ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

যক্ষ্মার কারণে ছাড়তে হলো সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশি শ্রমিকের ঋণের ভার নিলো সে দেশের মানুষ

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ২:০৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

সিঙ্গাপুর গিয়ে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন দেখেছিলেন ময়মনসিংহের আহাদ মিয়া। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে যায়। রুটিন মেডিকেল পরীক্ষার সময় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ে। এর একদিনের মধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

যে স্বপ্ন নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন তার সেই স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেল। সঙ্গে যুক্ত হলো যে ধার-দেনা করে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন তা পরিশোধের চিন্তা। চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে তিনি জানান, আমি আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলাম কারণ আমার মাথায় আর কিছু কাজ করছিল না। আমি আমার চাচা, ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে যত টাকা ধার নিয়েছি তা কীভাবে শোধ করব। 

২০ বছর বয়সী আহাদ সিঙ্গাপুরে আসার জন্য একটি এজেন্সিকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এর এক তৃতীয়াংশ তার নিজের ছিল এবং বাকি টাকা আত্মীয়স্বজন ও ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা হয়েছিল। অন্যান্য অভিবাসী শ্রমিকদের মতো তিনিও সিঙ্গাপুরের নির্মাণ শিল্পে কাজ করে এই ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু যক্ষ্মার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, যেসব শ্রমিকরা ডাক্তারি পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয় এবং দেশে ফেরত পাঠানো হয়। 

আহাদ বলেন, আমি বাড়িতে ফিরে আমার পরিবারের মুখোমুখি হতে চাইনি। মাথার ওপর বিশাল ঋণ ঝুলছে এমন খবরে তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তবে ঠিক এমন সময় তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ (আইআরআর) নামের সিঙ্গাপুরের একটি এনজিও। সবকিছু শোনার পর এনজিও’র পক্ষ থেকে আহাদের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য অনলাইনে তহবিল সংগ্রহ শুরু হয়। একদিনের মধ্যেই তারা ২ লাখ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার বা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে আহাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে তার কাছে আরও তিন লক্ষাধিক টাকা পাঠায় তারা। 

আইআরআর-এর প্রতিষ্ঠাতা দীপা স্বামীনাথন বলেন, আহাদকে দেখে তার নিজের ছেলের কথা মনে পড়েছে। যদি আমার ছেলে অন্য দেশে চলে যেত এবং এমন পরিস্থিতিতে পড়তো, আমি চাইতাম ঈশ্বরের কোনো দূত এসে যেনো তাকে সাহায্য করে। আমাদের সব দেখেও বসে থাকার সুযোগ নেই। আহাদকে সাহায্য করতে যা যা করা দরকার আমরা করবো।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status