খেলা
দেরিতে গোল খাওয়ার রেকর্ড পিএসজি’র
স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবারদ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। লিড ধরে রাখে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচের ফল যখন প্রায় নিশ্চিত তখন দৃশ্যপট পাল্টে যায়। যোগ করা সময়ে সমতা টানে রিমস। রোববার পার্ক দেস প্রিন্সেসে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে রিমসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে স্বাগতিক পিএসজি। ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে একটি বিরল রেকর্ড গড়ে লা প্যারিসিয়ানরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ৫১তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুয়ান বার্নেটের অ্যাসিস্টে গোলটি করেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। লিড নেয়ার আট মিনিট পর বড় ধাক্কা খায় পিএসজি। প্রতিপক্ষকে কড়া ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখেন বদলি নামা মার্কো ভেরাত্তি। দশ জনের দল নিয়েও অবশ্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো পিএসজি। তবে ৯০+৬ মিনিটে রিমসের ইংলিশ স্ট্রাইকার ফোলারিন বালোগান পাশার দান পাল্টে দেন। মালিয়ান মিডফিল্ডার কামোরি দোমবিয়ার অ্যাসিস্টে ম্যাচে সমতা টানেন তিনি। (২০০৬-০৭ মৌসুমে অপ্টা ফুটবলের পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ শুরুর পর থেকে) পিএসজির সবচেয়ে দেরিতে গোল খাওয়ার রেকর্ড এটি। রিমসের বিপক্ষে ফরাসি লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমে নিজের ১২তম গোলের দেখা পেলেন নেইমার। ১৮ ম্যাচ খেলে ১০টি অ্যাসিস্টও করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অর্থাৎ, ২০২২-২৩ মৌসুমে লিগ ওয়ানের পিএসজির ২২ গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার। ইউরোপিয়ান টপ ৫ লীগে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান নেইমারের। ব্রাজিলিয়ান তারকার চেয়ে এগিয়ে শুধু ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং ব্রট হালান্দ। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে সিটির ২৮ গোলে অবদান রাখেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। ২৮ ম্যাচে ১৫ জয় ও ২ হারে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ান টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লঁস। ২০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম রিমস।