খেলা
যে কারণে মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনছে বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারজিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, মোস্তাফিজুর রহমানকে আইপিএল-এ দেখতে চান আকরাম খান। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সাবেক প্রধান মনে করেন এতে মোস্তাফিজের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা মজবুত হবে। তবে আকরাম খানের এমন বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দৈনিক মানবজমিনকে লিপু বলেন, ‘আসলে ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পরিকল্পনা থাকে। এই বিভাগের নেতৃত্বেই জাতীয় দল পরিচালিত হয়। প্রতিটি ক্রিকেটারকে নিয়ে তাদের একটা পরিকল্পনা থাকে। যেমন মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তার পিছনেও কারণ আছে। টানা আইপিএল খেললে তার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের একটি বিষয় থাকে। তাকে কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আকরাম খানতো বিসিবি’রই একজন। তার কথাটাও যুক্তিসম্মত না। আসলে আমরা নিজেদের মধ্যে বিরোধিতা করে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে চাই না।’
এবারের আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন মোস্তাফিজ। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে উইকেট শিকারীর তালিকার যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। আইপিএল’র জন্য ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজকে এনওসি দিয়েছে বিসিবি। এরপর তা একদিন বাড়িয়ে ১লা এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি আসরে চেন্নাই এখন পর্যন্ত খেলেছে ৬ ম্যাচ। এখনো তাদের আরও ৮ ম্যাচ বাকি। তবে মোস্তাফিজ খেলার সুযোগ পাবে আরও চারটি ম্যাচ। তার মানে শেষের সবগুলোতে খেলার সুযোগ হলে তার মোট ম্যাচের সংখ্যা হবে ৯ টি। এরপর দেশে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে তার। এই সিরিজ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ৩ ম্যাচের সিরিজ রয়েছে। এরপর আইসিসি’র দু’টি প্রস্তুতি গ্রুপ পর্বের আরও চার ম্যাচ। সব মিলিয়ে আইপিএল থেকে ফিরে ফিজের সামনে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই অপেক্ষা করছে। বিসিবি চাইলে তাকে খেলতেই হবে। তবে দেশের সেরা ক্রিকেটার যেন ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে না পড়ে তার জন্য তার বিশ্রাম ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টনা জরুরি। যদি এরই মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে তার বিশ্রামের সুযোগটা কম থাকবে। আর এই কারণেই বিসিবি তাকে পুরো আইপিএল-এ খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। এ নিয়ে গাজী আশরাফ লিপু বলেন, ‘ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ বুঝে ও বিবেচনা করেই ক্রিকেটারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এতে কে কি বললো তা না ভাবাই ভালো।’
এদিকে ২৮শে এপ্রিল ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে। জানা গেছে, ২৬শে এপ্রিল চট্টগ্রামে এই সিরিজকে সামানে রেখে ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ দল। আর তার আগেই হবে দল ঘোষণা। জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলেই থাকবে আসন্ন টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছায়া। যদিও এখনো জানা যায়নি কবে দল ঘোষণা হচ্ছে। তবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন তারা চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পুরো দল নিয়ে অনুশীলন শুরু করতে চান। তিনি বলেন, ‘দল ঘোষণা কবে করবো তার নির্দিষ্ট তারিখটা এখনই বলতে পারবো না। আমাদের এখনো বেশকিছু কাজ বাকি। ২২শে এপ্রিল প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দেশে আসবেন, তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তার মতামততো দল গঠনে প্রয়োজন। এছাড়াও আমরা নির্বাচকরাও বসে আলোচনা করবো। এরপরই দল ঘোষণা হবে। এখন আর কোনো প্রাথমিক দল নিয়ে ভাবছি না। দল দিলে চূড়ান্তটাই ঘোষণা হবে।’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেমন দল হতে পারে তা নিয়ে লিপু বলেন, ‘আসরে দল গঠনে যে আমাদের কাছে অনেক বেশি বিকল্প আছে তা কিন্তু নয়। যারা আছেন, নিয়মিত পারফরম করছেন তাদের নিয়ে আমরা দল সাজাবো। এখানে অনেকগুলো নাম, কিছু একেবারেই সবারই জানা। তাদের বাদ দিয়ে দল গঠন করাও সম্ভব না। তবে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় থাকে সেগুলো আমাদের আলোচনা বাকি। আর যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে সেই বিষয়টিই আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’