খেলা
নাদালের রেকর্ড ছুঁলেন ‘অজেয়’ জকোভিচ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবারমেলবোর্নে ফাইনালের আগে দুজনের ছিল ভিন্ন হাতছানি। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার স্বাদ নেয়ার সঙ্গে প্রথম গ্রিক খেলোয়াড় হিসেবে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছতেন স্টেফানোস সিৎসিপাস। কিন্তু গ্রিক তরুণের অপেক্ষা বাড়লো। মেলবোর্নে জয় দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করলেন নোভাক জকোভিচ। ৩৫ বছর বয়সী তারকা ফিরলেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও। গতকাল ফাইনালে সিৎসিপাসের বিপক্ষে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৭-৬ (৭-৫) গেমে জয় পান এ সার্বিয়ান তারকা। এতে জকোভিচ স্পর্শ করলেন পুরুষ এককে রাফায়েল নাদালের সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। অজেয় থাকলেন মেলবোর্নের ফাইনালে। এ নিয়ে ১০ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে খেলে প্রতিবারই ট্রফি হাতে তুললেন জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রেকর্ড টানা ৪১ ম্যাচ জিতলেন তিনি।
রড লেভার অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুটা ছিল একপেশে। দাপুটে নৈপুণ্য দেখিয়ে টানা দুই সেট জেতেন জকোভিচ। এর পর নৈপুণ্যে ফেরেন সিৎসিপাসও। তবে শেষ দুই সেটে দারুণ লড়াই করেও দুইবারই তিনি হেরে যান টাইব্রেকে। জকোভিচ জয়ের পর সিৎসিপাসের সঙ্গে করমর্দন করে লাফিয়ে উঠে যান প্লেয়ার্স বক্সে। সেখানে জড়িয়ে ধরেন দলের ও পরিবারের সদস্যদের। এরপর দুই হাত উঁচিয়ে মাতেন উদযাপনে। ২০২১ সালে মেলবোর্নে নবম শিরোপা জয়ের পর মুকুট ধরে রাখার মিশনে গতবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় জকোভিচের। করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়ায় টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন দেশটি থেকে বিতাড়িত হতে হয় তাকে। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভুগিয়েছে জকোভিচকে। আর এবারের অর্জনকে তার জীবনের সবচেয়ে বড় জয় বলছেন তিনি। জকোভিচ বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার জীবনে খেলা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্টগুলির একটি এটি। গত বছর না খেলে এই বছর এখানে এসেছি। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে, আমাকে মেলবোর্নে থাকতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়েছে।’ জকোভিচ বলেন, ‘আমি নিজেকে চিমটি কাটার চেষ্টা করি এবং সত্যিই এই মুহূর্তগুলির মধ্য দিয়ে বেঁচে আছি। এটি দীর্ঘ যাত্রা। কেবল আমার দল এবং পরিবার জানে যে, গত চার-পাঁচ সপ্তাহে আমরা কী করেছি। আমি বলবো, সব পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় জয়। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, পরের বছর দেখা হবে।’ সিৎসিপাস এই নিয়ে দুবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠে দুবারই হারলেন জকোভিচের কাছে। প্রথমটি ছিল ২০২১ সালের ফরাসি ওপেনে। হারের হতাশা থাকলেও মুষড়ে পড়ছেন না গ্রিসের এই তারকা। অভিনন্দন জানিয়েছেন জকোভিচকে। সিৎসিপাস বলেন, ‘আরেকটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে হার, এটি সহজ হয়, কিন্তু আমি সবসময় কোর্টে ফিরতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। নোভাক (জকোভিচ), কী বলবো বুঝতে পারছি না। এখনও পর্যন্ত আপনি যা কিছু অর্জন করেছেন, এসবই আপনার হয়ে কথা বলে। আপনাকে অভিনন্দন।’