিনি মূলত জিন্নাহ্‌র কথারই পুনরুক্তি করে বলেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু’। ২০শে ফেব্রুয়ারি সরকার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে।

 

 

 প্রতিবাদে ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকে এবং ১৪৪ ধারা জারির বিপক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। জনতা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ অনেক ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে। এতে ছাত্ররা আরও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে এবং বিক্ষোভ শুরু করে। ঐদিন বেলা দুইটার দিকে আইন পরিষদের সদস্যরা আইনসভায় যোগ দিতে এলে ছাত্ররা তাদের বাধা দেয়। একসময় ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নেয় তারা আইনসভায় গিয়ে তাদের দাবি উত্থাপন করবে। ছাত্ররা ঐ উদ্দেশ্যে আইনসভার দিকে রওনা করলে বেলা ৩টার দিকে পুলিশ এসে ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে আব্দুর জব্বার এবং রফিক উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত হন আব্দুস সালাম, আবুল বরকতসহ আরও অনেকে। মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে প্রাণ দেয়া শহীদদের স্মরণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা। ত্রি-কোণ উলম্ব আকৃতির সে সৌধের অর্থ ছিল ‘চির উন্নত মম শির’ ঐ স্তম্ভটি কোনো পেশাদার শিল্পীর দ্বারা নির্মিত না হলেও মানুষের সহজাত শিল্প চেতনার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই। ৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে নির্মাণ কাজ শুরু করে, কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে।

 কাগজের ওপর ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ লিখে তাতে গেঁথে দেয়া হয়। শহীদ শফিউরের পিতা আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। শিল্পের এই প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিবাদকে পাকিস্তান সরকার ভয় পায়। ২৬শে ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী  মেডিকেলের ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেল ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। ১৯৫৭ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার পর যুক্তফ্রন্ট সরকারের সহযোগিতায় বড় পরিসরে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। সচেতনতার প্রতিফলন ঘটাতে যুক্ত করা হয় দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের চত্বরে বড় আকারে শিল্পী হামিদুর রহমান ও ভাস্কর নভেরা আহমেদের সহযোগিতায় সে সময়কার সরকারি স্থপতি জ্যাঁ ভেলুরাঁ শহিদ মিনারের নকশা আঁকেন। মূল বেদীর উপর পাঁচটি স্তম্ভের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, মস্তক অবনত মা তার শহীদ সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।  সৌন্দর্য ও শিল্প যে, ব্যক্তি প্রতিভা ও দক্ষতার দ্বারা সৃষ্ট ফসল এ বিষয়টি আমাদের ভুললে চলবে না। শিল্প সৃষ্টির পেছনে থাকে শিল্পীর বহু বিনিদ্র রাত্রি ও বহু অনলস দিনের কর্মসাধনা। তেমনই একটি কর্মসাধনায় শহীদ মিনারের শিল্পের নান্দনিকতা ও অর্থের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের নাম ও শিল্প ভাবনার স্বাক্ষর। নকশা অনুযায়ী এর কাঠামো নির্মাণে ভাস্কর হামিদুজ্জামান, চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান, ভাস্কর নভেরা এবং ছিলেন একজন বিদেশি সরকারি স্থপতি- জ্যাঁ ভেলুরাঁ। 

 ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের কারণে স্থাপনাটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। বড় আকারে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মাহামুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শেষ হয়। মায়ের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক। মা এবং ভাষা এ দুটোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শহীদ মিনারের স্থাপনার মাধ্যমে।   ২১শে ফেব্রুয়ারি বা ভাষা দিবস এখন আর বাংলাভাষা বা বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২১শে ফেব্রুয়ারি এখন জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। যা আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি এ দিবসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে গিয়ে দেশে-বিদেশের অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় শহীদ মিনারের নির্দিষ্ট কাঠামোকে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে যে যার মতো করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। অথচ আমাদের জাতীয় শহীদ মিনার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ও ব্যাপ্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভাষাকে বলা হয় মায়ের ভাষা। জাতীয় শহীদ মিনার মায়ের ভাষার আবেগ এবং অর্থের ওপর দাঁড়ানো।

 যেহেতু দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়। তাই আমরা মনে করি আজ সময় এসেছে শহীদ মিনার নির্মাণের ক্ষেত্রে শিল্প ভাবনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারিভাবে একটি নির্দিষ্ট নির্মাণ কাঠামোর বিধিমালা থাকা প্রয়োজন। যাতে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষা শহীদদের ত্যাগ এবং শহীদ মিনারের শিল্প ভাবনা সম্পর্কে বিশ্বের নতুন প্রজন্মের কাছে ব্যাখ্যা সুস্পষ্ট থাকে। বিশ্বে এ পর্যন্ত যে ভাস্কর্যটি সবচেয়ে বেশি নির্মিত হয়েছে সম্ভবত তা হলো আমাদের শহীদ মিনার। এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি- যখন যেখানেই (দেশে-বিদেশে) শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে তার জন্য একটা নির্দিষ্ট নির্মাণ কাঠামো বিধিমালা করার, যাতে সবাই এই কাঠামো অনুসরণ করে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারে। জাতিসংঘ যেমন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা করেছে, তেমনি মাতৃভাষা রক্ষায় জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে ভাষার ওপর নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি সারা বিশ্বে নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বের সব ভাষা সংগ্রাম এবং ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে একই দিনে একই রকমের শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।    এতে সমগ্র বিশ্বে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভটি শুধুই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। এবং বিশ্বে আগামী প্রজন্মের কাছে ভাষা, স্বাধীনতা, বাঙালির সংগ্রামকে এই স্মৃতিস্তম্ভটির মাধ্যমে ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে’ পৃথিবীর বুকে সুদৃঢ়ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। 

লেখক: প্রাবন্ধিক

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status